কুয়েতে নিহত বাংলাদেশি কমিউনিটি নেতা, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ইজাজুর রহমান জুনেলের প্রথম জানাযা শেষে মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় কুয়েতের সাবাহ এলাকার লাল মসজিদ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশি এ কমিউনিটি নেতার প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযায় যোগ দেন, কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান, ডিফেন্স এটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আবু নাছের, প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান নিয়াজ মোরশেদ, বিএমসি’র কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল মজিদসহ বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েতের নানা শ্রেণি-পেশার বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিরা। জানাযার নামাজ শেষে নিহত জুনেলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
পরে নিহতের নানা শশুর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ এ.কে আবদুল মোমেন টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সকল প্রবাসীদের কাছে দোয়া কামনা করেন। প্রায় দেড় যুগ আগে ব্রিটেন থেকে আসা ইজাজুর রহমান জুনেল KPC কুয়েত পেট্রলিয়াম কোম্পানিতে চার্টার্ড একাউন্টেন্ট পদে নিয়োগ পান।
জুনেল ব্রিটেনের নাগরিক হলেও কুয়েতে বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক ছিল। ফলে সিলেট বিভাগীয় কালচারাল ফোরাম, জালালাবাদ সমিতি, ওসমানী স্পোর্টিং ক্লাব, রবীন্দ্র নজরুল শিল্পগোষ্ঠী কুয়েতের সভাপতি ও মর্নিং গ্লোরি বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নিহতের মরদেহ ২৯ জুলাই স্থানীয় সময় রাত ৯.৫৫ মিনিটে কাতার এয়ারওয়েজ এর একটি ফ্লাইটে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইজাজুর রহমান জুনেল স্থানীয় আমিরি হাসপাতালে প্রায় বিয়াল্লিশ দিন (I C U)তে ছিলেন। পরে করোনা থেকে জুনেল মুক্তি পেলেও নিউমোনিয়া রোগে মারা গেছেন তিনি। নিহতের দেশের বাড়ি সিলেট জেলার ওসমানী নগর উপজেলার তাজপুর গ্রামে।
Discussion about this post