ইউএসএনিউজ অনলাইন.কম : নিউইয়র্কে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পূর্ণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদ-ই মিলাদুন্নবী উদযাপন ও শামসুল উলামা আল্লামা ফুলতলী সাহেব কিবলার বার্ষিক ইসালে সাওয়াব মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইউএসএর উদ্যোগে গত রোববার ব্রঙ্কসের গোল্ডেন পেলেস বেঙ্কুইট হলে এ উপলক্ষে আলোচনা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইউ এস এর যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা আবুল কাশেম মোহাম্মদ ইয়াহইয়ার পরিচালনায় এবং আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইউ এস এ এর সভাপতি মাওলানা মঈন উদ্দীন মুহাদ্দিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ওলামা সোসাইটি ইউএসএর সভাপতি আল্লামা জালাল সিদ্দিকি। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওলাদে রাসুল সাইয়্যিদ আবদুল্লাহ আল ফাওয়াল এবং ওলামা সোসাইটি ইউকে এর সেক্রেটারী মাওলানা মুফতি আবদুর রহমান নিজামী।
মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মাশহুদ ইকবাল, মাওলানা মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম, মাওলানা সৈয়দ সাজিদুল হক, মাওলানা সুন্নাতুর রহমান, মাওলানা শাব্বির আহমদ, ডা. আবদুল মালিক, ডা. আবুল খায়ের, হাফেজ এবাদুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন বাংলাবাজার জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ গিয়াস উদ্দীন, সুনামগঞ্জ সমিতির সাবেক সভাপতি আফতাব আলী সহ আঞ্জুমানে আল ইসলাহ ইউ এস এর কর্মকর্তা সহ ইসলামী ব্যক্তিত্বরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফিজ আমিনুল ইসলাম। নাতে রাসুল পরিবেশন করেন, মোহাম্মদ ওলীউর রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহান। ফুলতলী (রহ.) এর শানে মুরছিয়া পরিবেশন করেন জামাল হোসেইন।
মিলাদ মাহফিলের আলোচনায় বক্তারা বলেন, ইসলাম শান্তি ও মানবতার ধর্ম। ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা কথায় নয় কাজে এবং নিজের জীবনে বাস্তবায়নের মাধ্যমে তুলে ধরতে হবে।
তারা বলেন, ইসলামের শান্তি ও সহমর্মিতার শিক্ষা সবার সামনে তুলে ধরলে ইসলাম সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা দূর হবে।
বক্তারা বলেন, কতিপয় আলেম নামধারী ব্যক্তি মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনকে বিদাত হিসেবে উল্লেখ করে তা পালন হতে বিরত থাকার জন্য মুসলমানদের মনগড়া তথ্য প্রদান করছেন। এ ধরনের লোকদের শাস্তি প্রসঙ্গে মহান আল্ল¬াহ কুরআনে উল্লেখ করেন, ‘নিঃসন্দেহে যারা আল্ল¬াহ ও তার রসুল সম্বন্ধে মন্দ কথা বলে আল্লাহ তাদের ধিক্কার দিয়েছেন ইহকালে ও পরকালে, আর তাদের জন্য তৈরি হয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি।’ স্বয়ং আল্লাহ ও তার ফেরেশতারা যেখানে মহানবীর প্রতি দুরুদ ও সালাম পেশ করেন, সেখানে কতিপয় ফেৎনাবাজ আলেম মিলাদ-কিয়ামকে বিদাত বলে অপপ্রচার করে।
তারা বলেন, মহানবী (সা.)- কে সৃষ্টি করা না হলে আল্ল¬াহ কিছুই সৃষ্টি করতেন না। মহানবী (সা.)’র প্রতি দুরুদ ও সালাম পেশ করে আমরা লাভবান হতে পারি।
বিপুল সংখ্যক মুসল্লী মাহফিলে যোগ দেয়। পরে মুসলিম উম্মা ও বিশ্ব মানবতার শান্তি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়।
রিপোর্ট : সাখাওয়াত হোসেন সেলিম,
ইউএসএনিউজ অনলাইন.কম,
নিউইয়র্ক। ফোন: ১-৬৪৬-২৪৪-৯৯২৯
Discussion about this post