বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অফিস সংলগ্ন পুরাতন সিনেট ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন ৪৬ তম সমাবর্তন হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবর্তন। এই সমাবর্তনে ১৬ হাজার আট শত ২৬ জন গ্রাজুয়েট অংশগ্রহণ করবেন। এর মধ্যে এমফিল ডিগ্রিধারী ৫৩ জন, পিএইচডি ডিগ্রিধারী ১০০ জন, এবং ১৬ হাজার ৬ শত ৭৩ জন সণাতক ও �াতকোত্তর গ্রাজুয়েটরা। এই �াতকোত্তরদের ৮ হাজার ছয় মত ৪০ জন ছাত্র এবং ৮ হাজার একশ ৮৬ জন ছাত্রী। সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী, রেজিস্টার সৈয়দ রেজাউর রহমান ও জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক আশরাফ আলী উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ১৯২১ সালে একাডেমিক কার্যক্রম চালুর পর ব্রিটিশ আমলে সর্বপ্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯২৩ সালের ২২ ফেব্র�য়ারি। এরপর থেকে ১৯২৪ সাল থেকে ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রিটিশ আমলে শেষ সমাবর্তন হয় ১৯৪৬ সালের ২১ নভেম্বর। পাকিস্তান আমলে প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৪৮ সালের ২৪ মার্চ। এরপর ১৯৭০ সাল পর্যন্ত আরও ১৫ টি সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ সমাবর্তন ১৯৭০ সালের ৮ মার্চ ৩৯ তম সমাবর্তন। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এবারের সমাবর্তনে ৫৮ জন শিক্ষক, শিক্ষর্থী ও গবেষককে ৬২ টি স্বর্ণ পদক দেয়া হবে। এর মধ্যে সমাবর্তনে রেজিস্ট্রেশনকারীদের সংখ্যা ৪১ জন। এই ৪১ জন ৪৩ টি স্বর্ণ পদক গ্রহণ করবেন। এবারের সমাবর্তনে বক্তা হিসাবে থাকবে বিশ্ব বণিজ্য সংস্থার মহাসচিব পাসকেল ল্যামি। এই সমাবর্তনে পাসকেল ল্যামিকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লজ ডিগ্রি দেয়া হবে। স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথমবারের মত সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর। সেই সমাবর্তনে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নোবেল বিজয়ী ড. অমর্ত্য সেনকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লজ ডিগ্রীতে ভূষিত করা হয়। কেন পাসকেল ল্যামিকে এই ডিগ্রি দেয়া হচ্ছে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ��পাসকেল ল্যামি ফ্রান্সের একজন নাগরিক। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বাংলাদেশকে ইবিএ চুক্তির মাধ্যমে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের শুল্কমুক্তভাবে পণ্য ঢোকার ব্যবস্থা করেছিলেন। ফলে দেশের অর্থনীতি ও বাণিজ্যের দিকের কথা চিন্তা করেই পাসকেল ল্যামিকে এই ডিগ্রি দেয়া হবে। অন্তত তার সময়কালে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার বাংলাদেশের সর্ম্পক ভাল থাকবে।
Discussion about this post