মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে : ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের গৌরীপুর উপজেলার গাজীপুর নামক স্থানে বিআরটিসি বাস চাপায় মোঃ রইছ উদ্দিন (২৪) নামের এক যুবক ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন। সে স্থানীয় পানহাটি গ্রামের মৃত মেঘার বাপ‘র ছেলে। (২৫জুন) মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ওই মহাসড়কের গাজীপুর চৌরাস্তায় সড়ক পারাপারের সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে উত্তাল এলাকাবাসী দুর্ঘটনাস্থলে গতিরোধক নির্মাণের দাবীতে সহাসড়কের উপর গাছের গুড়া ফেলে প্রায় দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এসময় চরম ভোগান্তীর শিকার হয়েছেন রাস্থার দু‘পারে আটকে পড়া শতশত যানবাহনের হাজার হাজার যাত্রী। খবর পেয়ে পুলিশ এসে অবরোধ তোলে নিতে চাইলে এসময় বিক্ষুদ্ধ জনতা প্রায় ১৫টি যানবাহন ভাঙ্গচুর করে। এসময় পুলিশের লার্ঠিচার্র্জে প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের খালাত্ ভাই বাবুল মিয়া জানান, বাসের চাপায় নিহত- রইছ উদ্দিন কাঠ মিস্ত্রির কাজ করতেন। পেশাগত কাজে ওই দিন ভোরে গাজীপুর বাজার সংলগ্ন তাঁর ফুফাত ভাইয়ের বাড়িতে কাজ করার জন্য সে গাজীপুর চৌরাস্থায় আসে। এসময় মহাসড়ক পারাপারের সময় কিশোরগঞ্জ থেকে আসা একটি দ্রুতগামী বিআরটিসি বাস তাঁকে চাপা দিলে তাঁর মাথা ও মুখমন্ডল থেতলে গিয়ে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। এসময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাস্তায় গাছের গুড়া ফেলে দির্ঘক্ষন মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শায়লা ইয়াসমিন ও গৌরীপুর থানার ওসি মোঃ হামিদুল ইসলামের উপস্থিতিতে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ অবরোধ তোলে নিতে চাইলে বিক্ষোভকারীরা যানবাহন লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে মারে। এসময় পুলিশ লার্ঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গেলে পুলিশের লাঠিচার্জে প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শায়লা ইয়াসমিন এ প্রতিনিধিকে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে আজকের মধ্যেই গাজীপুর দুর্ঘটনাস্থলে গতিরোধক নির্মাণ করা হবে বলে তিনি উত্তেজিত জনতাকে আশ্বস্থ করেছেন।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হামিদুল ইসলাম জানান, রাস্তায় গাড়ী ভাঙচুর প্রতিহত ও যান চলাচল স্বাভাবিক করতেই পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর লার্ঠিচার্জ করেছে। ঘাতক বাসটি ময়মনসিংহ কোতয়ালী থানায় আটক রয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে।
Discussion about this post