পরিবার-পরিজন ছেড়ে বছরের পর বছর অসংখ্য প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধারা দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। প্রতিনিয়তই শোনা যায় প্রবাসীরা পদে পদে ভোগান্তির শিকার হন। কুয়েতে থেকে অনেক প্রবাসী বিভিন্ন সময় তাদের সন্তানদের জন্য চকলেট, দুধ, পরিবার পরিজনদের জন্য সাবান শ্যাম্পু সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্য পাঠান। সেই পণ্য পাঠাতে পূর্বে সল্প সময়ে কম খরচে পাঠাতে পারলেও বর্তমানে গুনতে হচ্ছে বেশী টাকা এবং সময় নিচ্ছে অনেক। পণ্য পাঠাতে কেজি প্রতি মূল্য বেশী এবং সময় বেশী লাগার কারণে কার্গো ব্যাবসায়ী এবং কাষ্টমারদের মাঝে বাকবিতণ্ডা প্রায়ই লেগে থাকে। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কার্গো ব্যাবসায়ীরা জানান এখন ঢাকা এয়ারপোর্ট দিয়ে কার্গোর মাধ্যমে পণ্য পাঠাতে পারছেন না। বর্তমানে তারা বিভিন্ন দেশে ট্রানজিট এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম এয়ার পোর্ট দিয়ে পণ্য পাঠান। সেই পণ্য চট্টগ্রাম এয়ারপোর্ট থেকে ঢাকা তাদের নিজস্ব অফিসে এনে সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিতরন করেন সেই কারণে একদিকে যেমন খরচ বেশী হচ্ছে অন্যদিকে সময়ও লাগছে বেশী। কুয়েত প্রবাসী কার্গো ব্যবসায়ীরা জানান কার্গোর ব্যাপারে একটি সুনিদৃষ্ট নীতিমালা প্রয়োজন। সঠিক নীতিমালা না থাকার কারনে তারা দেশে এবং প্রবাসে উভয় স্থানেই হয়রানির শিকার হন। বাংলাদেশ সরকার এই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখলে এতে অনেক প্রবাসীর কর্মসংস্থান হবে এবং রেমিটেন্স ও বাড়বে বলে মনে করেন তারা।
Discussion about this post