নাঙ্গলকোট প্রতিনিধিঃ নাঙ্গলকোট উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউঃ চনুয়া গ্রামের প্রবাসী আহসান উল্লাহর মেয়ে বিবি জয়নব আক্তার বিউটি (১৯)একই গ্রামের আঃ রাজ্জাকের ছেলে সুরুজ মিয়া (২৪) দীর্ঘদিন গোফনে প্রেম করে, এতে মেয়ের পরিবারে বিষয়টি জানাজানি হলে বিউটির পরিবার কাল হয়ে দাড়ায়। পারিবারিক সিদ্ধান্তের কারনে মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দিলে সব সমস্যা সমাধান হবে বলে মেয়ের বাবা ও পরিবারের সবাই সিদ্ধান্ত নেয়। মেয়েকে এই সুরুজ এর সাথে বিয়ে না দিয়ে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার জন্য ঠিক করে। কিন্ত বিউটি তাহা জানতে পেরে সুরুজ কে নিয়ে পালিয়ে যায়। মেয়ের জবান বন্দিতে জানাযায় গত ২৮.০১.১১ইং তারিখে তারা দুজনে চট্রগ্রাম পালিয়ে গিয়ে নোটারী পাবলিকের মূলে বিয়ে হলে, পরে তারা কাজী অফিসে গিয়ে ইসলামী শরিয়াহ্ মোতাবেক ৫লক্ষ টাকা কাবিন ও ৫০হাজার টাকা উসূল দিয়ে বিবাহের কার্য সম্পাদন সম্পূর্ন করে। পরে মেয়ের মা মামুন নামে ব্যক্তিকে এ বিয়ে মেনে নিবে বলে তাদের কে বুঝিয়ে শুনে বাড়ীতে নিয়ে আসার অনুরোধ জানালে, মামুন তাদের কে বাড়ীতে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে। বিউটি ও তার স্বামী সুরুজ মিয়া ফেনী মোঃ আলী ফিলিং ষ্টেশন এলে তাদের কে মেয়ের মা কিছু অপরিচিত লোক দিয়ে আটক করে প্রথমে ফেনী ও পরে নাঙ্গলকোট থানায় নিয়ে আসে। এদিকে আমার মা মনোয়ারা বেগম বাদি হয়ে মামলা (নং ১২ তাং ৩১.০১.১১)দায়ের করে আমাদের উভয়কে থানা হাজতে পাঠায়। পরের দিন আমার মা আমাকে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে বলে আদালতে গিয়ে বলবে তোকে অপহরন করে জোড়পূর্বক বিয়ে করার জন্য নিয়ে যায় তাহলে তোদের উভয় জনকে আমি মেনে নিব। এ বলে মেয়েকে দিয়ে জবান বন্দি ভিক্তিতে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারার বিচারের প্রার্থনা করলে আদালত উভয়ের মতামত জানতে চাইলে মেয়ে বিউটি বলে আমি আমার স্বামী সুরুজ মিয়াকে নিয়ে শরীয়াহ্ মোতাবেক বিয়ে করেছি আমার আর বাপের বাড়ীতে যাওয়ার প্রয়োজন নাই বাকী জীবন আমার স্বামীর বাড়ীতে কাটিয়ে দিয়ে দিব। এ কথা শুনে বিজ্ঞ আদালত বাদী মনোয়ারা বেগম কে প্রশ্ন করলে মনোয়ারা বলে তাহলে আমাদের কে কিছু দিনের সময় দিন আমরা স্থানীয় ভাবে সমাধান করে নিব।এদিকে আদালত পারিবারিক সিদ্ধান্তের কথা চিন্তা করে আদালত উভয়কে কারাগারে পেরন করে। দীর্ঘ ১মাস ১০দিন মেয়ে বিউটি জেলে থাকার পর জামিনে আনলে মেয়ে তার স্বামী সুরুজ মিয়ার বাড়ীতে চলে যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউঃপি চেয়ারম্যান গোলাম রসূলকে বিষয় টি জানানো হলে, তিনি বিষয়টি তদন্তের জন্য মেয়ে কে হাজির করে। মেয়ের জবান বন্দিতে মেয়ে তার স্বামী সুরুজ মিয়াকে ছাড়া আর কিছু শুনতে চায় না। মেয়ের ভাষ্য আমার স্বামীকে আমার কাছে এনে দেওয়ার ব্যবস্থা করুন না হয় আমি সকল কে আইনের কাঠ গড়ায় দাড়ঁ করাবো। চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগম কে বলে মেয়ে যেখানে তার স্বামীকে চায় সেখানে এ বিয়ে মেনে নেওয়া টা আপনার জন্য একটা সামাজিক শুভকাজ হবে। কিন্ত মনোয়ারা বেগম কি কারনে মেয়ে কে সুরুজ মিয়ার হাতে তুলে দিচ্ছেন না এ ব্যপারে কোন মুখ খুলছেন না। এ ঘটনার সাথে এলাকার কিছু অসাধু ব্যক্তির কারনে মামলাটি তুলে আনা ও তাদের বিয়ে টি মেনে নিতে পাছেন না বলে বিউটির মা মনোয়ারা বেগম ইঙ্গিত দিয়ে জানায়। এ দিকে সুরুজ মিয়া দীর্ঘ ১ বছর জেলে থাকার পর জামিনে আসলে মনোয়ারা বেগম মামলা টি বলবৎ রাখার জন্য তার মেয়ে কে লুকিয়ে রাখে।
Discussion about this post