আজ বুধবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে কুয়েতে ২৯ জানুয়ারী থেকে ২২ ফেব্রুয়ারী পযন্ত কুয়েতে অবৈধভাবে বসবাসরত বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়। এতে উল্লেখ্য সংশ্লিষ্ট আইনি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভ্রমেণে নিষেধাজ্ঞা যাদের নেই সে সকল প্রবাসী কারো অনুমতি ছাড়াই কুয়েত ত্যাগ করতে পারবেন। যে সকল অবৈধ প্রবাসী কুয়েতে বৈধভাবে অবস্থান করতে ইচ্ছুক তারা অনুমতি প্রদানের শর্তগুলি পূরণ করে জরিমানা আদায় করে কুয়েতে বৈধ ভাবে থাকতে পারবেন। পূর্বে যাদের রেসিডেন্সি আইন লঙ্ঘনের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছিলো বা এই সময়ে গ্রেফতার করা হবে তাদের অবিলম্বে নির্বাসন করা হবে। এই সুযোগে যারা কুয়েত ত্যাগ করবেন তারা আবার বৈধ ভাবে কুয়েত আসতে কোন বাধা নেই যদি তাদের বিরোদ্ধে কুয়েত প্রবেশে অন্য কোন প্রকার নিষেধাজ্ঞা না থাকে।
যদি রেসিডেন্সি আইন লঙ্ঘিত হয় এমন প্রবাসীরগণ এই সময় কালে কুয়েত ছেড়ে না যান আইন অনুযায়ী তাদের কঠোর শাস্তি হবে। তাদের আর কোন সময় কুয়েতে বাসস্থান পারমিট প্রাপ্ত করার অনুমতি দেওয়া হবে না, এবং কুয়েতে আসতে অনুমতি দেওয়া হবে না। জরিমানা পরিশোধ ছাড়াই কুয়েত ত্যাগের এই সুযোগটি সর্বশেষ ২০১১ সালে দেয়া হয়েছিলো। সেই সুযোগ আবার দেয়া হয়েছে এতে পরিশোধ ছাড়াই কুয়েত ত্যাগ অথবা দৈনিক দুই দিনার করে সর্বোচ্চ ৬০০ দিনার দিয়ে বৈধ ভাবে কুয়েতে থাকা যাবে।
কিছুক্ষণ পূর্বে স্থানীয় সময় বুধবার সকাল দশটায় কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আবদুল লতিফ খান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি নিশ্চিত হতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হচ্ছে নিশ্চিত হলেই অফিসিয়াল ভাবে জানিয়ে দিবেন বলে বাংলাদেশ প্রতিদিন কে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ টিভি জার্নালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন কুয়েত এর সাংবাদকর্মী বর্তমানে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে অবস্থান করছেন সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার খবরটি সম্পর্কে দূতাবাস থেকে অফিসিয়ালী নিশ্চিত হতে তার পরই বিস্তারিত ভাবে বাংলাদেশ সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করে এই সুযোগের অপেক্ষমান প্রত্যাশিদের জানাতে চেষ্টা করবেন।
অন্যদিকে কুয়েতে মঙ্গলবার বিকাল থেকে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে রিতিমতো আলোরণ সৃষ্টি করে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার বিষয়টি নিয়ে। তবে ঐদিন নির্ভরযোগ্য স্থানীয় কোন গনমাধ্যমে সংবাদটি প্রচারিত না হওয়ায় দ্বিধা বিভক্তিতে ছিলেন প্রবাসীরা। এই বিষয়ে কুয়েতে বাংলাদেশী সংবাদ কর্মিরা দূতাবাসে যোগাযোগ করলে বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর আবদুল লতিফ খান জানান গতকাল এই বিষয়ে কোন অফিসিয়াল তথ্য তাদের কাছে নেই তবে তিনি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দেখেছেন। ২০১৬ সালে এমন একটি সংবাদ স্থানীয় সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হয় যার সত্যতা শেষ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
Discussion about this post