পাবনা থেকে মোবারক বিশ্বাসঃ পাবনা র্যাব ১২ সিপিসি-২ সদস্যরা শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে দেশীয় তৈরী ২টি সার্টারগান ও রাইফেলের ৬ রাউন্ড গুলিসহ ২ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে। পাবনা র্যাব ক্যাম্প জানায়, তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে আতাইকুলা থানার কাছারপুর গ্রামে আকিজ গ্র“পের নির্মানাধীন ফ্যাক্টরীরর পার্শ্বে কতিপয় ব্যাক্তি অস্ত্র বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। খবর পেয়ে পাবনা ক্যাম্পের কামান্ডার কেএম তানভীর আনোয়ারের নেতৃত্বে স্কোয়াড কমান্ডার এএসপি আবু সাঈদ ও ডিএডি তৌহিদুর রহমানসহ সঙ্গিয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়। রাত পৌনে ১১ টায় অভিযান দল সেখানে উপস্থিত হয়ে ২ জনকে আটক করে। আটককৃতদের হাতে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ১টি দেশীয় তৈরী শার্টারগান ও ৫ রাউন্ড থ্রি নট থ্রি রাইফেলের গুলি ও একজনের কোমর থেকে ১টি শার্টারগান ও ১ রাউন্ড রাইফেলের গুলি উদ্ধার করে। আটককৃতরা হলো আতাইকুলা থানার শ্রীপুর গ্রামের মোঃ হামিদ শেখের ছেলে আবু সাঈদ শেখ (৩২) ও মৃত দারোগ আলীর ছেলে ইউনুস প্রাং (৩৫)। এ ব্যাপারে আটককৃতদের অস্ত্র ও গুলিসহ পাবনা থানায় হস্তান্তর করে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে পাবনা র্যাব ক্যাম্প।
পাবনা চাটমোহরে হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার
পাবনা থেকে মোবারক বিশ্বাসঃ পাবনা চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতিকে হত্যা চেষ্টার ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে চাটমোহর থানা পুলিশ। শুক্রবার রাত ৮টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাবনা সদর উপজেলার পৌর বালিয়াহালট গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো চাটমোহর উপজেলার দিলালপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে বাবু (৩৫) ও আটঘরিয়া উপজেলার বাওয়খোলা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৩৮)। চাটমোহর থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, গ্রেফতারকৃত ২জন মূলগ্রাম আওয়ামীলীগ নেতা ফরিদ হোসেন হত্যা চেষ্টা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। উল্লেখ্য গত ১৪ জুন রাত ৮টায় চাটমোহর উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা ফরিদ হোসেন ও গোলজার হোসেন মোটরসাইকেল যোগে চাটমোহর বাজার থেকে খতবাড়ি নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চাপার বিলের কাছে কয়েকজন সন্ত্রাসী রাস্তা অবরোধ করে ফরিদকে এলাপাথারী ভাবে কোপায়। সন্ত্রাসীরা ফরিদকে মৃত ভেবে ফেলে চলে যায়। পুলিশ ফরিদকে উদ্ধার করে প্রথমে চাটমোহর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স্রে ও পরবর্তিতে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। উক্ত ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন আহতের সঙ্গি গোলজার হোসেন। আরো জানা যায় সন্ত্রাসীরা উক্ত ঘটনার পর থেকে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পাবনায় এসে আত্বগোপন করে ভাড়া বাসায় অবস্থান করছিলেন।
Discussion about this post