একটি দেশের সভ্যতা-সংস্কৃতি বা সামাজিক অবস্থা সাধারণত: দেশের প্রচলিত আইনের মাধ্যমে অনুধাবন করা যায়। আর সে আইন নির্ধারিত হয় বিজ্ঞ পার্লামেন্টে এবং তা রক্ষার দায়িত্ব যাদের উপর ন্যস্ত সেই পুলিশ যদি সে আইনকে প্রয়োগের নিমিত্তে সাধারণ মানুষের অভিযোগ গ্রাহ্য না করেন তবে আইন রক্ষকের দুষ্ঠ চরিত্রই পরিস্ফুটিত হয়। আইন বা বিচার সকলের জন্য সমান, ধনী, দরিদ্র, নারী, পুরুষ পদস্থ, সাধারণ ভেদে তার প্রয়োগ হওয়া আদৌ কাম্য নয়। সুদূর প্রবাসে বসেও বাংলাদেশের দৈনিক পত্রিকাগুলোর পাতায় চোখ বুলালেই দেখা যায় ধর্ষণ, খুন , শ্লীলতাহানি, মারামারি, দাঙ্গা এবং তার সঙ্গে পুলিশের নিস্ক্রিয়তার খবর, কিন্তু পুলিশ কি সত্যিই নিস্ক্রিয়? এই প্রশ্ন সাধারণ শান্তিপ্রিয় মানুষের মাথায় ঘুরপাক খায়।
ডাক্তার যেমন শারীরিক রোগ নিরাময় করেন, পুলিশের দায়িত্বও ঠিক তেমনি সামাজিক ব্যাধি নিরাময় করা। ডাক্তারের স্মরণাপন্ন হলে ডাক্তার যেমন জাত, ধর্ম দল ইত্যাদি বিচার না করেই তার চিকিৎসা করেন তেমনি পুলিশেরও উচিত স্মরণাপন্ন হলে তাকে জাত, ধর্ম দল ইত্যাদির উর্ধে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাকল্পে তার সহায়তা করা।কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশে আজ কি ঘটছে? সাধারণ মানুষ যখন চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, ধর্ষণ, রাহাজানি, গৃহ ও সম্পত্তি জনিত কারণে খুন খারাপি ঝগড়া বিবাদ নিয়ে অর্থ্যাৎ সামাজিক ব্যাধির শিকার হয়ে পুলিশের স্মরণাপন্ন হয় তখন পুলিশ র্পাটি, দল,প্রভাব, ধর্ম আর টাকা এসব দেখে তবে ব্যবস্থা নেয়। অথচ কুয়েতে থানার পুলিশ সত্যিই জনগনের সহায়ক। জনগণের সেবক তারা জনগণের সেবার জন্য তারা সদা প্রস্তত। অপরাধীরা সে যত প্রভাবশালীই হোক না কেন পুলিশ তার নিজস্ব আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। অথচ বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আজ থানায় গিয়ে কোন প্রতিকার পাই না। কোন কেস্ নিয়ে থানায় গেলে পুলিশ আগে দেখে কত টাকা পাবে, তারপরে সে নড়ে চড়ে বসে। আর সেই জন্যই থানার একজন ওসি থেকে সাব ইনসপেক্টরও আজ দূর্মূল্যের এই বাজারে শহরের অভিজাত এলাকায় লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে বাড়ি, গাড়ি করার ক্ষমতা রাখেন ৫/৬ বছর চাকুরী করেই।
পুলিশ আজ কালো হাত বাড়িয়ে মোটা টাকা ঘুষ নেয়, তাছাড়া যখন গরীব ও ধনী এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব হয় তখন ঐ ধনী গোষ্ঠী অপরাধী হলেও সে ক্ষেত্রে দেখা যায় টাকার খেলা। মোটা টাকার জোরে কেস্ যায় ঘুরে। শেষে গরিব লোকেরাই শাস্তি পেতে বাধ্য হয়। এটা আজ সত্যি যে পুলিশ ঘুষ খেয়ে, টাকা নিয়ে নয়কে ছয় এবং ছয়কে নয় করে। সাধারণ মানুষের অসুবিধায় তারা ভ্রুক্ষেপ করে না। তাদের চোখ থাকে ধনীলোকের দিকে।
