মোবারক বিশ্বাস পাবনা ব্যূরোঃ পাবনায় স্থানীয় ভাবে প্রশাসনিক ক্রুটির কারনে চলতি এইচএসসি পরীক্ষার বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (বিএম) বিভাগের ৯১ শিক্ষার্থী পরীক্ষা হলে দু’রকমের প্রশ্নপত্রে অংশগ্রহণ করে বিপাকে পড়েছে। তারা এখন ফলাফল না আশার আশংকায় ভূগছে বলে জানা গেছে। জানা যায়, পাবনা সদর উপজেলার টেবুনিয়া শামসুল হুদা ডিগ্রী কলেজের বিজনেস ম্যানেজমেন্ট (বিএম) শাখা থেকে ৯১ পরীক্ষার্থী রোববার এইচএসসি (বিএম) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল সদরের শহীদ এম মনসুর আলী ডিগ্রী কলেজে। সেখানে পরীক্ষা হলে ওই শিক্ষার্থীদের ‘ক’ ও ‘খ’ সেটের প্রশ্ন পত্র সরবরাহ করা হয়। ওই সময়ে পরীক্ষার্থীরা ‘ক’ ও ‘খ’ সেটে পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে আসে। কিন্তু একই পরীক্ষায় দু’রকমের প্রশ্নপত্রে তারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও আদৌ ফলাফল আসবে কিনা এ নিয়ে পরীক্ষাথীরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। একই সাথে অভিভাবকরাও উদ্বিগ্ন। একটি সূত্র জানায়, পরীক্ষার দিনে পরীক্ষা হলে পরীক্ষার্থীদের সরবরাহকৃত লেখার খাতায় কোথাও ‘ক’ ও ‘খ’ সেট পূরণের কোন বৃত্তমূলক ঘর ছিলনা। সেহেতু পরীক্ষা হলে দায়িত্বরত কক্ষ পরিদর্শক (ইনভিজিলেট) শিক্ষার্থীদের জানান, যে যে সেট পেয়েছে, তাকে সেই সেটের প্রশ্ন অনুসারেই উত্তর দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলাপকালে শহীদ এম মনসুর আলী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ (কেন্দ্র সচিব) মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, যারা প্রথমবার পরীক্ষা দিয়ে অকৃতকার্য হয়েছে, তাদের ‘খ’ সেট ও যারা নিয়মিত পরীক্ষার্থী তারা ‘ক’ সেট প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেবে। কিন্তু প্রশাসনিক ক্রুটির কারণে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান সমস্যা নেই দাবী করে বলেন, এই ক্রুটি আমরা জ্ঞাত হওয়ার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেছি। ইতোমধ্যে তারা আমাদের সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্যে আশ্বাস দিয়েছেন। সেহেতু, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত হওয়ার কোন উপায় নেই। টেবুনিয়া শামসুল হুদা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ এনামুল হক টগর বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। খোঁজ নিয়ে বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। অপর একটি সূত্র জানায়, পরীক্ষা নেয়ার সময়ে বোর্ড কর্তৃক নিয়ম অনুযায়ী কয়েকটি প্রশ্নপত্র’র সেট পাঠানো হয় সংশ্লিষ্ট বিভাগে। নিয়ম অনুসারে সেখান থেকে প্রথম সেটটি তোলার পর পরীক্ষা গ্রহণ করার কথা। কিন্তু কিভাবে ক ও খ সেট একই সাথে ওই দপ্তর থেকে উত্তোলন করে আবার একই সাথে পরীক্ষা গ্রহণ করা হলো এ নিয়ে অভিজ্ঞজনদের মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে। সূত্রটি দাবী করছে, প্রথম সেটের প্রশ্নপত্র ফাঁস বা যে কোন কারণে ক্রুটি বিচ্চ্যুতি হলে দ্বিতীয় সেট বা ততোধিক বোর্ড প্রেরিত সেট দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণের বিধান রয়েছে।
Discussion about this post