পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারতের সঙ্গে মামলায় ভাল ফল পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা ও ঐকান্তিকতার কারণে মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিষয়ক মামলায় আমরা জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছি।’ ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে মামলায়ও ভাল ফল পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। দীপু মনি আজ জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র আয়োজিত সংগঠনের এক দশক পূর্তি উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে স্বাধীনতার ৪০ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। এটা এখন গণমানুষের দাবি। মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পূর্বে দেশের মানুষের কাছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য অঙ্গিকারবদ্ধ ছিল। যত ষড়যন্ত্রই হোক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে।
নারী সাংবাদিকদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমের সকল শাখায় নারীদের বিচরণ থাকা প্রয়োজন। তারা মেধার প্রমাণ রাখছেন। দেশ গঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে চলেছেন। সমাজের সকল ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিকতা পেশার সকল ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা পেলে তারা একদিন নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে যেতে পারবে।
নারী সাংবাদিকরা তাদের বস্তুনিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে সমাজের অসঙ্গতি তুলে ধরে সমাজ উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
আরেফিন সিদ্দিক বলেন, পূর্বের চেয়ে গণমাধ্যমে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। পুরুষের সঙ্গে সমান তালে তাল মিলিয়ে কাজ করছে। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় তাদের অংশগ্রহণ বিশাল অর্জন।
নাসিমুন আরা হক তার বক্তব্যে সংগঠনের ১০ বছরের কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা ও সাফল্যের দিক তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে কেন্দ্রের একাদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও একদশক পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটা হয়। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।
Discussion about this post