নিজ দেশের নাগকিদের কৃষি পণ্য উৎপাদনে উৎসাহি করতে কুয়েত সরকার দিচ্ছে অকল্পনীয় ভর্তুকি। নিজ দেশে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করণে কৃষি মেলায় দিচ্ছে বিশেষ ছাড়, স্থানীয় নাগরিকদের পাশাপাশি প্রবাসীরাও পাচ্ছেন এই সুযোগ। পৃথিবীর কোনো দেশই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। কোনো একক দেশের পক্ষে তার প্রয়োজনীয় সব দ্রব্য উৎপাদন করা সম্ভব নয়। প্রত্যেক দেশ নিজ দেশের বিদ্যমান প্রাকৃতিক সম্পদ, প্রযুক্তি, জলবায়ু, ভৌগোলিক সুবিধার প্রেক্ষিতে পণ্য উৎপাদনের চেষ্টা করে। পৃথিবীর সকল দেশের সুযোগ-সুবিধা এবং উৎপাদন সমান নয়। ফলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে উৎপাদনে ঘটে বৈচিত্র্য। বিশ্বের মধ্যে অন্যতম ধনী দেশ কুয়েত। দেশটির ওফরা ও আবদালী মরুভুমির দুটি অঞ্চলে প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষি পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। যদিও দেশটির মোট জনসংখ্যার চাহিদার তুলনায় অতি নগন্য। দেশটির সরকার স্থানীয় নাগরিকদের কৃষি পণ্য উৎপাদনে ভর্তুকি দেওয়ার পাশাপাশি বিশেষ সুবিদো দিয়ে থাকে। কুয়েতের কৃষি মন্ত্রনালয় দেশটিতে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য স্থানীয় নাগরিক সহ প্রবাসীরা ক্রয় করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে এবছর থেকে আয়োজন করছে কৃষি মেলার। কুয়েতে বিভিন্ন অঞ্চলে এক একদিন আয়োজন করা হয় এই মেলার। সাধারন মার্কেট থেকে মেলায় মূল্য অনেকটা কম থাকায় প্রবাসীরাও কেনাকাটা করতে আসে মেলায়। স্থানীয়ভাবে ফুলকপি, টমেটো, আলু, শশা, মরিচ, মুলা, ভুট্টা সহ অসংখ্য সবজি চাষের পাশাপাশি এখন মধু চাষ করা হচ্ছে দেশটিতে। মূল্য বেশি হলেও খাটি হওয়াতে চাহিদাও রয়েছে বেশ। শীত মৌসুম জুড়ে কুয়েতের বিভিন্ন অঞ্চলে উন্মুক্তস্থানে ছোট ছোট তাবুতে আয়োজন করা হচ্ছে এই মেলা। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রজাতির ফলমুল, ও ফুলের চারার পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা। দোকানের ক্রেতা কুয়েতি সহ বিভিন্ন দেশের হলেও বিক্রেতা বেশিরভাগই বাংলাদেশী। একদিকে করোনা মহামারির কারণে বদলে যাওয়া পৃথিবী অন্যদিকে ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধে বিশ্ব স্থবিরতার মধ্যে কুয়েতের কৃষি মন্ত্রনালয়ের এমন উদ্যোগ অন্য দেশের উপর পরনির্ভরশীল না থেকে নিজ দেশের খাদ্য ঘাটতির কিছুটা সহায়ক ভুমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
Discussion about this post