কুয়েতে স্বর্ণের বাজার চাঙ্গা, চলতি বছরের প্রথমার্ধে রেকর্ড পরিমান স্বর্ণ ক্রয় করেছে স্থানীয় নাগরিকদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা। করোনা মহামীরর পর স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পর থেকে বিভিন্ন ব্যবসা মন্দা ভাব হলেও কুয়েতে স্বর্ণের বাজার এখনো চাঙ্গা, চলতি বছরের ২০২২ সালের প্রথমার্ধে (ছয় মাসে) অর্থাৎ জানুয়ারী থেকে জুনের শেষ পর্যন্ত নয় টন সোনা কিনেছে স্থানীয় গরিক সহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা। তথ্যমতে নয় টন স্বর্ণের মধ্যে ২.১ টন স্বর্ণের কয়েন, ৬.৯ টন তৈরী গয়না বিক্রয় করা হয়। এবছর কুয়েতে স্বর্ণের কেনাকাটা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে । কুয়েত সিটির সুক আল ওয়াতানিয়ায় স্বর্ণের দোকানগুলোতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশী বিক্রেতারা জানান লকডাউনের কারণে একদিকে ফ্লাইট বন্ধ অন্যদিকে বিভিন্ন বিধি নিষেধ থাকার কারণে অনেকে দুই তিন বছর দেশে যেতে পারেননি। ফ্লাইট খোলার পর অনেক লোক একসাথে দেশে গেছে। আর সব প্রবাসী দেশে যাওয়ার সময় কিছু না কিছু স্বর্ণ ক্রয় করে থাকেন। বছরের শুরুতে স্বর্ণের মূল্য কিছুটা কম ছিলো অনেক প্রবাসীজমানো টাকা দিয়ে স্বর্ণ কিনেছেন। কুয়েতে স্বর্ণের বাজার এখনো চাঙ্গা তবে বেশীদিন এরকম থাকবেনা নভেম্বর ডিসেম্বরের দিকে পরিবর্তন হবার আশঙ্কা করছেন স্বর্ণ ব্যাবসায়ীরা। কুয়েতের বাজারে পাওয়া যায় ২৪ ক্যারেটের শতভাগ বিশুদ্ধ স্বর্ণের কয়েন এবং বিস্কুট, তাছাড়া ১৮ ক্যারেট, ২১ ক্যারেট এবং ২২ ক্যারেটের তৈরী গয়না । স্থানীয় নাগরিক এবং আরব জাতীরা ১৮ ক্যারেট এবং ২১ ক্যারেটের স্বর্ণ বেশী ব্যবহার করেন। তবে প্রবাসীরা ২২ ক্যারেটের তৈরী গয়না বেশী ক্রয় করেন। অনেক সময় প্রবাসীরা না জানার কারণে বেশী ধাতুর অংশ যুক্ত স্বর্ণ ক্রয় করেন। প্রবাসী বাংলাদেশী বিক্রেতারা জানান তাদের কাছে বাংলাদেশী কাষ্টমার আসলে তারা ভালভাবে বুঝিয়ে দেন প্রবাসীদের কোন দেশের স্বর্ণটা ভাল বা খারাপ। কুয়েত সরকারের ভোক্তা অধিকার দল সর্বদা সজাগ। তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। পণ্যের মান ও ওজন সঠিক না রাখলে ব্যবসায়ীদের গুনতে হয় বড় অংকের জরিমানা অথবা জেল কখনো বন্ধ করে দেয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কোন ক্রেতার অভিযোগ পেলে সেটাও গুরুত্বের সাথে দেখেন স্থানীয় প্রশাসন।
Discussion about this post