নাজমুল হক বাংলার র্বাতা জামালপুর প্রতনিধিঃি জমে উঠেছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রসুনের হাট। দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলায় অবস্থিত এই হাটের নাম কাচিনিয়া হাট । সকাল থেকে আরম্ভ হয়ে বেচাবিক্রি চলে দুপুর পর্যন্ত। কাচিনিয়া হাট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্যবসায়ীরা রসুন সরবরাহ করে। এ অঞ্চলের মাটি রসুন সহ মসলাজাতীয় ফসলাদির জন্য উপযোগী হওয়ায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এ লঞ্চলের মানুষ রসুন সহ মসলাজাতীয় ফসল উৎপাদন ও ব্যবসার সাথে জড়িত। যতদূর চোখ যায় রসুন আর রসুনের স্তুপ। দুই কিলোমিটার জুড়ে রাস্তার দুই ধারে সপ্তাহে দু’দিন বসে এই হাট। আর শুক্রবারে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে এই রসুন বেচাকেনা। ক্রেতা আর বিক্রেতার পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে কাচিনিয়া হাট। এখানে কৃষকরা সরাসরি তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় করে। প্রতি হাটে বেচাবিক্রি হয় প্রায় দেড় কোটি টাকারও বেশি বলে জানান উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা। দল গঠনের মাধ্যমে এখানকার কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা। মসলা জাতীয় ফসল হিসেবে দিনাজপুর খানসামার রসুন অতুলনীয়। সরকার যদি এই রসুন চাষীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে তবে রসুন চাষে কৃষকেরা আরও আগ্রহী হয়ে উঠবে।
রসুন ও মশলা জাতীয় ফসল চাষে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ ও প্রান্তিক চাষীদের সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থার উপর সরকার গুরুত্ব দিলে রসুন আমদানী বন্ধ হয়ে যাবে দেশের উৎপাদিত রসুন বিদেশে রফতানি করে বৈদ্যুশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে এমনটি মনে করে দিনাজপুর জেলাবাসী।
দিনাজপুরে মুরগীর বাঁচ্চা ও খাবারের দাম বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে গেছে আড়াই হাজার পোল্ট্রি খামার
নাজমুল হক বাংলার র্বাতা জামালপুর প্রতনিধিঃি কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পাবার লক্ষে দিনাজপুরে অনেক বেকার যুবক পল্ট্রি খামার করে এখন বিপাকে পড়েছেন। বাঁচ্চা আর খাবারের দাম দফায় দফায় বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে অসংখ্য পোল্ট্রি খামার। লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন কমপক্ষে আড়াই হাজার খামারী। শিক্ষিত বেকার যুবক সবুজ মিয়া কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পেতে দিয়েছেন পোল্ট্রি খামার। আর এই খামার তার জীবনে এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে মরার উপর খাড়ার ঘা। লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে তিনি এখন গুনছেন হতাশার প্রহর। শুধু সবুজ নয়, এমন নাজুক অবস্থা এখন অসংখ্য পোল্ট্রি খামারীর। দিনাজপুর জেলায় পোল্ট্রি খামারের সংখ্যা ৪০৭৬টি। কিন্তু বন্ধ হয়ে গেছে অধিকাংশ পোল্ট্রি খামার। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন আড়াই হাজার খামারী। তারা হতাশায় কাটাচ্ছেন দিন। এক দিনের মুরগীর বাঁচ্চা আর খাবাররের দাম বেড়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে এ পরিস্থিতি। খামারীরা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে পুজি হারিয়ে খামার ও হেচারী বন্ধ করে দিয়েছে। অনেক খামারী স্থানিয় এনজিও প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে হতাশার মাঝে দিন কাটা
দিনাজপুর বিরলে মোটরসাইকেল চোর আটক
