মোঃ হাবিবুর রহমান খান:- সাবেক আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাড. আবদুল মতিন খসরু এমপি বলেছেন যে, পরিকল্পিত পরিচর্চা, আধুনিক জ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর সৃজনশীল পদ্ধতির মাধ্যামে একটি শিশুর দেহ মন ও আত্মার সমন্বিত উন্নয়নের মাধ্যমে শিশুদেরকে গড়ে তুলার জন্য মায়েদের সচেতনতা অতি জরুরী। তাই সন্তানকে সু-শিক্ষিত হিসাবে গড়ে তুলতে শিক্ষকের চেয়ে মায়েদের ভূমিকাই প্রধান। তিনি গতকাল ২৫ মার্চ শনিবার কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের পীরযাত্রাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে মা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তবের এ কথা গুলো বলেছেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও পীরযাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাহের জাকির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাঁন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যড. রেজাউল করিম খোকন. মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাদেরা পারভিন আক্তার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ সিরাজুল ইসলাম খন্দকার, অধ্যক্ষ আবু সালেক মোঃ সেলিম রেজা সৌরভ, বুড়িচং থানা অফিসার ইনচার্জ খন্দকার গোলাম শাহ নেওয়াজ। অনুষ্ঠান শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হারুনুর রশিদ। অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল হোসেন বিএসসি। অন্যানদের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আ’লীগেরে সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিরাজুল ইসলাম ঠিকাদার, সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের, ঠিকাদার বিল্লাল হোসেন, যুবলীগ নেতা এম এ আজাদ, ছাত্রলীগ নেতা মো আবুল কালাম আজাদ, মোবারক হোসেনসহ এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের গন্য মান্য নেতৃবৃন্দ।
কুমিল্লার আরো খবর
দাউদকান্দিতে কিশোরী ধর্ষিত ॥ধর্ষক গ্রেফতার
দাউদকান্দিতে যুবক কর্তৃক এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। দাউদকান্দি থানা পুলিশ জানায়, গত সোমবার রাতে দাউদকান্দির শহীদনগর সোনালী আঁশ ইন্ডা: থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে এক কিশোরীকে উপজেলার সরকারপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার পুত্র মোঃ সুমন (২৫) জোর পূর্বক ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে। মেয়েটির পরিবার সামাজিক ভাবে কোন বিচার না পেয়ে ২৪ মার্চ শনিবার রাতে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জানায়- মোঃ সুমনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মামলার তদন্ত চলছে।
নাঙ্গলকোটে স্বপ্নে প্রাপ্ত ঔষধ খেতে মানুষের ভিড় মসজিদের উন্নয়নের কথা বলে লাখ-লাখ টাকা আদায়
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে স্বপ্নে প্রাপ্ত ঔষধ (বড়ি) খেতে প্রতি সপ্তাহে রোগক্লিষ্ট হাজার-হাজার মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। সপ্তাহে ৩টি বড়ি খেয়ে মরণব্যাধি ক্যান্সার হতে শুরু করে জটিল সব ধরণের রোগ ভালে হয়ে যাচ্ছে। এ খবর লোকমুখে শুনে প্রতি সপ্তাহে র্নাী, পুরুষ ও শিশু পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে বড়ি খাওয়ার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করছেন। রাত ২টা থেকে ঔষধ খাওয়ার জন্য মানুষজন লাইনে দাঁড়িয়ে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন। কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন