কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন সমস্যা ও তার প্রতিকার নিয়ে প্রবাসীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান। ২৮ আগষ্ট শনিবার সকালে দূতাবাসের মাল্টিপারপাস হলে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অনুমতি (লামানা) নিয়ে ভিসা ইস্যু প্রথা বাতিল করা, বাংলাদেশীদের আকামা নবায়নে প্রতি বছরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভোগান্তি বন্ধ করা, প্রবাসী বাংলাদেশীদের ফ্যামিলি ভিসা/পরিবারের সদস্যদের ভ্রমণ ভিসা অন্য দেশের মতো সহজ ও উন্মুক্ত করন। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, নার্স, শিক্ষক সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দক্ষ পেশাজীবীদের কুয়েতের ভিসার সুযোগ সৃষ্টি, বিনামূল্যে ভিসা ও অসাধু ভিসা ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব বন্ধ সহ বেশ কিছু বিষয়ে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রদূত এর কাছে দাবি জানান।
রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান প্রবাসীদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া গুলো স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এসব বিষয়ে সমাধানের যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন বলে জানান। মতবিনিময় সভায় দূতাবাসের কাউন্সেলর শ্রম মোহাম্মদ আবুল হোসেন, প্রথম সচিব মোঃ ইকবাল আখতার, প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান নিয়াজ মোর্শেদ সহ বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। করোনা মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী দেশ কুয়েত। করোনার প্রাদূর্ভাব ঠেকাতে বাংলাদেশ সহ বেশ কিছু দেশকে করোনা সংক্রমণের ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ দেশের তালিকায় রেখেছিলো কুয়েত। সে সব দেশের সাথে সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ এবং দেশটিতে দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার কারণে অনেক প্রবাসী কর্মহীন হয়ে নি দেশে চলে গেছেন। আবার অনেকে কর্মস্থলে ফিরতে পারেন নি সরাসরি ফ্লাইট বন্ধ থাকার কারনে। স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সাথে সাথে খুলে দেয়া হয়েছে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শীঘ্রই খুলেদয়ো হবে স্কুল কলেজ। এর ফলে বিভিন্ন সেক্টরে দেশটিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে। শুধু শ্রমিক নয় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দক্ষ পেশাজীবীদের কর্মসংস্থানের সুযোগও ক্রমান্বয়ে সৃষ্টি হচ্ছে।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি,জি দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে বাংলাদেশের সুনাম ফিরিয়ে আনতে এবং কুয়েত প্রবাসীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে
কুয়েতের সরকারি প্রশাসনে যোগাযোগ সহ বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে তৎপরতা চালাচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি রাষ্ট্রদূত স্থানীয় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, কুয়েতে অবস্থানরত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সাথে সাক্ষাত সহ দেশটিতে বিভিন্ন মিডিয়ার সম্পাদকবৃন্দ, প্রসিদ্ধ কোম্পানির মালিক, বড় বড় মার্কেটের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে দেশটিরে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। কূটনীতিকদের সাথে সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশী পণ্য ও বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে অবিহিত করে আসছিলেন।
Discussion about this post