আবদুল কাদের,কুয়েতঃ- ৫ জানুয়ারী ২০১৪অনুষ্ঠিত প্রহসন মুলক নির্বাচন বাতিল ও গ্রেপ্তারকৃত ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি সিলেট বিভাগীয় পরিষদ কুয়েত’র উদ্যোগে আলোচনা ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি মোঃ ফয়সাল’র সভাপতিত্বে ও ফয়সাল উদ্দিন আহম্মেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মধ্যপ্রাচ্য সমন্বয় কমিটির সদস্য সচিব ও বিএনপি কুয়েতের সাধারন সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী মঞ্জুরুল আলম।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন-কুয়েত বিএনপির সহ সভাপতি মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন,সহ সাধারন সম্পাদক আবুল হাসেম এনাম,সহ সাধারন সম্পাদক আজিজ উদ্দিন মিন্টু,সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর মায়মুন,ভারপ্রাপ্ত প্রচার সম্পাদক আবদুল কাদের।অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেএসডি কুয়েত ফোরাম সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ,আসাদ মোল্লা,আহাদ খাঁন,আসলাম জাফর ইকবাল পলাশ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন ৫ জানুয়ারীর নীল নকসার নির্বাচন অভিলম্বে বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান করুন না হলে শেখ হাসিনার শেষ রক্ষা হবেনা।বাংলার মেহনতি মানুষ আজ জেগে উঠেছে।আওয়ামীলীগ দলীয় সন্ত্রাসী ও আইন শৃংখলা বাহীনি দিয়ে ভয়ভীতি ও জোর করেও ভোট কেন্দ্রে মানুষকে আনতে তারা ব্যার্থ হয়েছে।বেগম খালেদা জিয়া ও তারুন্যের অহংকার তারেক রহমানের আহবানে বাংলাদেশের সর্ব স্তরের মানুষ এই নির্বাচনকে ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।শত বাধা ও নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে মিডিয়ার উপস্থিতির মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষ দেখেছে হাসিনার পদলেহন কারী সিইসি রকিব উদ্দিন ৫ থেকে ৭ শতাংশ ভোটার কে ভোট কেন্দ্রে আনতে পারেনি।অর্ধ শতাধিক ভোট কেন্দ্রে একজন ভোটারও উপস্থিত না হওয়া বিশ্বের ইতিহাসে এক নজীর বিহীন ঘটনা এই বিশ্ব রেকর্ডের জন্য শেখ হাসিনা ও রকিব উদ্দিন নোবেন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।যে নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থীদের ৩১ জন দুপুরের আগেই নির্বাচন প্রত্যাখান করে সেই নির্বাচনকে নির্বাচন বলাই অত্যান্ত হতাশা জনক। নির্বাচনের আগে ও পরে শত শত মানুষ হত্যার দায়ে শেখ হাসিনা ও রকিব উদ্দিনের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হতে হবে।
প্রহসন মুলক এই নির্বাচনকে দেশবাসী যে ভাবে প্রতিহত করেছে সেই ভাবে বাংলার জনগনকে সাথে নিয়ে ১৮ দলীয় জোট শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন কুয়েত বিএনপির নের্তৃবৃন্দ।গ্রেপ্তারকৃত ১৮ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীদেরকে অভিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান তারা।
আলোচনা শেষে গত কিছু দিন ধরে সরকারী বাহীনির হামলায় নিহত নেতা-কর্মীদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
Discussion about this post