মোবারক বিশ্বাস ঃ “আমি নেতা নই কর্মী” বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রের নয় আদর্শের উত্তর সুরী, আমরা কেউ নেতা নই; আমরা আদর্শের কর্মী। আমরা সামন্যতম সুযোগ সুবিধার জন্য দল বদলের কথা ভাবিনা। ওয়ান ইলেভেনের সময় কিছু বিশ্বাস ঘাতক কি করেছে আপনারা তা জানেন এবং দেখেছেন। এরা সংক্রামক রোগের মত। এদের থেকে সাবধান। এরা নেত্রীকে মানে না। মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আমীর আলীর জীবন দশায় সে কখনো রাজাকার আল বদরদের সাথে আপোষ করেন নাই। আমির আলীর মৃত্যুর পর তার মরদেহ তার মামা জামাত বিএনপির কাছে সোর্পদ করেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১১ টায় বেড়া পৌরসভার মিলনায়তনে বেড়া আওয়ামীলীগের সভাপতি মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আমীর আলি, সাথিঁয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম মোজাম্মেল হক মাষ্টার ও অসীত দাসের আত্বার শান্তি কামনা করে বেড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃনমুল নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রি শামসুল হক টুকু আরও বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলেই দেশের উপকার হয়। দেশ আজ খাদ্য স্বয়ং সম্পুর্ণ। বিগত সরকারের এই দিকে কোন নজর ছিলনা। জাতীর জনকের সুদুর প্রসারী চিন্তার কারনেই জননেত্রী শেখ হাসিনার পরিকল্পনার কারনেই জননেত্রী শেখ হাসিনা বিগত সময়ে ক্ষমতায় এসে মামলা করেছিল আর এবার ক্ষমতায় এসে সমগ্র বিজয় করেছে। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার সময় ৩২০০ মেঃ ওয়ার্ড বিদ্যুত রেখে গিয়েছিল একমাত্র আওয়ামীলীগই ৩২০০ থেকে ৬০০০ মেঃ ওয়ার্ড বিদ্যুত উৎপন্ন করেছে। নতুন নতুন কল কারখানা আবাসিক এলাকা বৃদ্ধির সাথে বিদ্যুতের চাহিদা অব্যাহত আছে। বেড়া উপজেলায় ৪৫০ কোটি টাকার বিদ্যুত প্লান্টের কাজ চলছে। এখানে বে-সরকারী ভাবে জুট মিল তৈরী হয়েছে। পাবনা-ঈশ্বরদী রেল লাইনের কাজ চলছে। ঈশ্বরদী ঢালার চর রেল লাইন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। একনেকে আমরা পাশ কারিয়েছি। রাজবাড়ী কাজীর হাট ব্রীজ হবে। তিনি বলেন এই সরকার প্রত্যেক উপজেলা হাসপাতাল থেকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করেছে। কাশীনাথপুরে ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে। ২০২১ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকতে হবে। আর ক্ষমতায় আসতে হলে এর একমাত্র মাধ্যম সংগঠন। আওয়ামীলীগ সংগঠনকে তৃণমুল পর্যায়ে শক্তি শালী করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসী কার্যকর হয়েছে। সরকারের সময়েই যুদ্ধাপরাধী মানবতা বিরোধীদের বিচার কাজ শেষ হবে। বেড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গোলজার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী উপরোক্ত কথা বলেন। উক্ত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আজিজুর হক আরজু, বেড়া আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আঃ কাদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আঃ মান্নান মান। বেড়া পৌর মেয়র আলহাজ আঃ বাতেনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সভাটি সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়।
পাবনা ঈশ্বরদীতে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান
মোবারক বিশ্বাস ঃ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঈশ্বরদী উপজেলা, পৌর ও কলেজ শাখার যৌথ আয়োজনে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে ঈশ্বরদীর সড়ক ও জনপথ ভবন প্রাঙ্গনে ঈশ্বরদী উপজেলার বিভিন্ন স্কুল থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা ও পাবনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শামসুর রহমান শরীফ এমপি। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএসআরআই এর মহাপরিচালক খায়রুল বাশার, উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাস, সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ ড. সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনিসুন্নবী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মকলেছুর রহমান মিন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান বশির আহমেদ বকুল, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মিন্টু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম খাঁন। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়ের বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামীলীগ নেতা গোলাম মোস্তফা চান্না মন্ডল, আ ত ম শহিদুজ্জামান নাসিম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কবীর আলী হিরু, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল¬াহ আল মামুন সোহাগ, ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন সনেট, সাধারণ সম্পাদক আরাফাত রহমান রাসেল প্রমূখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ।
পাবনা ঈশ্বরদী সাহাপুরে সন্ত্রাসীরা লীজকৃত জোলায় মাছ ধরতে বাধা প্রদান করছে
মোবারক বিশ্বাস ঃ পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় সাহাপুর ইউনিয়নে জেলা প্রশাসক অফিস থেকে ৩ বছর মেয়াদি লীজ নেওয়া থাকলেও জয়েনপুর জোলায় সন্ত্রাসীরা জেলেদের মাছ ধরতে বাধা প্রদান করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, স্থানীয় দুটি গ্র“প গফুর মন্ডল গ্র“প ও সাত্তার মন্ডল গ্র“পের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৮মে উভয় গ্র“পের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষে ২জন আহত হয়। এদিকে সংঘর্ষে স্থানীয় জেলেরা সাত্তার মেম্বারের পক্ষ না নেওয়ায় তার সন্ত্রাসীরা ক্ষীপ্ত হয়ে বাঁশেরবাদা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে জেলা প্রশাসক অফিস থেকে লীজ নেওয়া জয়েনপুর জলা ভুমিতে মাছ ধরতে বাধা প্রদান করেছে। জেলেরা মাছ ধরতে গেলে সাত্তার গ্র“পের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জেলেদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এছাড়া সাত্তার গ্র“পের লোকজন ইতিমধ্যে সেখান থেকে জোর পুর্বক প্রচুর মাছ ধরে নিয়ে গেছে বলে উক্ত মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন জানান। শুধু তাই নয় সাত্তার মেম্বার আলাউদ্দিনের কাছ থেকে জোলা কিনে নিয়েছে মর্মে ভুয়া দলিল তৈরী করে উক্ত জোলা তাদের দাবি করেছে। এদিকে জেলা প্রশাসক অফিস থেকে ৩ বছরের জন্য লীজ গ্রহিতা বাঁশেরবাদা মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ আলাউদ্দিন বলেন, তিনি সাত্তার মন্ডলের কাছে জোলা বিক্রয় করেননি। সাত্তার মোল্লা অসৎ উদ্দ্যেশে ভুয়া দলিল তৈরী করে আমাদের সাথে বিরোধ তৈরী করার চেষ্টা করছে। ইতিপুর্বে সাত্তার মেম্বারের সন্ত্রাসী বাহিনী জোরপুর্বক জোলা থেকে মাছ ধরে নিয়ে গেছে। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় সন্ত্রাসী বাহিনীর সাথে জেলেদের রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষে জান মালের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে স্থানীয়রা অভিমত ব্যাক্ত করেন। এ ব্যাপারে দ্রত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি।
Discussion about this post