সাধারণ মানুষ থানায় ডায়েরী করতে গেলে তাদের উপর বর্ষিত হয় অজস্র এলোমেলো প্রশ্নের বান। আসলে ইদানিং বাংলাদেশের থানাগুলোতে ‘দালাল’ কিংবা ক্ষমতাসীন দলের মদদ ব্যতিরেকে সাধারণ মানুষের এফ.আই.আর গ্রহনকরা হয় না। আর গ্রহন করা হলেও কাগজপত্র এমনভাবে তৈরী করা হয় যে দোষীকে খালাস করে দেওয়া ছাড়া আদালতের আর কোন উপায় থাকে না। স্বাভাবিক এটা যে পুলিশ যে কোন অপরাধের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ গ্রহন করবে। ‘দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন’ পুলিশের কর্তব্য। কিন্তু একথা সত্যি যে পুলিশের ভূমিকা আজ এক্ষেত্রে বিপরীত। অপরাধী চোখের সামনে বুক ফুলিয়ে চলে রাজনৈতিক শক্তির জোরে। অথচ অনেক ক্ষেত্রে নিরাপরাধ ব্যক্তি শাস্তি পায়। আবার অনেক সময় ধৃত অপরাধিরও রাজনৈতিক শক্তির চাপে বেকসুর খালাস পেয়ে যায়।
রাজনৈতিক দলের প্রভাবকে আমি খাটো করে দেখছিনে। কিন্তু পুলিশ মহলকে এই কথাটা গভীরভাবে ভেবে দেখতে অনুরোধ করছি রাজনৈতিক প্রভাব মানে যাদি এই হয় যে, কেবলই বে আহনী অনুরোধ পালন করা তবে পুলিশ তাকে আমল দেবে কেন? কিন্তু তার আগে দেখতে হবে, সেই পুলিশ অফিসারের এমন কোন ছিদ্র আছে কিনা যার ভিতর দিয়ে রাজনৈতিক প্রভাব ‘কলি’র মতো প্রবেশ করতে পারে। যদি সেই অফিসারের ছিদ্র থাকে তবে ধরে নিতে হবে সেই অফিসার পুলিশ বাহিনীতে পঁচা আলু’। পুলিশ প্রশাসনের সুস্বাস্থ্যের কারণেই তাকে চিহ্ণিত করে বাদ দিতে হবে।
কোনও কাজ করতে বাধ্য করানো যায় শিশুদের। কারণ তারা জানেনা কোনটা উচিত আর কোনটা অনুচিত। তারা অবোধ। কিন্তু যারা জেগে ঘুমান তাদের কিভাবে জাগাবেন?আজ বাংলাদেশের পুলিশ প্রশাসনে বড় শোচনীয় অবস্থা। সত্যি কথা বলতে কি পুলিশের নৈতিক চরিত্র অধঃপাতে গিয়েছে, যার নৈতিক বল নেই , তার মনোবলও থাকে না। কথাটা সাধারণভাবে সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পুলিশের চাকরি নিদির্ষ্ট বিধিনিয়মের অন্তর্গত। তাদের চাকুরীর কি কি শর্ত তারা জানে। থানায় ডিউটি চলাকালীন একজন পুলিশের কি কি কর্তব্য পালন করা উচিত তাও তারা জানে কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় সব জেনে শুনেও তারা কর্তব্য পালন করে না। কারণ তারা জানে কর্তব্যে অবহেলার জন্যে শাস্তি নেই, আছে পুরস্কার।শাসক দলের ছত্রছায়ায় থেকে যদি খ্যাতি,পয়সা,চাকুরী নিরাপত্তা বজায় থাকে, তাহলে জনসাধারণ নিয়ে মাথা ঘামানোর মধ্যে কোনও মুর্খ পুলিশই যাবে না।
সংগত কারণে পুলিশের অন্যায় আচরণের ফলে পুলিশ আর জনসাধারণের মধ্যে বিরাট একটা গ্যাপ সৃষ্টি হয়েছে। লালন ফকিরের ভাষায়-‘ওরা দুজন এক খানে রয়,তবু লক্ষ যোজন ফাক রে- ফাঁক আগে যতটা ছিল এখন দিন দিন সেটা আরও বাড়ছে।পুলিশের ব্যবহারের কারণে সাধারণ মানুষ আজ থানায় যেতে ভয় পায়। এজাহার করতে গেলে কিভাবে হয়রানি হতে হয় তা ভুক্তভোগীরা ভাল করেই জানেন। তাছাড়া অতি সাধারণ বিষয়েও ঘুষ না দিলে ডায়েরী নেওয়া হয় না।