মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে ঃ ১৯১২ সালে গফরগাঁও থানা সদরে পাঁচ শয্যা বিশিষ্ট দাতব্য চিকিৎসালয় সরকাররি ভাবে স্থাপন করা হয়। ১৯৭১ সালে ময়মনসিংহে ক্যালেক্টর মিঃস্টিফেন বেয়ার্ড রিভিনিও এর সহযোগিতায় জেলা সদরে এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার সূত্রপাত হয়। ১৮৫৯ সালে ঢাকাতে মিটফোর্ড হাসপাতাল স্থাপিত হলে এ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার ব্যাপক প্রচলন আরম্ভ হয়।বাংলাদেশে বৌদ্ধ আমলে মঘাই শাস্ত্রীয় চিকিৎসা যেমন সর্ব সাধারণের ধরাছোয়ার উর্ধে ছিল তেমনি আধুনিক চিকিৎসার আমলেও গফরগাঁওয়ের ৫লাখ মানুষ সরকারী চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন রাজনৈতিক ও সুবিধাভোগী দায়িত্ব হীন প্রশাসন এর জন্য দায়ী। গফরগাঁও স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের অনেক ডাক্তার ও নার্স ,রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ ২৫বছর যাবত এখানে চাকুরিরত আছেন।ডাক্তার নূরুলহক তার স্ত্রী নার্স শেফালী খাতুন এবং সম্প্রতি এ হাসপাতালে যোগদান করা তাদের মেয়ে ডাঃ নাছরিন সুলতানা(মুন),হাসপাতালে রাজনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে একই সাথে স্বপরিবারে চাকুরি করছেন তিনজন। বর্তমানে গফরগাঁও স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নূরুলহক ও শেফালী খাতুনের অত্যাচারে বাহির থেকে চাকুরী করতে আসা সিনিয়র ষ্টাফ নার্স নূরজাহান বেগম,আলো রাণী বরাল,স্বপ্না সরকার,আঞ্জুমানারা,রানু চক্রবর্তী, আফরোজা সুলতানা,শিপ্লোআলেকজেন্ডার গোমেজ,আসমা খাতুনের বদলী হওয়া ও ডাক্তার নরুলহকের স্ত্রী নার্স শেফালী খাতুনের অত্যাচার ও নিযার্তনের কাহিনী স্থানীয় অর্থনীতি প্রতিনিধিকে জানান। ২০০৯/২০১০এ চারিত্রিক বিনষ্টতা ও স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগে কিশোরগঞ্জ মিঠামুইনে বদলী হন ডাঃ নরুলহক। কিছুদিন না যেতেই আবারো তৎকালীন বিএমএর সভাপতি ডাঃ হাদীকে দিয়ে গফরগাঁও স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে বদলী হয়ে আসেন।অন্যদিকে চিকিৎসার নামে একশ্রেণীর দালালচক্রের সাথে মিলে গ্রামের সহজ সরল মানুষদের কে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে ডাক্তার ও নার্স শেফালী খাতুনের যোগসাজসে দীর্ঘদিন যাবত প্রতারণা করে যাচ্ছে। সরকারি ভাবে হাসপাতাল গুলোতে বিনামূল্যে যেসব ওষুধ সরবরাহ করা হয় তার এতটুকু অসহায় রোগীরা পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ উঠেছে।নিডিল,গ্লাপ্স,সিরিঞ্জ,সেলাই সুতা,টি টি ইনজেক্সান সহ অনেক কিছুই হাসপাতালে থাকা সত্বেও রোগীদের পয়সায় কিনে আনতে বাধ্য করা হয়।ব্লাড,ইউরিন, কালাজ্বরের পরিক্ষা সরকারি ভাবে হাসপাতাল গুলোতে হওয়ার কথা থাকলেও রোগীদের প্যাথলজীক্যাল পরিক্ষা ৭ থেকে ৮ শত টাকায় করতে হচ্ছে । ডাক্তার ও নার্সদের কাছে সন্ধ্যার পর ক্লিনিক থেকে দালাদের মাধ্যমে টাকা ভর্তি কমিশন খাম চলে আসে।মাঠ কর্মীদের মধ্যে আবুল খায়ের কে মাঠে না গিয়ে কতর্ব্য অবহেলা করে হাসপাতালেই প্রতিদিন দেখা যায়। রোগীদের খাবারের ঠিকাদারী যারা পাচ্ছে তারা সরকারের দেয়া নির্ধারিত দামের চেয়ে সর্বনিম্ন দাম দিয়ে টেন্ডার ড্রপ করে পেয়ে যাচ্ছে খাওয়া সরবরাহের ঠিকাদারী।রোগীদের দেয়া হচ্ছে নিম্নমানের খাবার। ডাক্তাদের প্রাইভেট রোগী দেখার কারণে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের ভিতরে আরামদায়ক ও প্রাকৃতিক সুনিপুণ পরিবেশে কোয়াটারেই ওষুধ কম্পানির প্রতিনিধিদের বিরাট হাট বসে।কোয়াটার ভাড়া দেওয়ার সরকারি ভাবে বিধান থাকলেও বিদ্যুত, গ্যাস,পানি থেকে শুরু করে কোয়াটার গুলো কোন প্রকার ভাড়া না দিয়ে ডাক্তার ও নার্সরা বছরের পর বছর থাকা খাওয়ার সুবিধা নিচ্ছে। অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার থাকার পরও এখানে কোন প্রকার ছোট খাটো অপারেশনের দায়িত্ব নিতে দেখা যায় না বলে ভুক্তভোগী রোগীরা জানান।