থানা, পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা, ঢাকা, চট্রগ্রাম সহ বিভিন্ন স্থান থেকে অসুস্থ লোকজন সুস্থ হবার আশায় বড়ি খাওয়ার জন্য ভিড় করছেন। গত ৮ মাসেও মানুষের ভিড় এতটুকু কমেনি। প্রতি সপ্তাহে মানুষের ভিড় অব্যাহত রয়েছে। নাঙ্গলকোটের বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের সাবেক প্রধান শিক্ষক আবদুস সোবহানের ছেলের বউ শাহনারা আলম স্বপ্নে প্রাপ্ত এই বড়ি গত ৮ মাস থেকে মানুষের মধ্যে বিতরণ করছেন। মানুষের ভিড় সামলাতে গিয়ে আবদুস সোবহানের বড়ি সংলগ্ন নুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ পাশ্ববর্তী ২টি কিন্ডারগার্টেনের ছাত্র/ছাত্রীদের লেখাপড়া গত ৮ মাস থেকে সপ্তাহে ৩ দিন কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতি সপ্তাহে লোকজনের ভিড় সামলাতে গিয়ে শিক্ষকদের, ছাত্র/ছাত্রীদের লেখাপড়া চালিয়ে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। বড়ি খেতে আসা মানুষজন বিদ্যালয়ের মাঠে, বারান্দায় অবস্থান করছেন। তারা বিদ্যালয়ের টিউবওয়েল, বাথরুম ব্যবহার করছেন। বিদ্যালয়ের প্রবেশপথে সি এন জি চালিত টেক্সি এলো-মেলোভাবে রাখায় শিক্ষক, ছাত্র/ছাত্রীদের বিদ্যালয়ে আসতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। বিদ্যালয়ের পিছনে দোকানপাট বসায় লোকজনের চিৎকার/চেঁচামেচিতে ছাত্র/ছাত্রীর লেখাপড়ায় মনোযোগী হয়না বলে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ প্রতিবেদককে জানান। এলাকাবাসী জানান, শাহানারা আলম তার কুমিল্লার বাড়িতে মাটি দিয়ে বড়ি বানিয়ে বাড়ির ছাদে শুকিয়ে নুরপুর গ্রামে এনে মানুষের মধ্যে বিতরণ করছেন। এই মাটির বড়ি খেয়ে লোকজনের আদৌ উপকার হচ্ছে কিনা এটা নিয়ে তারা সন্দেহ প্রকাশ করেন। এছাড়া চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই বড়ির কার্যকারিতা নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে প্রশ্নের উদ্রেক সৃষ্টি করেছে। বড়ি বিক্রি করে দৈনিক ১ থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানান। স্থানীয় এলাকাবাসী এই বড়ি খাওয়ানোকে এক ধরণের ব্যবসা হিসেবে দেখছেন বলে অভিযোগ করেন। যদি ও মাষ্টার আবদুস সোবহান সহ তাদের লোকজন বলছেন, আদায় করা টাকা বিভিন্ন মসজিদের উন্নয়নে ব্যয় করা হচ্ছে। এই বড়ি খাওয়া নিয়ে নুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাশ্ববর্তী ২টি কিন্ডারগার্টেনের লেখাপড়ার ক্ষতি সহ বাঙ্গড্ডা – বাগমারা সড়কে যানজট সৃষ্টি নিয়ে স্থানীয় মেম্বার মোতাহের হোসেন সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। এদিকে, বড়ি খাওয়ানো নিয়ে এলাকার কতিপয় লোকজন, মাইক্রোবাস, সি এন জি অটো টেক্সি ড্রাইভারদের একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। ড্রাইভারেরা বিভিন্ন স্থান থেকে অতিরিক্ত ভাড়ায় রোগী নিয়ে আসা এবং আগে ঔষধ খাওয়ানোর কথা বলে রোগীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, নুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন আবদুস সোবহানের বাড়ি হতে বাঙ্গড্ডা- বাগমারা সড়ক পর্যন্ত মানুষের দীর্ঘ লাইন। লোকজনের ভিড় সামলাতে বড়ির মূল ফটক সহ দীর্ঘ লাইনে লাঠি হাতে লাঠিয়াল বাহিনী সদা প্রস্তুত রয়েছে। লাইনের বাহিরে কাউকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। সাংবাদিক পরিচয়ে ঢুকতে চাইলে ও বাধা দেয়া হয়। বাধা উপেক্ষা করে ভিতরে ঢুকলেও বড়ি খাওয়ানো মহিলার সাথে কথা বলা নিষেধ রয়েছে। এক পর্যায়ে তিনি কিভাবে ঔষধ পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলতে অস্বীকার করেন। তিনি ধমকের সুরে বলেন, এ ব্যাপারে