নাজমুল হক বাংলার র্বাতা জামালপুর প্রতনিধিঃি জামালপুরে ব্যাঙের ছাতা মতো গজিয়ে উঠা ভেজষ চিকিৎসা কেন্দ্রর কুরুচিপূর্ণ এবং বিক্রিত বিজ্ঞাপণে আকৃষ্ট হয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছে শত শত যুবক। জামালপুর শহরের ভকেশনাল মোড়, মালগোদার সড়ক, মুকন্দবাড়িসহ শহরের প্রধান সড়ক ঘেষেঁ গড়ে উঠা এসব ভেজষ মেডিকেল হল বা হারবাল চিকিৎসা কেন্দ্র গুলোতে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করা হলেও প্রশাসন রয়েছে নিস্ক্রীয়।
ভূক্তভোগিরা জানিয়েছে, জামালপুর শহরের নিউ ইন্ডিয়া ভেজষ মেড়িকেল, কোরিয়ান ভেজষ মেডিকেল, কলিকাতা ভেজষ মেডিকেল ও জার্মান ভেজষ মেডিকেলসহ শহর ও গ্রামগঞ্জে গড়ে উঠা হারবাল চিকিৎসা কেন্দ্রে চলছে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা। এসব ভেজষ ও হারবাল চিকিৎসক এবং মালিকরা একে অপরের সাথে পাল্লা দিয়ে কুরুচিপূর্ণ পোষ্টার লিফলেট, হ্যান্ডবেল শহর থেকে শুরু করে গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারের ঝুঁলিয়ে যুবকদের আকৃষ্ট করে আসছে। আর এসব বিক্রিতরুচির বিজ্ঞাপণে বিভ্রান্ত হয়ে গ্রামের সহজ-সরল যুবক ও তরুণরা চিকিৎসা নিতে যায় হারবাল চিকিৎসা কেন্দ্রে কথিত হেকিমের কাছে। গোপন অঙ্গের গোপন চিকিৎসার সুযোগ নিয়ে গ্রাম থেকে আসা যুবকদের কাছ থেকে কথিত হেকিমরা চিকিৎসা নামের হাতিয়ে নেয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর চিকিৎসার নামে দেয়া হয় যৌন উত্তেজক জাতীয় ট্যাবলয়েটসহ বিভিন্ন ধরনের তরল ওষুধ। এসব যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করে প্রাথমিক পর্যাযে নিজেকে স্বাভাবিক মনে হলেও পরবর্তীতে য়ৌন বিক্রিতির শিকার হয় ওই যুবকরা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তের জামালপুর সদর উপজেলার হাজিপুর বেপারীপাড়া গ্রামের এক এবং সরিষাবাড়ি উপজেলার কয়েকজন যুবক এই প্রতিবেদককে বলেন, নিউ ইন্ডিয়া ভেজষ মেডিকেল চিকিৎসা কেন্দ্রের বিক্রিতরুচির বিজ্ঞাপণ দেখে তারা চিকিৎসা নিতে আসে ওই মেডিকেলে। তাদের কাছ থেকে প্রতমে ৫ হাজার এবং পর্যায়ক্রমে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয় ওই মেডিকেলের রাজন মোঃ ঠান্ডু হাওলাদার ও কথিত হাকিম মোঃ শাহীন রানা। তাদের দেয়া যৌন উত্তেজক ওষুধ খেয়ে তারা বর্তমানে প্রায় যৌন শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। এখন তাদের আর স্বাভাবিক যৌন ক্ষমতা নেই। কথিত হেকিম সাহেবদের দেয়া ওষুধ ছাড়া এখন তারা পুরোপুরি অক্ষম। তাদের অভিযোগ প্রশাসনের নাকের ডগায় হারবাল চিকিৎসার নামে এই অপচিকিৎসা করে যুব সমাজকে ধ্বংস করা হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ কথিত হেকিম ও হারবাল চিকিৎসা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন এমনটাই প্রত্যাশা ভূক্তভোগিদের। #
Discussion about this post