কুয়েতে সরকারি, বেসরকারি কিংবা প্রাইভেট সেক্টরে কর্মীদের বেতন মাসের এক এক সময় দিয়ে থাকে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রতি মাসের ২০ তারিখ থেকে বেতন দেওয়া শুরু হয়। ২০ তারিখ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের বেতন দেওয়া চলে পরের মাসের শুরু পর্যন্ত। কুয়েতে রয়েছে আলমোল্লা এক্সচেঞ্জ, কুয়েত বাহারাইন এক্সচেঞ্জ, আল মোজাইনি এক্সচেঞ্জ, আল আমান এক্সচেঞ্জ, ওমান এক্সচেঞ্জ, ইউএই এক্সচেঞ্জ সহ অসংখ্য মানি ট্রান্সফার এক্সচেঞ্জ হাউস। বেতন পেয়ে অনেক প্রবাসী খুজঁতে থাকেন কোন এক্সচেঞ্জে দিনারের বিপরিতে টাকা বেশি পাঠানো যায়, অথবা কোন এক্সচেঞ্জে কি অফার দিচ্ছে। ভাল সুযোগ যেখানেই পান সেখান থেকেই টাকা পাঠায় প্রবাসীরা। প্রতিমাসে যখনই কর্মীদের বেতন আসা শুরু হয় তখন থেকেই কুয়েতে বিভিন্ন এক্সচেঞ্জ হাউজ গুলো গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের ওফার,বা গিফ্ট দিয়ে থাকেন। ব্যতিক্রম এক সুযোগ দিচ্ছে আলমোল্লা এক্সচেঞ্জ। এখান থেকে রেমিটেন্স প্রেরন করে কোন গ্রহক মৃত্যূবরণ করলে মৃতের পরিবারকে দেওয়া হয় এক হাজার কুয়েতি দিনারের ইন্সুরেন্স। প্রতি মাসে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে মৃত্যূবরণকারী প্রবাসী বাংলাদেশীদের তালিকা এনে ঐ মৃতের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে এক হাজার দিনারের ইন্সুরেন্সের টাকা পৌছে দিতে চেষ্টা করেন বলে জানান আল মোল্লা এক্সচেঞ্জের বাংলাদেশী কাট্রি ম্যানেজার আব্দুল বাতেন। প্রতি মাসে দেশে টাকা পাঠিয়ে ফ্রি ইন্সুরেন্সের সুযোগ পেয়ে অনেক প্রবাসী উপকৃত হচ্ছেন। গ্রাহকের মৃত্যূর পর যথা সময়ে কোন সমস্যা ছাড়া ইন্সুরেন্সের টাকা পেয়ে যেমন সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন প্রবাসীরা। আর এই সুযোগটি দিয়ে কুয়েত প্রবাসীদের কাছে পছন্দের এক্সচেঞ্জ হিসেবে ইতিমধ্যে সুনাম কুড়িয়েছে আলমোল্লা এক্সচেঞ্জ। ইন্সুরেন্সের সুযোগটি অন্য সব এক্সচেঞ্জে দেওয়ার দাবি জানান প্রবাসীরা। বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠাতে প্রবাসীদের বিভিন্ন ভাবে উদ্বুদ্ধ করছেন কুয়েতে বিভিন্ন এক্সচেঞ্জে কর্মরত বাংলাদেশী কর্মীরা। অন্যদিকে দিনারের বিপরিতে বাংলাদেশে বেশি টাকা কিভাবে পাঠানো যায় বাংলাদেশী গ্রাহকদের বুজিয়ে দায়িত্বশীল প্রবাসী হিসেবে ভুমিকা রাখছেন তারা। এক্সচেঞ্জ হাউজের মাধ্যমে বৈধ চ্যানেলে রেমিটেন্স প্রেরণ করে প্রবাসীরা নিজে নিরাপদ থাকবেন তেমনি নিজ পরিবারকে নিরাপদে রাখবেন এমনটাই আশা করেন সংশ্লিষ্টরা।
Discussion about this post