খুচরা মুরগি বিক্রেতাদেরকে আধুনিক স্বাস্থ্য সম্মতভাবে মুরগি জবাই, সংরক্ষণ ও বিক্রিয়ের পরিবেশ নিশ্চিত করা না গেলে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ মুরগির মাংশ নিশ্চিত সম্ভব হবে না। খামারীরা স্বাস্থ্যসম্মত মুরগি সরবরাহ করলেও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জবাই, পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ না থাকা, খুচরা মুরগি বিক্রেতাদের অজ্ঞতার কারনে নিরাপদ মুরগিও অনেক সময় অনিরাপদ হয়ে যায়। সেকারনে খুচরা পর্যায়ে মুরগি জবাইয়ের নিয়ম কানুন, বিধি বিধান ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। তা না হলে নিরাপদ মুরগির মাংশ নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে যাবে। এ অবস্থায় খুচরা মুরগি বিক্রেতাদের মাঝে এবিষয়ে আধুনিক ও বৈজ্ঞানিকসম্মত জ্ঞান ও তথ্য প্রদান করে খুচরা মুরগি বিক্রেতাদের সক্ষমতা বাড়ানো, দোকানের পরিবেশ উন্নয়ন, পানি ও পয়ঃ প্রণালীর উন্নয়নে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ইং নগরীর চান্দগাঁওস্থ ক্যাব বিভাগীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ক্যাব’র পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রকল্পের উদ্যোগে খুচরা মুরগি বিক্রেতাদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত মতামত জানানো হয়। ইউকেএইড, বৃটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় প্রকাশ প্রকল্পের কারিগরী সহযোগিতায় পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রকল্প, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন। মতবিনয় সভায় রিসোর্স পার্সন ছিলেন পাচঁলাইশ থানা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাকিয়া আকতার। অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কার্যালয়ের আইবিপি প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী মোস্তফা কামাল, ক্যাব পাঁচলাইশের যুগ্নস সম্পাদক সেলিম জাহ্ঙ্গাীর, ক্যাব চান্দগাঁও এর সহ-সভাপতি সেলিম সাজ্জাদ। আলোচনায় অংশনেন ক্যাব আইবিপি প্রকল্পের মাঠ সমন্বয়কারী জগদীস চন্দ্র রয়, খুচরা মুরগি বিক্রেতা আবদুল কাইয়ুম, মোঃ ইসমাইল, মোঃ মোজাহের, আবদুল রশিদ প্রমুখ।
সভায় বলা হয় খুচরা মুরগি বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য সম্মতভাবে জবাই, সংরক্ষণ বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা না থাকায় তারা অবৈজ্ঞানিক ভাবে ও পুরানো ধ্যান ধারনায় ও প্রযুক্তি নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছে। ফলে সাধারন মানুষের মধ্যে পুরোপুরি আস্থা অর্জিত হয়নি। অনেকেই সুপার শপ থেকে ড্রেসড মুরগী কিনে খাচ্ছেন। অথচ খুচরা মুরগি বিক্রেতাদেরকে যদি কিছু জ্ঞান, দক্ষতা দিয়ে সক্ষম হিসাবে তৈরী করলে তৃণমূল পর্যায়ে নিরাপদ মুরগির মাংশ নিশ্চিত সম্ভব হতো। সেকারনে খুচরা মুরগি বিক্রেতাদের মাঝে স্বাস্থ্যসম্মত মুরগি জবাই, সংরক্ষন ও বিক্রয়, পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ, মুরগির মানস্মত খাবার নিশ্চিতসহ নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর দোকানের পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতা ও সক্ষমতা সৃষ্ঠিতে আরও কর্মসুচি গ্রহন করার কথা জানানো হয়। একই সাথে খুচরা মুরগি বিক্রেতাদের মাঝে নিরাপদ মুরগি বিক্রয় নিশ্চিত করতে পাঠ পর্যায়ে প্রাণিমসম্পদ অফিস ও ক্যাব যৌথভাবে পরিদর্শন ও মনিটরিং জোরদার, আদর্শ মুরগি বিক্রয় কেন্দ্র প্রর্দশনের জন্য শিক্ষামুলক পরির্দশন কর্মসুচিসহ খুচরা মুরগী বিক্রেতাদের সক্ষমতা উন্নয়ন, খুচরা মুরগি বিক্রিতে স্বাস্থ্যসম্মত মডেল বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপনে উৎসাহিত করা, বাজারে মুরগি বিক্রিতে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ উন্নয়নে উদ্যোগ নেবার কথা জানানো হয়।
Discussion about this post