ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বুধবার এই আবেদন করেন। সুনির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিবাদীদেরকে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- এই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে এই আবেদনে। এতে বিবাদী করা হয়েছে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরকে। রিট আবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েল কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের বিধান অনুযায়ী প্রতিবছর ডাকসুতে নির্বাচন হওয়ার কথা। এই নির্বাচনের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সত্যিকার নাগরিক হিসাবে তৈরি করা এবং তাদের মধ্যে নেতৃত্ব সৃষ্টি করা। “পাশাপাশি পাঠ্যক্রমিক ও সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমের সর্বোচ্চ সুবিধা প্রাপ্তির জন্য এই নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক আদান প্রদান জোরদার করতে পারে।” কিন্তু নির্বাচন না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হাজার হাজার শিক্ষার্থী’ এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় আবেদনে।১৯৯০ সালের ৬ জুলাই ডাকসুর সর্বশেষ নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে আমান-খোকন-আলম (আমান উল্লাহ আমান, খায়রুল কবির খোকন, নাজিম উদ্দিন আলম) পরিষদ পূর্ণ প্যানেলে জয়লাভ করে। “গত বিশ বছরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের এই ব্যর্থতার কারণে হাজার হাজার শিক্ষার্থী তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে”, বলা হয় আবেদনে। অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতে এই আবেদন দেওয়ার পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) যে কোনো বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ’ নামে শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন স¤প্রতি সাত দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে।
Discussion about this post