করোনার প্রাদুর্ভাবে বিশ্বব্যাপী অসংখ্য মানুষ যেমন চাকরি হারিয়েছে তেমনি ব্যবসা বাণিজ্যে নেমেছে ধস। এই মহামারীর কারণে অনেকে হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ব্যবসায়ীদের ভাগ্য খুলেছে বললে ভূল হবে না। এছাড়া দীর্ঘ লকডাউনের ক্ষতি কাটিয়ে নতুন ব্যবসার মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে অনেকে।
কুয়েতে মরু অঞ্চলে অবস্থিত সেবদি এলাকায় এক দোকানি শহিদুল ইসলাম চান্দু দীর্ঘদিন কুয়েতে আছেন। তিনি জানান অন্য সময় একা দোকান চালিয়ে কোন রকমে দিন যাপন করতেন। লকডাউন এর কারণে তার দোকানে বিক্রি বেড়েছে বহুগুণ । বর্তমানে তিনজন কর্মচারী সাথে নিয়ে চালাচ্ছেন তার ব্যবসা।
সুদূর মরুভূমিতেও বিদেশিদের কাছে দেশীয় পণ্য বিক্রি করে বাংলাদেশকে বিদেশিদের কাছে তুলে ধরছেন।
এছাড়া দীর্ঘ লকডাউনের ক্ষতি কাটিয়ে নতুন ব্যবসার মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে অনেকে।
হাওয়াল্লী মোজাম্মাহ আদাসানির পাশে দেখা যায় আলি নামে একজন বাংলাদেশীকে। দেশ বিদেশের তাঁজা শাক সবজি ফল মুলের দোকান খুলেছেন। দেশী বিদেশী ফলমূল পাইকারি ও খুচরা বিক্রি হয় তার দোকানে। শুধুমাত্র বাংলাদেশীদের জন্য বিশেষ ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকেন বলে জানান। তিনি জানান লকডাউনের ক্ষতি কাটিয়ে নতুন ব্যবসার মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।
এই এলাকায় তাঁজা শাক সবজি ও ফলমূলের বাংলাদেশী মালিকানাধীন দোকান পেয়ে খুশি বাংলাদেশী ক্রেতারা।
বৈশ্বিক মহামারি কাটিয়ে জীবনযাত্রা চলবে স্বাভাবিকভাবে এমন দিনের প্রতীক্ষায় আছেন সবার মতো কুয়েত প্রবাসীরা।
Discussion about this post