লেখালেখি করলে ক্ষতি হবে। তিনি এর বাহিরে কোন কথা বলতে রাজী হননি। বড়ি খেতে আসা মহিলাদের বড়ির ভিতরে ঢুকিয়ে বাঁশ দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখে ঔষধ খাওয়ানো হয়। পুরুষদের আলাদা লাইন রয়েছে। তিনি মাটি দিয়ে বানানো ১ টি করে বড়ি সবার মুখে খাওয়ান তার সাথে ছোট ছেলেরা একটু পানি খাইয়ে দেয়। এভাবে সপ্তাহের ৩ দিন রবিবার, সোমবার, মঙ্গলবার ঔষধ খেতে হয়। ঔষধ খেয়ে যাবার সময় মসজিদের উন্নয়নের কথা বলে আল্লাহর ওয়াস্তে টাকা দেয়ার জন্য বলা হয়। ৪ জন লোক টাকা নেয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। জানা যায়, মাষ্টার আবদুস সোবহানের ছেলে প্রবাসী মাওলানা আলমগীর হায়দার সবুজের বউ শাহানারা আলম। তাদের ২টি কন্যা সন্তান রয়েছে। শাহানারা আলম দীর্ঘদিন থেকে পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি ডাক্তারী পরামর্শে ঔষধ খেলেও ভালো হন নাই। পরবর্তীতে স্বপ্নে প্রাপ্ত বড়ি খেয়ে তিনি ভালো হয়েছেন। তাই তিনি এই বড়ি মানুষের মধ্যে বিতরণ করা শুরু করেন। সেই থেকে প্রতি সপ্তাহে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। ঔষধ খেতে আসা রোগীদের অনেকে কি রোগের জন্য ঔষুধ খাচ্ছেন, তা বলতে চাননা। রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বড়ি খেয়ে কেউ ভালো হয়েছে, তা সঠিকভাবে তারা বলতে পারেননি। তারা লোকজনের মুখে শুনে ঔষধ খেতে আসছেন বলে জানান। নুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ কে এম আনিসুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ে প্রবেশমুখে, মাঠে সি এন জি রাখা হয়। ঔষধ খেতে আসা লোকজন বিদ্যালয়ের বারান্দায় বসে থাকে, আড্ডা দেয়, খাওয়া-দাওয়া করে। বিদ্যালয়ের টিউবওয়েল ও বাথরুম ব্যাবহার করে। বিদ্যালয়ের পিছনে মেলার মত দোকান বসেছে। বিদ্যালয়ের জানালা খোলা যায়না। ছাত্র/ছাত্রীরা ক্লাশ মুখী হয়না। ছাত্র/ছাত্রীদের উপস্থিতি শতকরা ৬০ ভাগে নেমে এসেছে। তিনি আগামী সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে আশঙ্খা প্রকাশ করেন। নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, উপজেলা প্রাথমিক সহকারি শিক্ষা অফিসার আফজাল-উর রহমানকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে মহিলার সাথে কথা বলে ঔষধ খাওয়ানো বন্ধ করার জন্য বলা হয়েছে। তারপরও ঔষধ খাওয়ানো হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চান্দিনায় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ এলাকাবাসীর মানববন্ধন
চান্দিনা প্রতিনিধি: কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বাতাঘাসী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান সিরাজ এর বিরুদ্ধে দূর্নীতি করে সাধারণ জনগণকে মামলা-হামলার হয়রানি অভিযোগে গতকাল রবিবার স্থানীয় জনতা মানববন্ধন করেছেন। সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত চান্দিনা উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।
অভিযুক্ত ওই চেয়ারম্যানের লালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর হাত থেকে এলাকাবাসিকে রা, তার ছেলেদের অত্যচার ও অস্ত্রবাজি থেকে স্থানীয়দের রক্ষা পেতে তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে দ্রুত অপসারণ দবী করা হয়। এসময় পাঁচ জন ইউপি মেম্বারসহ এলাকার শতশত নারী-পুরুষ মানববন্ধনে অংশ নেয়। পরে এলাকাসী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি স্মারক লিপি পেশ করেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মো. জসিম উদ্দিন, আবুল হোসেন মিয়াজী মেম্বার, কাশেম মেম্বার, হারুন মেম্বার, আমিন মেম্বার, মান্নান ডাক্তার, ফারুক হোসেন স্বর্ণকার, মোহন মিয়া, মহিলা মেম্বার জাহেদা, মোর্সেদ স্বর্ণকার, সেন্টু মিয়া, মজিব মিয়া প্রমুখ।