স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের চাকুরীরত অধিকাংশ ডাক্তাররা ঢাকা,ময়মনসিংহ থেকে ট্রেন অথবা বাইরোডে আসেন বলে সকাল এগারোটার আগে হাসপাতালে কোন ডাক্তার পাওয়া যায়না। স্থানীয় ডাক্তারদের স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে বাসা থাকার কারণে সুযোগ পেলেই প্রাইভেট রোগী দেখতে চলে যান। জটিল রোগী আসার পর রোগীদের অভিভাবকরা অনুরোধ করে ডেকে আনেন বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। এবিষয়ে গফরগাঁও দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ডাঃ কেএম এহছান বলেন গফরগাঁও স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে সরকারি ভাবে সব কিছু থাকার পরেও সামান্যতম চিকিৎসা মানুষ পাচ্ছিলনা যখন, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির প্রচেষ্টায় গাইনী রোগীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা,এক্সরে পরিক্ষা সহ বেশ কিছু সার্ভিস ডাক্তারদের কাছথেকে কিছুদিন পাওয়া গেছে।তিনি এসব ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্যবিষয়ক কর্মকর্তা ডাঃ কামরুজ্জামান জানান আমি দায়িত্বে আসার আগে নার্সদের অনেকের সাথে শেফালী বেগমের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।তবে আগে যা হয়েছে তা থেকে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের অবস্থ্যা এখন ভালো।আমি চেষ্টা করছি গফরগাঁও হাসপাতাল থেকে কেউ যেন সেবা বঞ্চিত হয়ে ফিরে না যায়।
ত্রিশাল পৌরসভার নামাপাড়ায় রাতের আধারে একটি ফিসারির ৪ লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে ঃ ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার নামাপাড়া এলাকায় রাতের আধারে একটি ফিসারির ৪ লক্ষাধিক টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এঘটনায় ত্রিশাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানাগেছে ত্রিশাল পৌরসভার নামাপাড়া এলাকায় গত-৯ জুলাই দিবাগত রাতে সাখাওয়াত হোসেন তুয়াব নামক এক যুবকের ৮কাটা জমিতে স্থাপিত মৎস ফিসারীর ৪ লক্ষাধিক টাকার দেশি ও পাঙ্গাস মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। সাখাওয়াত হোসেন তুয়াব প্রায় ৬ বছর যাবত মাছ চাষ করে নিজেদের জীবিকা অর্জন করে আসছে। প্রথমে সে ১০ হাজার টাকা নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেছিলেন,তার মনে আশা ছিল ফিসারীর মাধ্যমে ব্যবসা করে একটু লাভবান হয়ে নিজের জীবনকে একটি ভাল অবস্থানে নিয়ে সামাজিক ভাবে অসহায় মানুষের পাশে থাকবে। কিন্তু দুর্বৃত্তদের এ কর্মকান্ডের ফলে তা আর সম্বই হচ্ছে না। এ ঘটনায় প্রায় ৫লক্ষ্যাধিক টাকার মাছের ক্ষতি হওয়ায় মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে সাখাওয়াত হোসেন তুয়াব।
গফরগাঁও পৌর যুবদলের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠিত
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে ঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল , ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলার সভাপতি শামীম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাসুদুল হক মাসুদ গফরগাও পৌর শাখার ১০১ সদস্য বিশিষ্ট্য পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করেন । সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম রিপন, সহ-সভাপতি আকরাম হোসেন শিমুল, আরাফাতুল ইসলাম পলাশ, মোঃ মামুনুর রহমান, আতিকুর রহমান মিল্টন, আব্দুল কাদের স্বপন, সাধারণ সম্পাদক কাজী আতিকুল ইসলাম রনি, যুগ্ম-সম্পাদক জাকির হোসেন