ঢাকা ২০ জানুয়ারি: প্রশাসনের কর্মকর্তা ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা নদীগুলো ধ্বংসের পেছনে মূল দোষী বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)।
নদীগুলোকে সরকার ‘অবক্ষয়িত জলাশয়’ ঘোষণার পর প্রশাসনের লোকজন এবং রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা সেগুলো রক্ষার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করে সংগঠনটি। পরিবেশ, অর্থনীতি ও দেশের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছে সংগঠনটি।
শুক্রবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ উপলক্ষে প্রেস কনফারেন্সে সভাপতিত্ব করেন বাপার সভাপতি অধ্যাপক ড. মোজাফ্ফর আহম্মদ। আরো উপস্থিত ছিলেন বাপা’র সহ-সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন।
অধ্যাপক ড. মোজাফ্ফর আহম্মদ বলেন, “তিতাস বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নদী। এর ওপর বাঁধ দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখন এগুলোকে আগের অবস্থানে ফিরিয়ে নিতেও প্রশাসনের ধীরগতি লক্ষ করা যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আমাদের শরীরে যেমন ধমনি আছে, সেটির কোনো সমস্যা হলে ডাক্তারের কাছে ছুটে যাই ঠিক নদীগুলোরও আজ একই অবস্থা। প্রতি মুহূর্তে সেগুলো ধ্বংসের চেষ্টা চলছে।”
প্রশাসনের কর্মকর্তারা এসবের পেছনে মূল দায়ি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
খন্দকার বজলুল হক বলেন, “মূলত নদীগুলো রক্ষায় সরকারী কর্মকর্তারাতো কিছু করছেই না বরং এগুলো ধ্বংসের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছে তারা।”
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে ডা. মো. আব্দুল মতিন জানান, প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা বিপর্যস্ত নদী রক্ষায় আন্তরিক নয়। তারা এগুলো রক্ষার নামে সরকারি বাজেটের কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছে। তাই প্রধানমন্ত্রী যদি হস্তক্ষেপ না করে তাহলে পরিবেশ রক্ষায় কোনো আন্দোলনই সফল হবে না।
তিনি বলেন, “দেশে বর্তমানে ২৩০টি নদীর মধ্যে ২৫টি একেবারেই মৃত্যুমুখী।”
গত একবছরে ১৭৪টি নদী বিপর্যয়ের পেছনে সরকারী ভূমিকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলী হলো শীতলক্ষা নদীতে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীকে উৎখাত অভিযানে অভ্যন্তরীণ জলপরিবহন কর্তৃপক্ষের কাজে বাধার সৃষ্টি করেছে আরেক সরকারী প্রতিষ্ঠান সড়ক ও জনপথের কর্মচারীরা। আইন থাকলেও এসব নদীতে শিল্পদূষণ ঠেকাতে বা বর্জ্য পরিশোধন প্ল্যান্ট বসাতে পরিবেশ ও বন এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাফল্য প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য।
Discussion about this post