কুমিল্লা ঐক্য পরিষদ নেতা তাপস বক্সী’র মাতৃ বিয়োগ
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কারিগরী কলেজ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রিয় কমিটি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কোটবাড়ী শহীদ স্মৃতি প্যারামেডিকেল ইনষ্টিটিউট নজরুল এভিনিউ কুমিল্লা’র প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক অধ্যক্ষ তাপস কুমার বকসী এডভোকেটের মাতা পুতুল রানী বক্সী (৭০) বার্ধক্যজনিত কারণে গতকাল সকাল ৭টায় তার গ্রামের বাড়ী কালীরবাজার সংলগ্ন রায়চোঁ বকসী বাড়ীতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে ইহলোক হতে পরলোক গমন করেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে তাপস কুমার বকসী ও খোকন কুমার বকসী এবং দুই মেয়ে শিখা রাণী বর্দ্ধন ও শিউলী রানী দে, পুত্রবধু, নাতি-নাতনী, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে যান। ওই দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় তাঁর পারিবারিক শ্মশানে তার শেষকৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। তার মৃত্যুতে তাঁর আত্মার সৎগতি কামনাসহ পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন- বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি চন্দন কুমার রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার দেব, কোষাধ্যক্ষ সুবাস চন্দ্র সরকার, সহ-প্রচার সম্পাদক ও কুমিল্লা সিটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তাপস চন্দ্র সরকার, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখা’র সভাপতি মন্ডলীর সদস্য নৃপেন্দ্র কুমার চক্রবর্তী, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা মহানগর কমিটি’র সদস্য সচিব উজ্জ্বল দে, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখা’র নির্বাহী সদস্য দিপ্তী রায় চন্দন, বিমল দাশ, মধুসূদন বিশ্বাস, ডাঃ মধুসূদন রায়, মহেশাঙ্গণ লোকনাথ যুব সেবা সংঘের সাবেক সভাপতি দীলিপ কুমার নাগ কানাই, নীলিমা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী ও প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার প্রদীপ দে, কুমিল্লা ট্যুরজিমের সভাপতি অঞ্জন কুমার দে, সদস্য অপূর্ব কাঞ্চন দত্ত (অপু) ও অভিসাহা, কালিরবাজার এলাকার আ’লীগের প্রভাবশালী নেতা উষা রঞ্জন বকসী, স্বপন দেবনাথসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী।
পূজা উদযাপন পরিষদের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠিত
আগামি ৩১মার্চ শনিবার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখা’র দ্বি-বার্ষিকী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে সভায় উপস্থিত সকলের সর্বসম্মতিক্রমে নৃপেন কুমার চক্রবর্তীকে আহবায়ক ও উজ্জ্বল দে কে সদস্য সচিব করে ২১সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি’র অন্যান্য সদস্যরা হলেন- অচিন্ত্য দাস টিটু, এড. তপন বিহারী নাগ, এড. সুভাষ বিশ্বাস, এড. প্রদীপ দত্ত, এড. বিকাশ চন্দ্র সাহা, স্বপন কুমার দেবকে যুগ্ম আহবায়ক এবং নির্মল পাল, এড. স্বপন দেব, চঞ্চল কুমার ঘোষ, দীলিপ কুমার নাগ কানাই, কমল চন্দ খোকন, অভিজিৎ চক্রবর্তী রাজু, নির্মল ঘোষ, এড. নিরঞ্জন সরকার শান্তি, এড. প্রদীপ দত্ত-২, দীলিপ মজুমদার, দেবাশীষ মিশ্র, বিমল দাস, দীপ্তি রায় চন্দন ও এড. স্বপন দেব। সভায় উপস্থিত সকলের সর্বসম্মতিক্রমে উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এতে