যেখানে ছিল পিন পতন নিস্তব্ধতা, সেই নিস্তব্ধতা আর নীরবতা পেরিয়ে আজ সেখানে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত শিক্ষাংগন। দীর্ঘদিন পর পুরনো সহপাঠীদের ও শিক্ষক দের সাহচর্য পেয়ে সকল শিক্ষার্থীরা মহাখুশী।অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের স্কুলে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ক্লাশ করতে পারায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ায় আজ ৩ অক্টোবর থেকে খুলে দেয়া হল সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।।করোনা মহামারী সংক্রমণ রোধে প্রায় দেড় বছর বন্ধ ছিল সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।।স্কুলগুলো খুলে দেয়ার পর শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পেরে আবেগে আপ্লূত ও আনন্দিত ।তাছাড়া স্কুলগুলো যথাসময়ে খুলে দেয়ার জন্য তারা সরকারের ভুঁয়সী প্রশংসা করেন। গত বছর মার্চ মাস থেকে কুয়েতে করোনা মহামারী প্রতিরোধে সরকার শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্কুল গুলো বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে কুয়েতে গণহারে টিকা প্রদান করায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় খুলে দেয়া হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিধি মেনেই খুলে দেয়া হচ্ছে কুয়েতের সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো।। এতে করে স্কুলের প্রিন্সিপাল তার অনুভূতি জানাতে অভিভাবক ও কুয়েত সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের ভুয়সী প্রশংসা করেন। উল্লেখ থাকে যে,শিক্ষার্থীরা এতদিন অন লাইনে ক্লাস করত।আজ শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে পারছেন বলে অভিভাবকরাও মহাখুশি। কুয়েতে প্রবাসী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য আরবী, হিন্দি ও পাকিস্থানীসহ বিভিন্ন ভাষাভাষীর স্কুল রয়েছে।বাংলাদেশী কোন স্কুল না থাকায় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা হিন্দি ও পাকিস্তান স্কুলে পড়াশোনা করছেন।কুয়েতে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশী পরিবারের বসবাস।এদের মধ্যে প্রায় ৩ হাজার বাংলাদেশী শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করছেন।সমগ্র কুয়েতে বেশ কয়েকশত বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষাভাষীর স্কুল, কলেজ রয়েছে।এখন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথারীতি ভাবেই নিয়মিত ক্লাস পরিচালনা করবেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।।
Discussion about this post