কোম্পানীর ওষুধ বিক্রি বাড়াতে ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের হুবহু মোড়কের ভিতরে উপহার দিয়ে ম্যানেজ করা হয় চিকিৎসকদের। বিক্রয় প্রতিনিধিদের মতে, এটা কোম্পানীর পলিসি, বাস্তবায়ন করা তাদের কাজ। কিছু কিছু চিকিৎসকের মতে, তারা কাগজ কলম পেয়েই খুশি, উপহার বা উপঢৌকন বড়দের জন্য। কিছু কিছু হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের নিয়ন্ত্রনে নেয়া হয়েছে নানান পদক্ষেপ, সে সব প্রতিষ্ঠানের কতৃপক্ষের মতে, ডাক্তার ও ঔষধ কোম্পানীর ঊভয়ের স্বার্থ থাকায় পুরো-পুরি নিয়ন্ত্রন কঠিন।
ডাক্তারের দেয়া প্রেসক্রিপশন এভাবে চেক করা হয় নিজ কোম্পানীর ওষুধ দেয়া হয়েছে কিনা। যারা এসব স্লিপ চেক করে থাকেন, তারা বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর মেডিকেল প্রমোশন অফিসার। কেউ জুনিয়র কেউ সিনিয়র, কিন্তু সবারই কাজ এক।এনজিও কর্মির নামে কোন কোন কোম্পানীর জন্য স্লিপের ছবি তোলেন কেউ কেউ।
এভাবে রোগীর স্লিপ চেক করা আর ছবি তোলার পেছনে রয়েছে অনেক কারন, কিছু চিকিৎসকদের বড় বড় উপহার দেয়া হলেও কোম্পানীর পক্ষ থেকে ছোট উপহার থাকে প্রতিনিওত। ওষুধের মোড়কের ভিতর চিকিৎসকদের দেয়া এমন উপহার, একুশের ক্যামেরায় বন্দি হলেও বিক্রয় প্রতিনিধির দাবী, এমনটা সব কোম্পানীই করে থাকেন।
উপহার বিষয়ে কোন কোন চিকিৎসক বিষয়টি অনৈতিক বলে জানালেও, কেউ কেউ ইঙ্গিত করেন বড় চিকিৎসকদের দিকে।
মেডিকেল প্রমোশন অফিসার বা ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধির উৎপদ্রপ ঠেকাতে কিছু কিছূ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে পদক্ষেপ। আটক করে পুলিশী হেফাজতেও দেয়া হলেও ঠেকানো যাচ্ছেনা তাদের।
চিকিৎসা ব্যবস্থার নামে ওষুধ কোম্পানীর নানাবিধ কৌশলে প্রতারনার শিকার হয় আমজনতা। তাই, ওষুধ প্রশাসনেরই উচিত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেয়া।
ফারুক হোসেন, একুশে টেলিভিশন, ঢাকা।
Discussion about this post