অধ্যক্ষ তাপস কুমার বকসীকে আহবায়ক, শ্যামল পাল, অচিন্ত্য দাশ টিটু, এড. প্রদীপ দত্ত-১, এড. প্রদীপ দত্ত-২, এড. বিকাশ চন্দ্র সাহা, উজ্জ্বল দে, নির্মল ঘোষকে সদস্য করে ৮সদস্য বিশিষ্ট অর্থ কমিটি ও এড. বিকাশ চন্দ্র সাহা, বিমল দাস, কমল চন্দ খোকন, দীপ্তি রায় চন্দন, এড. নবেন্দু বিকাশ সর্বাধিকারী, এড. সুবীর নন্দী বাবু, এড. স্বর্ন কমল নন্দী পলাশ, বরুন চক্রবর্তীকে সদস্য করে খাদ্য কমিটি, অভিজিৎ চক্রবর্তী রাজুকে আহবায়ক সাংস্কৃতিক কমিটি, শিক্ষানুবিস এড. তাপস চন্দ্র সরকারকে আহবায়ক করে প্রচার কমিটি, দীলিপ নাগ কানাইকে আহবায়ক ও সুমন রায়কে সদস্য করে সাজ-সজ্জা কমিটিসহ বিভিন্ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এদিকে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখা’র সভাপতি চন্দন কুমার রায় ও সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার বকর্সী- বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিকী সম্মেলন সফল ও সার্থক করতে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহবান জানান সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিকে।
কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এক্সিকিউটিভ অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন
লাকসাম হাউজিং ষ্টেটের ভুমি জালিয়তি সম্পর্কে সম্প্রতি বিভিন্ন প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছিল। ওই সংবাদের আলোকে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্যাট মোঃ ইকবাল হোসেন ওই তদন্ত কমিটির প্রধান। লাকসামের সাবেক ইউএনও বর্তমানে (কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এক্সিকিউটিভ অফিসার) একেএম মামুনুর রশিদ জালিয়তি করে ভুয়া মিটিং ও রেজুলেশন করে লাকসাম হাউজিং ষ্টেটের ৩ শতক ভূমি তার অধিনস্ত কর্মচারী শাহ আলমের নামে দলিল সৃষ্টি করেন। ওই ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে লাকসামে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তখন বিভিন্ন প্রত্রিকায় ফলাও করে সংবাদটি প্রকাশ হয়। ওই সংবাদের আলোকে বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ মাঠ প্রশাসন শৃংখলা অধিশাখা এর স্বারক নং ২০১০-১৭ তারিখ ২৩ জানুয়ারী ১২ইং এর প্রত্র মোতাবেক কুমিল্লা জেলা প্রশাসক রেজাউল আহছান উক্ত তদন্ত কমিটি গঠন করেন। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের পত্রটি বিভাগিয় কমিশনার কার্যালয় হয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসেছে বলে সূত্র জানিয়েছে। মামুনুর রশিদের ভূমি জালিয়তি সম্পর্কে কুমিল্লার দুর্নীতি দমন কমিশনও তদন্ত করছে বলে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসের নির্ভর যোগ্য সূত্র জানিয়েছে। দুদক উক্ত অফিসের কর্মচারী শাহ আলমের বক্তব্য নিয়েছে বলে শাহ আলম নিজেই জানিয়েছে। মামুনুর রশিদের জালিয়তিকৃত ভূমিটি লাকসাম ইউএনও অফিসের সাবেক জারি কারক লাল মিয়া, আলী হোসেন ও হাসিনা আক্তার কিরণের নামে উপজেলা পরিষদের মিটিংয়ে তাদেরকে বরদ্ধ দেওয়ার ব্যপারে সিদ্বান্ত ছিলো। ওই সিদ্বান্ত বাতিল না করে ইউএনও মামুনুর রশিদ জায়গাটি নিজে ভোগকরার অপতৎপরতা চালিয়ে শাহ আলমের নামে দলিল সৃষ্টি করেন। শাহ আলম ওই সম্পতি হস্তান্তর করার জন্য উপজেলা পরিষদে আবেদন করেছেন। বর্তমানে ওই আবেদন স্থগিত রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌছেনি বলে জানা গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা বিষটি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিবেন এটাই সকলের প্রত্যাশা।
Discussion about this post