সর্বশেষ তথ্যমতে কুয়েতে বর্তমানে আড়াই লাখের মত বৈধ আকামাধারী প্রবাসী বাংলাদেশী এবং প্রায় বিশ হাজারের মত অবৈধ প্রবাসী আছেন। ক্যামরার সামনে কথা না বললেও সময় টিভির অনুসন্ধানে বেড়িয়ে এসেছে প্রবাসীদের অনেকে হুন্ডিতে কেন টাকা পাঠায় সেই তথ্য। কুয়েতে কেউ করেন চাকুরী আবার কেউ করেন ব্যবসা। তবে দেশটিতে অবস্থানরত বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সবাই প্রবাসী। এখানে নাগরিকত্ব পাওয়ার কোন সুযোগ নেই, তাই প্রত্যেক প্রবাসীর মাসিক আয়ের একটা সার্টিফিকেট আছে। এই আয়ের উপর নির্ভর করেই তারা তাদের দেশে টাকা পাঠাতে পারেন। অতিরিক্ত আয়ের সঠিক তথ্য দিতে না পারলে স্থানীয় আইনের আওতায় আনা হয়। গত সাপ্তাহে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত যাদের আয়ের উৎস নেই বিভিন্ন দেশের এমন পনের হাজার প্রবাসীকে কুয়েত থেকে নির্বাসিত করা হয়েছে। এই খবরে অনেক ব্যবসায়ী চিন্তিত যাদের সেলারি সার্টিফিকেট থেকে মাসিক আয় কয়েকগুন। কষ্ট করে হালাল আয় করে কেন তারা হারাম পথে টাকা দেশে পাঠাবেন এর একটি সঠিক সমাধান চান প্রবাসী ব্যবসায়ীরা। বৈধ ভিসা নিয়ে কুয়েতে এসে কোম্পানি আকামা না লাগানোর কারনে অনেকে অবৈধ হয়ে যায়। এসব অবৈধরা কোথাও না কোথাও কাজ করে যে আয় করেন সেই টাকা দেশে পাঠাতে বৈধ আকামা না থাকার কারণে হুন্ডি ব্যবসায়ীদের শরণাপন্ন হন। বৈধ ভিসা নিয়ে কুয়েতে এসে কোন প্রবাসী যাতে অবৈধ না হয় সেটা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান প্রবাসীরা। কুয়েত প্রবাসীদের একটা বড় অংশ অশিক্ষিত এবং অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করছেন। ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠানো ঝামেলা মনে করেন তাই তাদের অনেকে হুন্ডিতে টাকা পাঠান। কুয়েতে মানী এক্সচেঞ্জের সাবেক কর্মকর্তা আরিফ হোসেন বলেন বাংলাদেশ সরকার প্রনোদনা দিচ্ছে এটা অবশ্যই প্রশংসনী এটার পাশাপাশি রেমিটেন্স পাঠাতে যে সার্ভিস চার্জ লাগে তা বাংলাদেশ সরকার ফ্রি করে দিলে অনেকটা রেমিটেন্স বাড়বে বলে আশা করেন। পাকিস্তান সহ কিছু দেশের কুয়েত প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠাতে কোন সার্ভিস চার্জ লাগে না তাদের দেশের সরকার বহন করে। বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম খাত প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স । তথ্যমতে বিদায়ী অর্থবছরে দেশে সব মিলিয়ে প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, যেখানে পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে মোট আয় হয়েছে ৩ হাজার ৮৭৬ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ রপ্তানি আয়ের প্রায় কাছাকাছি । এ ধারা অব্যাহত রাখতে এবং প্রবাস থেকে হুন্ডি ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রবাসীরা কেন হুন্ডিতে টাকা পাঠায় সে সব সমস্যা চিহ্নিত করে এর সমাধান বের করা এবং সহজ পদ্ধতিতে দ্রুত গতীতে কোন সাপ্তাহিক বন্ধ ছাড়া দেশে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান কুয়েত প্রবাসীরা।
Discussion about this post