বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের আলোচনায় জেলা পরিষদ প্রশাসক এড. জহিরুল হক খোকা জনসংখ্যা রোধে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে ॥ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের আলোচনায় সভায় ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ প্রশাসক এড. জহিরুল হক খোকা বলেছেন, জনসংখ্যা রোধে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে । তাদের আরো গতিশীল হতে হবে। তিনি বলেন, ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন করতে হবে। জেলা পরিষদ প্রশাসক আরো বলেন, নারীরা আজ প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। জনসংখ্যা রোধে নারীদের অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। তবে পুরুষের ভূমিকাও কম নয়। জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অতি: জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: আব্দুল আওয়াল এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান ফকির, সিভিল সার্জন ডা: সঞ্জিব কুমার চৌধুরী, আলহাজ্ব শাহ রফিকুল হক বাদশা প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে জেলার শ্রেষ্ট কর্মীদের মাঝে সার্টিফিকেট ও ক্রেষ্ট বিতরন করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলার শ্রেষ্ট সরকারী ক্লিনিক হিসাবে মা ও শিশু স্বাস্থ্য ক্লিনিক এর পক্ষে ডা: রোকশানা করিম, শ্রেষ্ট বেসরকারী ক্লিনিক হিসাবে মেরীষ্টোপ আব্দুল আজিজ, শ্রেষ্ট উপজেলা হিসাবে সদর উপজেলার পক্ষে বয়রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আব্দুল মালেক, শ্রেষ্ট ইউনিয়ন হিসাবে আকুয়া পক্ষে ইউপি সদস্য মো: তারা মিয়া, আকুয়া ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কর্মী মালা রানী, সিরতা ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা সহকারী মুর্শিদা পারভীন প্রমুখ সার্টিফিকেট ও ক্রেষ্ট গ্রহন করেন।
শিক্ষা জাতীয়করন সহ ১৭ দফা বাস্তবায়নেরর দাবীতে ময়মনসিংহে শত শত দিন ব্যাপী গণ অনশন
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে ॥ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীগণ সরকারী বেসরকারী বৈসম্য দুর করার লক্ষে সরকারী শিক্ষক কর্মচারীদের সমপরিমান ইনক্রিমেন্ট, বাড়ী ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতাসহ জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ সহ ১৭ দফা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবীতে আজ বুধবার ময়মনসিংহ রেলওয়ে কৃষ্ণচুড়া চত্তরে শিক্ষক কর্মচারীদের দিন ব্যাপী গণঅনশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি ও ঔক্য পরিষদ আহবায়ক মো: আবু বকর সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক দুকুল চন্দ্র দেব, জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক মো: চাঁন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মোতাহার হোসেন, গফরগাঁওয়ের শিক্ষক নেতা মো: জসিম উদ্দিন, আকবর আলী, আঞ্চলিক কমিটি নেতা মনিরা বেগম অনু, খালিদ হিল¬ুল, হালুয়াঘাট শাখার সম্পাদক বজলুর রহমান, গৌরীপুর শাখার সম্পাদক মো: আজিজুল হক, ত্রিশাল শাখার সম্পাদক অবিনাস দাস, ফুলবাড়ীয়া শাখার সভাপতি আব্দুল হাই, মুক্তাগাছা শাখার সভাপতি আমজাদ হোসেন, নান্দাইল শাখার সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ঈশ্বরগঞ্জ শাখার সভাপতি ক্ষমা রানী সরকার, ফুলপুর শাখার আহবায়ক রুকন উদ্দিন, শিক্ষক নেত্রী আনোয়ারা সুলতানা আনু, পারভীন আক্তার রেবা প্রমুখ। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি এড. আনিসুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আমিন কালাম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নাজিম উদ্দিন আহাম্মেদ, সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক এড. এমদাদুল হক মিল¬াত, গণ ঐক্য ময়মনসিংহ জেলার আহবায়ক অধ্যাপক আতিকুর রহমান, টিইউসি’র ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি ফয়জুর রহমান, যুব ইউনিয়ন ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি আব্দুর রব মোশাররফ, মহিলা পরিষদ ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি ফেরদৌসী রহমান হেলেন প্রমুখ। গণ অণশন কর্মসূচী শেষে সিপিবি’র ময়মনসিংহ জেলার সভাপতি আব্দুল আজিজ তালুকদার পানি পান করিয়ে শিক্ষক কর্মচারীদের অণশন ভাঙ্গান।
নান্দাইলে বেঞ্চ ও অবকাঠামোর অভাবে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল অবস্থা কোন কোন স্কুলে শিক্ষার্থীরা ফ্লোরে বসে ক্লাশ করছে
মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ থেকে ॥ ঃ সরকার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষায় বড় বড় পরিকল্পনা গ্রহন করছে। জ্ঞাণভিত্তিক সমাজের জন্য প্রয়োজনীয়তার কথা সবাই স্বীকার করে থাকেন । এই শিক্ষার শুরু কিন্তু প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই ,সরকারতো শিক্ষাকে জনগনের দ্বারগোড়ায় পৌছে দেয়ার ব্যাপারে প্রতিজ্ঞাবদ্ব । ২০১৪ সালের মধ্যে নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতিবদ্ব সরকার ।প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে এতসব আয়োজন থাকা সত্বেও নান্দাইল উপজেলার গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ভবনের জরাজীর্ণ করুন অবস্থা চোখে পড়লে মনে প্রশ্ন জাগে আদৌ কি ২০১৪ সালের মধ্যে নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশগড়া সম্ভব? প্রবাদে আছে আলোর নীচে অন্ধকার থাকে । ময়মনসিংহে নান্দাইল উপজেলায় বর্তমানে ৬০%ভাগ স্কুলে ক্লাসরুম বেঞ্চ ও উপকরণের অভাবে ছাত্রছাত্রীরা সুণ্ঠুভাবে লেখাপড়া করতে পারছে না।নান্দাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়,উপজেলায় বর্তমানে সরকারী ১১৫টি ,বেসরকারী রেজির্ষ্টাড ৫৭টি মোট ১৭২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে । এসব বিদ্যালয়ে ৬৪৫০০ ছাত্রছাত্রী রয়েছে । আর ৮৩৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মরত রয়েছেন। সরজমিনে ঘুরে দেখাগেছে উলুহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেঞ্চের অভাবে ছাত্র ছাত্রীরা ফ্লোরে বসে ক্লাস করছে । এই বিদ্যালয়ে ২০০৫ইং সনে এলজিইডি বিভাগ কর্তৃক নির্মিত একটি ভবনের ফ্লোরের প্লাষ্টার উঠে গেছে। এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাদি আহম্মদের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, বিদ্যালয়ের আসবাবপত্রের সমস্যার কথা জানিয়ে গত মে মাসে কর্তৃপক্ষের নিকট চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে । বেঞ্চের চরম সংকট চন্ডীপাশা সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুলধুরুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঘাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, লংপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিয়া পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় আল আজাহার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে বেঞ্চ ও অবকাঠামোর অভাবে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে । এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ এমদাদুল হক ভুইয়ার সাথে কথা বললে তিনি সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বরাদ্দের জন্য চিঠি দিয়েছি ।
Discussion about this post