নাজমুল হক বাংলার র্বাতা জামালপুর প্রতনিধিঃি গত রোববার রাত আনুমানিক ৮ টার সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সম্মূখ দোকান হতে মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে পালানোর সময় জনতা এক চোরকে আটক করেছে। পরে আটককৃত চোরকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। জানা, গেছে, উপজেলার প্রাণকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সম্মূখে ঔষুধের দোকান এর সামনে একই এলাকার মৃত খাতির উদ্দীনের পুত্র আব্দুস সাত্তার বাজাজ-১০০ সিসি মোটরসাইকেল রেখে ঔষুধ ক্রয় করছিল। একই সময়ে কোতয়ালী থানার উপ-শহর মহল্লার মৃত মজিবর রহমান এর পুত্র সোহেল রানা (২৫) মোটরসাইকলটি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করে। দোকানদার দেখতে পেয়ে ধাওয়া করলে স্থানীয় জনতা মোটরসাইকেলসহ চোরকে আটক করতে সক্ষম হয়। উপস্থিত জনতা বেদম প্রহার শুরু করলে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে। পুলিশ সোহেল রানাকে আটক করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে আব্দুস সাত্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ২৫, তারিখ – ২৯.০৭.২০১২।
চেয়ারম্যান হাতিয়ে নিচ্ছে ৪০% টাকা ইসলামপুরে ১০ নং গাইবান্ধা ইউনিয়নে এলজিএসপি’র সিংহ ভাগ টাকা হরিলুট
নাজমুল হক বাংলার র্বাতা জামালপুর প্রতনিধিঃি ইসলামপুর গাইবান্ধা ইউনিয়নের এলজিএসপি’র বরাদ্দকৃত সিংহ ভাগ টাকা কাজ না করে হরিলুট চলছে। চেয়ারম্যান বরাদ্দকৃত টাকার ৪০% হাতিয়ে নিচ্ছে । জানাগেছে, লোকাল গর্ভন্যান্স সাপের্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি প্রকল্প) ২ এর আওতায় ২০১১-১২ অর্থ বছরে গাইবান্ধা ইউনিয়নে ১৮টি প্রকল্পের বিপরীতে ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৬০ টাকা হয়েছে কিন্তুু বরাদ্দকৃত ওই টাকার কাজ ইউনিয়ন পরিষদ ম্যানূয়ালের বিধান মোতাবেক প্রকল্প/স্কীম গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও প্রকল্পের কোন বিধানই মানা হয়নি। গ্রহীত প্রকল্প সমূহের কাজ গুলো গত ৩০জুনের মধ্যে সমাপ্ত করার কথা থাকলেও এখনো কোন কোন প্রকল্পে কাজ ধরা হয়নি। প্রকল্পের নামে ভূয়া ভাউচারে টাকা তোলে প্রকল্প বাস্তাবায়ন সংশ্লিষ্টরা সরকারের টাকা হরিলুট করছে।
সরেজমিনে গাইবান্ধা ইউনিয়নের কয়েকটি প্রকল্প ঘুরে দেখা গেছে, নামে মাত্র কাজ করে ভূয়া বিল ভাউচার তৈরী করে এলজিএসপি’র বরাদ্দকৃত টাকা চেয়ারম্যান, ইউপি সচিব ও প্রকল্প সভাপতি মেম্বাররা কাজ না করে এলজিএসপি’র সিংহ ভাগ হরিলুট চলছে। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক ইউপি সদস্যরা জানান, শুধু এলজিএসপি’র কালভার্ট নিমার্ণ, ইউড্রেন নির্মানের শুধু নাম মাত্র কাজ হয়েছে তাও আবার বরাদ্দকৃত প্রতি প্রকল্পে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে বিভিন্ন অুজহাতে ২০ হাজার টাকা করে কেটে নিয়েছে চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিব। খোজ নিয়ে জানাগেছে, প্রকল্প নং ১৬ গাইবান্ধা সাজেদা মাহমুদ উচ্চ বিদ্যালয়ের গৃহ মেরামত প্রকনেং প্রকল্পের নামে ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দত হলেও কোন কাজ করা হয়নি। এছাড়াও গাইবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ গৃহ মেরামত ও সংস্কার প্রকল্প নামে ৮০ হাজার টাকা বরাদ্দ হলেও কোন কাজ করা হয়নি। সম্পূর্ণ টাকা ইউনিয়ন পরিষদের রাস্তায় কয়েকটি গাছ লাগিয়ে হরিলুট করা হয়েছে।
প্রকল্প নং-৩ পোড়ার চর পূর্ব পাড়া ডেরুর বাড়ি উঃ পার্শ্বে রাস্তায় পাইপ কালভার্ট নিমার্ণ কাজের বরাদ্দকৃত ৬০ হাজার টাকা প্রকল্প সভাপতি না পাওয়ায় এখন পর্যন্ত কালভার্ট নির্মানের কাজ সমাপ্ত হয় নি। একই অবস্থা গাইবান্ধা ইউনিয়নের তথ্য সেবা কেন্দ্র সরঞ্জামাদি সরবরাহ বিভিন্ন স্থানে অগভীর নলকুপ স্থাপন, স্যানেটারী ল্যাট্রিন সরবরাহ, রাস্তা মেরামত, গর্ত ভরাট প্রকল্প সমূহের। এসব প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দকৃত টাকা ৪০% ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব হাতিয়ে নিয়ে ভুয়া ভাউচারে এলজিএসপি’র টাকা হরিলুট করা হচ্ছে। গাইবান্ধা ইউনিয়নের টাকা হরিলুট চলছে। এ ব্যাপারে গাইবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান কবির মঞ্জিল জানান, আমার ইউনিয়নের শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এই বলে তিনি একপর্যায়ে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা সাংবাদিকদের কলম সন্ত্রাস বলে সম্বোধন করলেন।
Discussion about this post