ভূইঞাঁ, খোকন মিয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর বেপারি, আসাদুল মিয়া, মোখলেছুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কাঞ্চন মিয়া, কোষাধ্যক্ষ শাহীন আহমেদ, সহ-কোষাধ্যক্ষ আরিফ হোসেন, প্রচার সম্পাদক লিটন শেখ, সহ-প্রচার সম্পাদক মাইনদ্দিন ভুট্টো, দপ্তর সম্পাদক আমিনুল ইসলাম সুজন, সহ-দপ্তর সম্পাদক পরশ মিয়া, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সোহেল মিয়া, সহ- সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক নজরুল ইসলাম, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডঃ নাজমুল হক টুটুল, সহ-আইন বিষয়ক মোঃ সোহেল মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক মাহমুদুল হক লিটন, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক আতিকুল মিয়া, তথ্য গবেষণা সম্পাদক নিপু সাহা, সহ-তথ্য গবেষণা সম্পাদক রুবেল মিয়া, যোগাযোগ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, সহ- যোগাযোগ এরশাদ মিয়া, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক জসিম মিয়া, সহ- সমাজ কল্যাণ সম্পাদক রফিক মিয়া, গণ শিক্ষা সম্পাদক আল-আমীন, সহ- গণ শিক্ষা সম্পাদক তুষার আহমেদ রানা, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নাজিম আহমেদ, সহ- ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আরিফ হোসেন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শাকিল আহমেদ, সহ- শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আল-আমীন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক লুটন খান মনা, সহ- সাংস্কৃতিক বিষয়ক আল-আমীন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম সানা, সহ- পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক রানা আহমেদ, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক সুমন মিয়া, সহ- শিল্প বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মাজাহারুল ইসলাম, সহ- বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক সুজন মিয়া, তথ্য যোগাযোগ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম আলম তপন, সহ- তথ্য যোগাযোগ ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রুবেল মিয়া, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আলমগীর হোসেন, সহ- কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শাহানুর, ত্রাণ ও পুর্ণবাসন বিষয়ক জাহাঙ্গীর আলম, সহ- ত্রাণ ও পুর্ণবাসন বিষয়ক রিফাত মিয়া, গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক মোঃ পলাশ, সহ- গ্রাম সরকার বিষয়ক শফিকুল ইসলাম, মৎস্য ও পশু পালন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল ইসলাম, সহ- মৎস্য ও পশু পালন বিষয়ক সম্পাদক ইমরান হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক নয়ন মিয়া, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সুজন মিয়া, কর্ম সংস্থান বিষয়ক সম্পাদক হাসান আহমেদ, সহ- কর্ম সংস্থান বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য বৃন্দরা হলো- আজাহারুল ইসলাম, প্রভাষক জামাল আহমেদ, ফয়জুল হক সিজার, আলতাফ হোসেন, রুহুল আমীন রুবেল, হারুনোর রশিদ, নবী হোসেন, রুবেল মিয়া, কিরণ মিয়া, হুমায়ুন মিয়া, আনোয়ার হোসেন মুক্তা, বিল্লাল হোসেন, আরিফ হোসেন, ইব্রাহিম মিয়া, পাপ্পু, ইমরান, রাজীব আহমেদ, রুজেন, ইমরান হোসেন, নজরুল ইসলাম, ইব্রাহিম সরকার, মাসুদ মিয়া, কাজী মেহেদী হাসান, রানা, সিদ্দিক, রিপন, সামছুল ইসলাম, সেলিম, রতন, নাজিম উদ্দিন, সোহাগ, কামরুল, সেলিম মিয়া, মনির হোসেন, সবুজ মিয়া, আসাদুজ্জামান মঞ্জু, সুমন মিয়া, নাজমুল হক, রাসেল শেখ ও জোনায়েত আল ফারুকী।
Discussion about this post