কর্তব্যপরায়ন ও নিয়ামানুবর্তী আইন রক্ষক হিসাবে জনসাধারণের সঙ্গে ভদ্র, ন¤্র সংযত আচরণ কিংবা দুর্নীতি, অসাধুতা থেকে মুক্ত হবার কোন উদ্যোগ এদের মধ্যে দেখা যায় খুবই কম। স্বভাবতই সাধারণের সমস্ত আবেদন নিবেদনই অরণ্যে রোদনের মতো নিস্ফল প্রতিপন্ন হচ্ছে। বর্তমানে এ সম্পর্কে পুলিশের ব্যাখ্যা হল-কুকর্মের নায়কদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রাহ্য করা হয় না-¯্রফে রাজনৈতিক কারণে। তাছাড়া এজাহার গ্রহন করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েই কি লাভ? রাজনৈতিক মুরুব্বীদের ফোন আসবে তক্ষুনি, ছেড়ে দিতে হবে অপরাধীদের, আদালতে তোলার কোন প্রশ্নই থাকছে না,তার চেয়ে বরং ক্ষমতাসীনদের অন্ধ স্তাবক সেজে থাকাই ভাল।
এ দেশের মানুষ পুলিশের নিরপেক্ষতার প্রত্যাশী হলেও, সামাজিক দায়বদ্ধতা আজ অবধি আইন রক্ষকের মধ্যে না আসায় সংযম ও শিষ্ঠাচার পালনের পরিবর্তে প্রতিটি থানায় এমন একটা পরিবেশ গড়ে তোলা হয়েছে যা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতিকূল। যত দিন যাচ্ছে এদেশে পুলিশ অরাজকতা দূর হওয়া তো দুরের কথা উত্তরোত্তর তা বৃদ্ধি পেয়ে জনসাধারণকে অধিকতর নিরাপত্তাহীনতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
শাসক দলের সঙ্গে পুলিশের অশুভ আঁতাতের দরুন ক্ষমতার দম্ভে স্ফীত আইন রক্ষকের কার্যকলাপ লাগামছাড়া মাত্রাতিরিক্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। শাসক গোষ্ঠীকে সন্তÍষ্ট রেখে যা খুশী তাই করেও এরা সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার উর্ধ্বে থেকে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের প্রত্যক্ষ প্রশ্রয়ে সাধারণ জীবন ও স্বাস্থ্য হানিকর বিপজ্জনক ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে জিইয়ে রেখে প্রতিকারের পরিসর ক্রমশঃ সংকীর্ণতর করে ফেলা হয়েছে।
আমাদের প্রচলিত ধারণা, বিপদে আপদে পুলিশ জনসাধারণকে রক্ষা করে।কথাটা পুরো ঠিক নয় । জনগণের সমর্থনও পুলিশকে তার যথা বর্তব্য সম্পাদনে সাহায্য করে। ‘জন সমর্থন’ পুলিশের বিপক্ষে গেলে পুলিশের পক্ষে কর্তব্য পালন করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। গণতান্ত্রিক দেশে এরকমই প্রথা।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কথাই যখন বললাম, এখন এ বিষয়ে দু’একটা কথা বলে নেওয়াই ভাল। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যে দলের সরকারই হোক না কেন, জনগনের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। কারণ সে দেশের জনগনের ভোটেই সরকার ক্ষমতায় এসে বসেন। জনগণ যদি দেখে সরকার সাধারণ মানুষের স্বার্থ দেখছে না, তবে তা নিয়ে আন্দোলন করে সেই সরকারকে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে গদিচ্যূত করা না পর্যন্ত জনতা ক্ষান্ত হয় না। ফলে সেই গণতান্ত্রিক দেশে সরকারকে জনমতের উপর নির্ভর করতে হয়। আর সে ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পুলিশের ভূমিকা শান্তি স্থাপকের, শৃঙ্খলা রক্ষকের। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পুলিশের ভূমিকা স্বেচ্ছাচারী হতে পারে না। পুলিশকে কর্তব্য পালন করতে হলে জনগনের সহায়তা তার পক্ষে একান্ত অপরিহার্য। এক্ষেত্রে দরকার জনগণের সঙ্গে পুলিশের পারস্পরিক সম্পর্ক। সে সম্পর্ক কেমন এবং তার ভিত্তি কি?
