শেখ এহছানুল হক খোকন ঃবিশ্ব পরিমন্ডলে বাংলা সাহিত্যের পরিচিতি ঘটাতে যে সকল মনীষিরা রয়েছেন তাদের মধ্যে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম অন্যতম। তারই আলোকে বাঙালীরা এই বরেণ্য ব্যক্তিদের স্মরণ করে জাতী ও দেশকে তার সংস্কৃতিকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়। সমন্বিত আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র কুয়েত প্রতিষ্ঠার পর প্রতিবারের মতই এবারও কুয়েস্থ একটি স্থানীয় হোটেলে রবীন্দ্র-নজরুল জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে আলোচনা ও আবৃত্তিসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সম্মাননার আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও সমন্বিত আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র কুয়েত’র প্রধান সমন্বয়ক মোঃ আলী আজম। প্রধান অতিথি ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স লিঃ এর কান্ট্রি ম্যানেজার এ,এস,এম নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে বাংলাদেশের অহংকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ময়েজ উদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম রবি সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, হাজী জুবায়ের আহমেদ বিশিষ্ট সংস্কৃতি প্রেমী ব্যক্তিত্ব, ফয়েজ কামাল বিশিষ্ট সংস্কৃতি প্রেমী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, মোঃ ইয়াকুব বুরে্যা চীফ আজকের সূর্যোদয়, এজাজুর রহমান জুনেল সভাপতি রবীন্দ্র-নজরুল শিল্পী গোষ্ঠী, ড. ইকবাল ইসলামী ষ্ট্যাডি, সাহাব উদ্দিন ম্যানেজিং ড্রাইরেক্টর এশিয়া গোল্ডেন গ্র“প অফ কোম্পানী, হারুন-অর- রশিদ বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, রফিকুল ইসলাম ভুলু বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কাদের মোল্লা সভাপতি বাংলাদেশ সমাজ কল্যাণ সমিতিসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে আলোচনা পর্বে শেখ এহছানুল হক খোকনের সঞ্চালনায় রবীন্দ্র-নজরুল বিষয়ে প্রবন্ধ পাঠ ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন মোঃ আলী আজম। কবি কান্ত পথিকের সঞ্চালনে আবৃত্তি ও সম্মাননা পর্বে রবীন্দ্র ও নজরুলের লেখা কবিতা আবৃত্তি করেন যথাক্রমে কবি সঞ্জিব ভদ্র চন্দন, কবি কাজী মাহবুবুল ইসলাম লিটন, আবৃত্তি শিল্পী কামরুজ্জামান বাবু, কবি কান্ত পথিক, শাহ সুমন রাহাত।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে তিনজনকে সমন্বিত আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের পক্ষথেকে সম্মাননা দেওয়া হয় তাদের মধ্যে কর্ম জীবনে জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স লিঃ কে পূর্বের চেয়ে বর্তমানে কুয়েতে আরো যাত্রীদের আগ্রহী করে তুলার এবং বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে চেষ্টার ফলক ও অগ্রগামি করে তোলার জন্য বিশেষ সম্মাননা স্বরূপ বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার এ.এস.এম নজরুল ইসলাম, সংস্কৃতি প্রেমী হাজী জুবায়েরকে হার্দিক সম্মাননা, শেখ এহছানুল হক খোকনকে সাংবাদিক, কবি ও আবৃত্তি শিল্পে নিবেদিত প্রাণ হিসাবে অনুপম সম্মাননা দেওয়া হয়।
রবীন্দ্র ও নজরুলের গান পরিবেশন করেন স্বরলিপি শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পী আমজাদ হোসেন খোকা। অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করে তোলার জন্যে যে সকল সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে প্রবাসী সাহিত্য পরিষদ, জাতীয় কবিতা পরিষদ, নজরুল মঞ্চ, কবি আব্দুর রহিম, কবি ওমর ফারুক জীবন, এম আজাদুর রহমান আজাদ, মঈন উদ্দিন মাঈন, খোরশেদ রফিক রাজা পাটোয়ারী, হযরত আলী মল্লিক, আজাদ নূর মানিকগঞ্জ সমিতি, সিরাজুল ইসলাম আসলাম (আরব টাইমস), একরাম হোসেন বাবুল, গোলাম সরোয়ার শিশির, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মী ও সম্পাদকদের মধ্যে আ.খ.ম আজাদ প্রবাস বাংলা, মাসুদ করিম স্বদেশ, শরিফ মোঃ মিজানুর রহমান মদীনার পথে, মাহমুদুর রহমান মাহমুদ খবর গ্র“প, দৈনিক ইয়াদ, প্রবাস কণ্ঠ, রির্পোটার্স ইউনিটি, বাংলা ভিশন, একুশে টিভিসহ বিভিন্ন স্তরের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার আলোচনায় রবীন্দ্র-নজরুলসহ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সকলের প্রতি এবং সমন্বিত আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্রের সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের পাশাপাশি সকল প্রবাসী বাংলাদেশীদের জাতীয় সম্পদ বিমানে যাতায়াত করার আহ্বান জানান। পাশাপাশি অন্যান্য বিশেষ অতিথিরাও রবীন্দ্র-নজরুল বিষয়ে আলোচনা করেন। নৈশভোজের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
Discussion about this post