জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন কুয়েত শাখার অভিষেক। এ উপলক্ষ্যে পরিচিতি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ৮ ডিসেম্বর শুক্রবার কুয়েতের খাইতান প্যালেস রেস্তোরাঁয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আব্দুল হাই মামুন। সাধারণ সম্পাদক মুরাদুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দেশবরেণ্য ব্যাংকার, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ঢাকার সভাপতি সি এম কয়েস সামি।প্রধান বক্তা হিসেবে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব এবং জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ঢাকার সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। প্রধান অতিথি সি এম কয়েস সামি অনুষ্ঠান আয়োজকদের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দেশের শীর্ষ সামাজিক সংগঠন ‘জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন’ সিলেট অঞ্চলের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্যোগে ১৯৪৮ সালে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এর পর থেকে সিলেটের স্বনামধন্য সংগঠকদের নেতৃত্বের মাধ্যমে সংগঠনটির পরিধি বিস্তৃতি লাভ করে। তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় অর্ধশতাধিক দেশে এই সংগঠনের শাখা রয়েছে। কুয়েতেও একটি শক্তিশালী শাখা রয়েছে। দেশে ও বিদেশে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা সমাজকল্যাণে অনবদ্য ভূমিকা রাখছেন, যোগ করেন প্রধান অতিথি সি এম কয়েস সামি। প্রধান বক্তা আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন কুয়েত শাখার নতুন কমিটিকে উষ্ণ অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, শত ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কর্মব্যস্ততা থাকার কারণে অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন সমাজের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গৃহহীনকে ঘর,অসহায়কে যথা সাধ্য সহায়তা,শিক্ষার্থীদের সহায়তা, বন্যার্ত মানুষদের সহায়তা, শীতবস্ত্র বিতরণ, অসুস্থদের সহায়তা, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পিংসহ নানাভাবে কল্যাণমূলক কাজ করে যাচ্ছে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন। তিনি আরো বলেন, কুয়েতের নতুন কমিটির সভাপতি আব্দুল হাই মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মুরাদুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রবাসীদের বিভিন্ন সমস্যায় সহায়তা ছাড়াও দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা আব্দুল মুহিত নাজমুল, উপদেষ্টা আলিম উদ্দিন সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক সাংবাদিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক কুয়েত প্রবাসী।
Discussion about this post