সুন্দরী তরুণী বিস্মিত হন এই ভেবে যে, কেন ছেলেরা মধ্যবয়স্ক নারীদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। দিন দিন এই ধরনের সম্পর্ক বেড়েই চলেছে। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। মধ্যবয়স্ক নারীর মধ্যে শারীরিক ও চারিত্রিক বহু আকর্ষনীয় বৈশিষ্ট আছে।
আর এ সৌন্দর্য তারা সুন্দরভাবে মেলেও ধরতে পারেন। ছেলেরা এই লুকায়িত সৌন্দর্যই খুঁজে বেড়ায় এবং এতে মুগ্ধ হয়। সবচেয়ে বড় কথা সুন্দরী, অবিবাহিত তরুণীরা যত আকর্ষণীয় হোক না কেন একজন মধ্যবয়স্ক নারীর পূর্ণতার কাছে অনেক ক্ষেত্রেই আনাড়ি তারা।
গবেষণায় বিশেষজ্ঞরা ৭টি কারণ খুজেঁ বের করেছেন, যার কারণে ছেলেরা মূলত মধ্যবয়স্কা মেয়েদের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে:
১. আত্মবিশ্বাস: নিজের সম্পর্কে পরিষ্কার জ্ঞান এ বয়সে নারীদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। এই ভারসাম্য ও আত্মপ্রত্যয়ী মনোভাবই তাকে ভেতর থেকে তীব্র আবেদনময়ী ও আকর্ষণীয় করে তোলে। আত্মবিশ্বাসী নারীরাই পুরুষের কাছে কাম্য।
২. দায়ীত্বশীলতা: মধ্যবয়স্কা নারী নিজেকে গড়ে তোলার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করেন। তারা কী চান সেটা তারা ভালো করেই জানেন তাই তাদের লক্ষ্য স্থির ও স্বচ্ছ থাকে। মধ্যবয়স্ক নারীই পারে একজন মানুষকে জীবনের আঁকাবাঁকা পথ চেনাতে, আস্থা তৈরি করতে, ওপরে উঠার প্রবল ইচ্ছাশক্তি তৈরি করতে এমনকি প্রবল আত্মসম্মানবোধ তৈরি করতে। জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি একটি মানুষকে কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াতে নয়, জীবনের অমোঘ বাস্তবতা শেখাতে পারেন।
৩. স্বাধীনতা: সাধারণত অধিকাংশ মধ্যবয়স্কা নারী কোন ভনিতা ছাড়াই পুরোপুরি খুশি থাকে। একজন পুরুষকে তার আবশ্যিক করে তোলার কোন দরকার পড়ে না। তিনি কখনোই তার ওপর নির্ভর করেন না, এমনকি তার নিজের ডিনার অথবা কফির বিল নিজেই দেয়ার মানসিকতা রাখেন। আপনি কি কোন জটিল মানসিক গেম আপনার প্রিয়জনের সাথে খেলতে পারবেন? ভালো করে চিন্তা করে দেখুন। মধ্যবয়স্কা নারীরা কখনোই কোন গেম খেলতে যান না কারন তাঁরা ভালো করে জানেন তাঁদের কী প্রয়োজন। মানসিক এবং আর্থিক স্বাধীনতা একটি মানুষের জীবনের গুরুত্বপুর্ণ অর্জন।
৪. সততা: একজন মধ্যবয়স্ক নারী পুরুষকে বিশ্বাস এবং সততার স্তরগুলো ভালোভাবে শিখিয়ে নিতে পারেন। প্রেম, ভালোবাসা, বিয়ে যে কোনো ধরনের সম্পর্কেই শ্রদ্ধা একটি গুরুত্ত্বপূর্ণ ব্যাপার। মধ্যবয়স্ক নারী তার দৈনন্দিন জীবনে অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন। তার মধ্যে সততা, বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধাবোধ প্রবল থাকে। একজন মধ্যবয়স্ক নারী কখনোই একাধিক পুরুষের প্রতি কামনা রাখেন না। যে পুরুষটি অন্য একাধিক নারীদের সাথে ডেট করছে তার প্রতি এ নারীরা কখনোই আগ্রহ প্রকাশ করেন না।
৫. অভিজ্ঞতা: মধ্যবয়স্কা নারী জীবনে একাধিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাই তার অভিজ্ঞতাও অনেক। জীবনের ছোটখাট সবধরনের সম্পর্কের অভিনয় তিনি নিখুঁতভাবে বিবেচনা করতে পারেন। এটা কিভাবে সমাধান করা যায় যায় সেটাও তিনি ভালো জানেন। মধ্যবয়স্ক নারী যথাসময়ে আবেগী হয়ে ওঠেন এবং পুরুষটির সাথে সত্যিকার গাঢ় সম্পর্ক স্থাপন করার চেষ্টা করেন। তিনি প্রিয় মানুষটির কাছে নিজেকে এমন ভাবে মেলে ধরেন যাতে সেই মানুষটি তাকে সহজভাবে পড়তে পারে। ফলে তিনি একজন ভালো মানুষ, একজন ভালো বন্ধু, এমনকি দীর্ঘ চলার পথে ভালো একজন সঙ্গী হতে পারেন।
৬. পারস্পরিক বোঝাপড়া: একে অপরের মধ্যে যদি বোঝাপড়া ভালো না হয় তাহলে সম্পর্কের শুরুতেই হোঁচট খেতে হয়। তীব্র আগ্রহ মুখ থুবড়ে পড়ে। সম্পর্কের মধ্যে বোঝাপড়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। অর্থময় বোঝপড়া সম্পর্ককে আনন্দময় করে তোলে। আর এটা গড়ে ওঠে মধ্যবয়স্ক নারীর জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ারের মাধ্যমে। পারস্পরিক কথোপকথন জীবনের গল্পকে থামিয়ে দিবে না, বরং জীবনের গতিকে বাড়িয়ে দেবে। পরস্পরকে ভালো করে বুঝে ওঠার পথ তৈরি করে দেবে। যে পুরুষটি শুধু সেক্স এবং একটু মুগ্ধতার চোখে তাকানোর জন্য অপেক্ষা করতো সেই পুরুষটির মধ্যেও এই নারীর প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জেগে ওঠে।
৭. যৌনতা: বিছানায় একজন মধ্যবয়স্ক নারী যথেষ্ট অভিজ্ঞ, সে তার চরম মুহূর্তের চাওয়া পুরুষটিকে বলতে দ্বিধা করে না। তৃপ্তিময় যৌনতায় তিনি সব ধরনের অনিরাপদ ভীতিকর ব্যাপারগুলোর উর্ধ্বে থাকেন। এই খোলামেলা সততাই
দুজনকে সুখের চরম পর্যায়ে নিয়ে যায়। আমরা যদি কাউকে ‘সেক্সুয়ালি স্যাটিসফাইড’ বলি সেটা অবিশ্বাস্যভাবে সেই ব্যক্তিকে আত্মবিশ্বাসী ও ভেতর থেকে সতেজ করে তোলে। মধ্যবয়স্ক নারীর এই ধরনের গুনাবলী একজন পুরুষকে সহজেই সন্তুষ্ট করে। অন্যান্য বড় কারণ ছাড়াও এই কারণে মধ্যবয়স্ক নারীর প্রতি পুরুষেরা বেশি আকৃষ্ট হয়। এ নারীরা বিছানায় অত্যাধিক প্লেফুল, রোমাঞ্চকর হন। পুরুষটির মাঝে নিজেকে উৎসর্গ করে দিতে পারেন।
সূত্র: ইন্টারনেট
Discussion about this post