কুয়েতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি থাকলেও ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন মার্কেট গুলোতে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের মূল্যছাড়ের প্রতিযোগিতায় লেগে থাকে। অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতায় মার্কেটে টিকে থাকতে বাংলাদেশীরাও দিয়ে থাকে মূল্যছাড়। দেশটিতে পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ভর্তুকিও দিয়ে থাকে কুয়েত সরকার । বিশ্বব্যপী অর্থনৈতিক মন্দার কারনে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি যেন থামছেই না। জনসংখ্যা অনুপাতে বিভিন্ন দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি। এছাড়া রাশিয়া -ইউক্রেন যুদ্ধ, ফিলিস্তিনে ইসরাইলি হানা, নতুন করে পাকিস্তানে ইরানের হামলা চতুরমূখী যুদ্ধে বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য সরবরাহ করতে বাধাঁগ্রস্ত হওয়ার কারণে দিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের সংকট সহ মূল্যের ঊর্ধ্বগতি যেন থামছেই না। পেঁয়াজ-রসুন, তেল-চিনি, ডাল-চাল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে ব্যবসায় টিকে থাকতে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মূল্যছাড় দিয়ে ক্রেতাদের ধরে রাখতে বিভিন্ন মার্কেটে রিতীমত মূল্যছাড়ের প্রতিযোগিতা লেগে থাকে। নিজেদের অস্থিত্ব ধরে প্রবাসী বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরাও এদের সাথে তাল মিলিয়ে মূল্যছাড় দিয়ে থাকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে। কুয়েতে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পরলেও দেশটির সরকার নিজ দেশের নাগরিক এবং অভিবাসীদের কাছে সমান্তরালে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সর্বদা তাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ভর্তুকিও দিচ্ছেন । এই কারনে এখনো পর্যন্ত সাধারন ভোক্তাদের কাছে তেমন প্রভাব পড়ছে না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
Discussion about this post