পুলিশ জনতার স্বার্থে আইন মোতাবেক শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষা করবে এবং জনগণ নিজের স্বার্থে সেই কর্তব্যকর্ম সম্পাদনে পুলিশকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে। এইভাবে পারস্পারিক আস্থা নিয়ে জনগণ কখনও নিজের হাতে আইন তুলে নেবে না।বর্তমান অজ্ঞত নামা আসামীর সঙ্গে পুলিশের অজ্ঞাত তথা আতিরিক্ত আয়ের মাত্রাও যে বেড়ে চলেছে তা অত্র এলাকার ভুক্তভোগী জনগণের সংঙ্গে কথা বললে আকার-ইঙ্গিতে জানতে পারা যাই। ভিতিকর পরি¯ি’িতর মধ্য দিয়েই সেখান কার জনগণ বসবাস করেন। সম্প্রতি কুয়েতে আসা কয়েক জন যুবকের কাছে জানলাম তাদের এলাকায় বাড়ি ঘর লুঠপাটের ও অগ্নি-সংযোগের মামলায় অজ্ঞাত আসামির তালিকা থেকে বাঁচাতে মা বাবা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে জীবন বাঁচানোর জন্য বিদেশে পাঠিয়েছেন। এক দিকে ক্রসফায়ারের ভয় অন্য দিকে ঘুষ না দিলে পুলিশি নির্য্যাতন-এ সব থেকে বাঁচতে তারা বিদেশ মুখি। এ গুলো কোন গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাছে নিশ্চয় কাম্য নয়। পুলিশও কোন সময় আইনের সীমা লংঘন করবে না এটাই সাধারণ মানুষের কামনা।
আজ একথা সত্যি সমাজের সর্বস্তরে দুর্নীতি দেখা দিয়েছে, পুলিশেরাও এই সমাজের মানুষ। অতএব তারাও দুর্নীতিগ্রস্থ হবেন এ যুক্তিকে কখনও অস্বীকার করা যায় না। পুলিশ ঘুষ নেবে না কারণ, গরীব দেশে সে যাতে কর্তব্য কর্মে দুর্নীতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য তাকে অনেক সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে। তাকে যে রেশন দেওয়া হয় তা বাজার থেকে অনেক সস্তা, তাছাড়া থাকা খাওয়া সুযোগ সবই তো এ গরীব দেশের সাধারণ জনগণের পকেট থেকে যাচ্ছে। হয়তো এটা যথেষ্ট নয়, কিন্তু এই গরীব দেশে তার সম-শিক্ষার, সম স্তরের লোকদের চাইতে তা ঢের বেশী। পুলিশে যারা কাজ করেন,সাধারণ লোকদের চাইতে তারা এই সুবিধা ভোগ করেন তাদের চাকুরীর শর্ত হিসাবে। এবং চাকুরীর শর্ত অনুযায়ী ঘুষ নেওয়া অপরাধ। জনগণ যদি দেখে পুলিশ ঘুষ খাচ্ছে,তবে পুলিশের প্রতি তার অশ্রদ্ধা জন্মাবেই। একথা মনে রাখতে হবে যার প্রতি অশ্রদ্ধা জন্মায়, তার উপরে কেউ আস্থা রাখতে পারে না।
যিনি সৎ ও দক্ষ পুলিশকর্মী যিনি কর্তব্যকর্মে ভয়ে পিছিয়ে যান না, যাকে প্রলোভনেও কেনা যায় না এবং যিনি সমস্ত বিধিনিয়ম মেনে কাজ করেন শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তিনি জনগনের হƒদয় জয় করবেনই করবেন। এমন পুলিশকর্মী এখনও আছে। ভাল আইন কে না চায়। কিন্তু এখানে চরিত্র বলই আসল বল। যে মানুষের আত্মমর্যাদা নেই,তাকে মানুষ বলেই কেউ গণ্য করে না। যে মানুষ মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারে, তারই আত্মমর্যাদা থাকে। পুলিশও তো মানুষ। পুলিশ নির্ভয়ে এবং নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন, কারণ তিনি এই ভাবেই তার আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করবেন। জনগণ পুলিশকে রক্ষক হিসাবে দেখতে চায়। আত্মমর্যাদার বর্ম দিয়েই একমাত্র সব রকম রাজনৈতিক বা অন্য বদ প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা যায়।
আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছে প্রায় অর্ধশত বছর ।এখনও ১৮৬১ সালের বৃটিশ রাজ কর্তৃক প্রনীত পুলিশ আইনের কাঠামো অনুযায়ী পুলিশ প্রশাসন চলে। অথচ তখন আইনটি তৈরী হয়েছিল জনস্বার্থে নয়, ভারতবর্ষে বৃটিশ সামাজ্যের প্রতিষ্ঠা এবং তাকে পাকাপাকিভাবে টিকিয়ে রাখার জন্য। এক্ষেত্রে প্রখ্যাত সাংবাদিক তালভিন সিং এর মন্তব্য প্রনিধান যোগ্য: The British created a police force that was designed to serve the interest of the rulers and suppress the aspirations of the people and that is exactly the police force. We still have we go to extra ordinary lengths to protect our VIPS but could not care less if ordinary people were beaten to death or raped in police custody.
পরিশেষে বর্তমান অবস্থার সঙ্গে তাই গণতান্ত্রিক সরকারের বিজ্ঞ সাংসদদের কাছে অনুরোধ করবো তারা যেন পুলিশ প্রশাসনকে ঢেলে যুগোপযোগী করে সাজান এবং প্রকৃত অর্থেই পুলিশ যেন জনগণের সেবা করেন যা বর্তমান সময়ের দাবী।
লেখক,বর্তমান কুয়েত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত
Discussion about this post