কুমিল্লা, জানুয়ারি ২০ – কুমিল্লার সীমান্ত এলাকা থেকে অপহৃত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জওয়ানকে নিজেদের হেফাজতে রেখেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে দুই বাহিনীর একদফা পতাকা বৈঠক হলেও তাতে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
শুক্রবার ভোরে কুমিল্লা ও ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তের ‘নোম্যান্স ল্যান্ডে’ বিজিবি সদস্যদের গুলিতে এক ভারতীয় নাগরিক নিহত হওয়ার পর তার সহযোগীরা বিজিবির হাবিলদার লুৎফর রহমানকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে বিএসএফের ধনপুর ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিজিবির দাবি, নিহত ভারতীয় নাগরিক শাহ আলম মাদক চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত। তার বাড়ি ত্রিপুরার সোনামুড়া এলাকায়।
বিজিবি ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আক্তারুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, হাবিলদার লুৎফরকে ফিরিয়ে আনতে তারাপুকুর সীমান্তের জিরো পয়েন্টে বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তারা। প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনা চললেও তাতে কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
বিএসফের পক্ষে পতাকা বৈঠকে অংশ নেন ২৯ ব্যাটালিয়নের গাউসভা ধনপুকুর ক্যাম্পের কমান্ডার একে হেলবরম ও ডেপুটি কমান্ডার ।
হাবিলদার লুৎফরের সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান বলেন, “তারা (বিএসএফ) পতাকা বৈঠকে আমাদের বলেছে, লুৎফর ভালো আছেন। তবে তার সঙ্গে দেখা করতে বা কথা বলতে দিতে রাজি হয়নি তারা।”
বিজিবি কর্মকর্তারা জানান, ভারত থেকে ফেনসিডিলের একটি চালান সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে- এমন খবরে বিজিবির বোয়ারা ক্যাম্পের একটি টহল দলকে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার দলকুইয়া গ্রামে পাঠানো হয়। চোরাকারবারিরা বিষয়টি টের পেয়ে হামলা চালালে বিজিবি সদস্যরা কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এতে শাহ আলম (৪০) নিহত হন।
ওই ঘটনার পর শাহ আলামের সহযোগী ও ভারতীয় গ্রামবাসী বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তিন জওয়ান সেখান থেকে ফিরে আসতে পারলেও ৫৫ বছর বয়সী হাবিলদার লুৎফরকে তারা ধরে নিয়ে যায়।
মেজর ইসতিয়াক আহমেদ জানান, সন্ধ্যায় আরো একটি পতাকা বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে বিএসএফের মধ্যে। তাতে সমঝোতা হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
Discussion about this post