আগামী ৫ জুনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংলাপে বসার আহবান জানানোর জন্য বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ও সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। এমনকি এ আহবানে সাড়া না দিলে ৬ জুন থেকে বিএনপির সঙ্গে তার সব সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বুধবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। ব্যারিস্টার হুদা বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বলতে চাই- দেশ রক্ষা ও মানুষ রক্ষার যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে কারো অপেক্ষায় না থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আলোচনায় বসার আহবান জানাতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আলোচনার আহবান জানালেন কি জানালেন না সে অপেক্ষায় থাকা যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘আশা করেছিলাম প্রধানমন্ত্রীই সংলাপের উদ্যোগ নেবেন। কিন্তু তিনি তা নেননি। তাই আমি আমার নেত্রীকেই সংলাপের উদ্যোগ নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।’ খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি থেকে আমাকে পদত্যাগে বাধ্য করবেন না।’ এছাড়া আলোচনায় না বসলে ১০ জুনের পর যা কিছু ঘটবে সেজন্য প্রধানমন্ত্রীই দায়ী থাকবেন বলেও সতর্ক করেন নাজমূল হুদা। মূলত রাজবন্দিদের নিশর্ত মুক্তি, এক-এগারো পরবর্তী বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা বিনাশর্তে প্রত্যাহার, একটি সুষ্ঠু ও অবাধ জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং সে লক্ষ্যে অন্তর্বতীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা, একটি দলীয়করণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ, দেশে আইন-শৃঙ্খলা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা, দেশের মূল্যবান জনসম্পদ ও প্রাকৃতিক সম্পদ দেশের স্বার্থে ব্যবহার ও সংরক্ষণ করা তার সংবাদ সম্মেলনের প্রধান বিষয় হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, বছর দেড়েক আগেও দেশের শীর্ষ দুই নেত্রীকে এক সঙ্গে বসার আহবান জানিয়েছিলেন নাজমুল হুদা।
Discussion about this post