ঐ দিন বেশি দুরে নেই যখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রবাসীদের সম্পৃক্ততা থাকবে উন্মুক্ত। নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে এরই মধ্যে অনেক প্রবাসী নেতা মন জয় করতে সক্ষম হয়েছে সাধারণ জনগণের । দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মেম্বার, চেয়ারম্যান, এমনকি সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন অনেক প্রবাসী । এক সময়কার ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকা ছেলেটি সংসারের হাল ধরতে পারি জমিয়ে ছিলেন বিদেশে। ছাত্র জীবনে রাজনীতিতে সক্রিয় থাকা ছেলেটি বিদেশে শত কর্মব্যস্ততার মাঝে প্রবাসেও নিজ পছন্দের দলটির কোন মিটিংয়ের খবর পেলেই উপস্থিত হন যথা সময়ে। এ যেন রক্তে মিশে আছে । কুয়েতে এমন অসংখ্য প্রবাসী আছেন । এদের মধ্যে একজন মোহাম্মদ আলী । বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে প্রবাসী দের মাঝে প্রতিষ্ঠিত করেছেন নিজেকে ।
কুয়েত প্রবাসী বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারীদের কাছে একজন নিঃস্বার্থ ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত মোহাম্মদ আলী পেশায় একজন ব্যবসায়ী। প্রবাসী ব্যবসায়ী হিসেবে কুয়েত বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের সদস্য।
তিনি কুয়েতে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত । উল্খেযোগ্য সবুজ বাংলা সাংস্কৃতিক জোটের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কুমিল্লা প্রবাসী পরিষদের নির্বাচত দুই বার সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ঐ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কুয়েত শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দীর্ঘদিন। বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কুয়েত শাখার যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই পদেও দীর্ঘদিন ধরেই আছেন ঐ পদ ও দলের মান অক্ষুণ্ণ রেখে।
রাজনীতির প্রসঙ্গে কথা উঠতেই জানান, ৯০এর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগ যোগ দান করেন। তিনি বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগের প্রথম কমিটির যুগ্ন আহবায়ক এর দায়িত্ব পালন করেন এবং বুড়িচং উপজেলা শ্রমিক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন।
তিনি প্রবাসে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে প্রবাসীদের দাবিদাওয়া সমস্যা তুলে ধরেছেন। ভবিষ্যতে দেশের জনগণের কল্যাণে নিঃস্বার্থ কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন। সুযোগ পেলে নিজ এলাকা নিয়ে স্বপ্ন ও সম্ভাবনার কথাও বলেন। বুড়িচং উপজেলার নিজ গ্রামের ঈদগাহ উন্নয়ন, মসজিদের সংস্কার সহ বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করার পাশাপাশি কুয়েতে আকামা সমস্যায় জর্জরিত অসংখ্য প্রবাসীর কর্ম সংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন। ২০১৭ সালে দেশে ফেরত যাত্রী প্রায় ৩৭০ জনের আকামার সমস্যা সমাধান করে তার কোম্পানিতে কর্মের ব্যবস্থা করে তাদের কাছে হাতেমতাই বনে যায় ।
১৯৭২ সালের পহেলা জানুয়ারী কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলা কে গাজীপুর গ্রামে জন্ম। পিতা মরহুম আব্দুল ওয়াহীদ, মাতা নুর জাহান বেগম ।
জীবিকার সন্ধানে ১৯৯৮ সালে পাড়ি জমান স্বপ্নের প্রবাস কুয়েত। চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা শুরু করেন।
মোহাম্মাদ আলীর স্ত্রী আছমা আলী সহ সপরিবারে কুয়েতে থাকেন। তাদের দুই মেয়ে সন্তান । বড় মেয়ে আনিকা আলী এবং ছোট মেয়ে আমিরা আলী কুয়েতে লেখাপড়া করছে। তিনি প্রবাসে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে প্রবাসীদের দাবিদাওয়া সমস্যা তুলে ধরেছেন। ভবিষ্যতে দেশের জনগণের কল্যাণে নিঃস্বার্থ কাজ করার আশা ব্যক্ত করেন। সুযোগ পেলে নিজ এলাকা নিয়ে স্বপ্ন ও সম্ভাবনার কথাও বলেন।
এই তরুন প্রবাসী সংগঠক মোহাম্মদ আলী প্রতিবেদক কে বলেন
প্রবাসীরাই দেশ উন্নয়নে নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করেন এর প্রমান বর্তমানে বাংলাদেশের অনেক স্থানে প্রবাসী জনপ্রতিনিধিরা প্রমান করেছেন।
Discussion about this post