মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ কুয়েত, এখানে ঝুকিমুক্ত ও নিরাপদে ব্যবসা করার সুযোগ- সুবিধে রয়েছে। অনেক বাংলাদেশী নিজ মেধা আর শ্রম দিয়ে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন
কুয়েতে প্রবাসীদের কাছে সর্বাধিক পরিচিত এম্বাসেডর গ্রুপ অব কোম্পানীর নাম। কুয়েত সিটির প্রাণ কেন্দ্র মালিয়া রয়েছে বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
পাশাপাশি আরব বিশ্বের এ অঞ্চলটি ব্যবসায়ীদের জন্য একদিকে যেমন নিরাপদ, অন্যদিকে করমুক্ত ব্যবসা ও ব্যাংক থেকে মোটা অংকের ঋণ নেয়ার সুযোগ থাকার সুবাদে, অনেকেই গড়ে তুলেছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ২০১৯ সালের শেষ দিনেও বাংলাদেশি মালিকানাধীন বৃহৎ প্রতিষ্ঠান এম্বাসেডর সুপার মার্কেট উদ্বোধন করা হয় দেশটির নান্দনিক শহর সালমিয়া এলাকায়।
প্রায় দুই যুগ আগে এম্বাসেডর গ্রুপের যাত্রা শুরু হয়েছিল। হাটি হাটি পা পা করে কুয়েত সিটির মালিয়া, সালমিয়া, ফরওয়ানিয়া, হাওয়াল্লিসহ দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে এম্বাসেডর গ্রুপ নিয়ে নয়টি সুপার মার্কেটে উন্নীত হয়েছে। মঙ্গলবার কুয়েতের নান্দনিক শহর সালমিয়া এলাকায় এম্বাসেডর গ্রুপের নবম প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়েছে।
সালমিয়া এলাকার এম্বাসেডর সুপার মার্কেটের উদ্বোধন করেন, কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান।
সুপার মার্কেট উদ্বোধক, দূতাবাসের জ্যৈষ্ঠ এ কর্মকর্তা ব্যবসায়ী লুতফুর রহমান মুখাই আলীর প্রশংসা করে বলেন, কুয়েতে বাংলাদেশিদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান মানেই গোটা বাঙালি জাতির জন্য গর্ব।
বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল, কুয়েতের সভাপতি এবং এম্বাসেডর গ্রুপ এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সি.ই.ও লুতফুর রহমান মুখাই আলী, দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এ পর্যন্ত ব্যবসায়িক সকল অর্জন তার পরিশ্রমের ফসল। পাশাপাশি এ অর্জনে অনেকের সহযোগিতা ও সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে বলেও তিনি স্বীকার করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,কুয়েতের ফিলিপাইন দূতাবাসের কাউন্সেলর, ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হুসেন পাটুয়ারি,ব্যবসায়ী জাফর আহমেদ, স্থানীয় নাগরিকসহ বাংলাদেশী গণমাধ্যমের কর্মীবৃন্দ।
Discussion about this post