নিজস্ব সংবাদদাতা ঃ পাবনা সদর উপজেলার পৌর এলাকায় কলেজ ছাত্রের তালাকপ্রাপ্ত এক মেয়ের সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম অতঃপর বিয়ে । স্ত্রী’র মর্যাদা আদায় করতে ছেলের বাড়িতে মেয়ের অবস্থান। ছেলেসহ ছেলের পরিবার বাড়ি থেকে বের হয়ে অন্যের বাড়িত অবস্থান । মেয়ে একাকী ছেলের বাড়িতে অবস্থান। যে কোন সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে বলে এলাকাবাসী মনে করছে। জানা যায়, পৌর রাধানগর ঈদগাহ মাঠপাড়ার বাসিন্দা বাবু ড্রাইভারের ছেলে এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর কলেজ ছাত্র সোহেল(২২) পার্শ্ববর্তি এলাকা নয়নামতির বাসিন্দা ফুটু’র মেয়ে বীনা(২৫)র সাথে দীর্ঘ দিন ধরে মন দেওয়া নেওয়া করছিল। চলতি বছরের প্রথম দিকে ছেলে সোহেল ও মেয়ে বীনা উভয়ে কোর্টের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা কাবিন নামায় কোর্ট ম্যারেজ করে। দীর্ঘদিন বিষয়টি চাাঁপা থাকলেও ছেলে সোহেল বিয়ে করার বিষয়টি চেপে থাকার জন্য মেয়ে বীনাকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। সর্বশেষ গত সোমবার মেয়ে বীনা খাতুন স্ত্রী মর্যাদার দাবিতে ছেলের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ঘরে প্রবেশ করে। বিষয়টি এলাকায় প্রচার হয়ে গেলে স্থানীয়রা মেয়ের পক্ষ হয়ে ছেলেকে স্ত্রী’র মর্যাদা দিতে সোহেলকে চাপ প্রয়োগ করে। এদিকে সোহেল রাতের আধারে বাড়ি থেকে বের হয়ে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে ছেলের বাবা,মা ও বোন বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। শেষ খবর লেখা পর্যন্ত মেয়ে বীনা খাতুন ছেলের বাড়িতে অবস্থান করছিল। এদিকে মেয়ে বীনা জানায়, গত শুক্রবার সোহেল ও তার বাবা স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের এক নেতার কাছে বিচার দাবী করে। উক্ত নেতা উভয় পক্ষের শান্তি ও শৃংখলা রক্ষার্থে কাবিনের ২ লাখ টাকা মেয়েকে দিয়ে ছাড়া ছাড়ি করার পরামর্শ প্রদান করে। মেয়ে বীনা অভিযোগ করে বলেন, সোহেল আমাকে বিয়ে করার পর থেকে আমার গচ্ছিত প্রায় ১০ লাখ টাকা বিভিন্ন সময় নগদে গ্রহণ করে। এ টাকা দিয়ে সোহেল বাড়ি বানিয়েছে আমাকে বউ হিসাবে ঘরে তোলার জন্য। আর এখন সোহেল প্রতারনা করে আমাকে ২ লাখ টাকা দিয়ে তালাক দেওয়ার পায়তারা করছে। সোহেল একজন প্রতারক ও বাটপার। সে আমাকে বিয়ে করে আমার টাকা পয়সা নিয়ে আমাকে ঘরে না তুলে সে আমার সাথে প্রতারনা করেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার বাসিন্দারা জানান, সোহেলের বাবা একজন ট্রাক চালক । হঠাৎ করে সোহেল টিনের বাড়ি ভেঙ্গে দালান তুলে বোনের বিয়ে দিয়েছে। আমরা চিন্তাও করতে পারিনা বাবু’র পরিবার এত তাড়াতাড়ি এত টাকা পেল কোথাই। এখন বুঝতে পারছি ঐ মেয়েকে বিয়ে করে তার থেকে টাকা পয়সা নিয়ে এত কিছু করেছে। সোহেল যদি ঐ মেয়েকে ভাত কাপড় না দেয় তাহলে মেয়ের সাথে প্রতারনা করা হবে। সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় সোহেলের বাড়িতে লাল নিল লাইট ঝুলছে। গত শুক্রবার অনেক আয়োজন করে সোহেলের বোনের বিয়ে দিয়েছে। বাড়িটি একতলা সুন্দর বাড়ি। একজন ট্রাক ড্রাইভারের পক্ষে এমন বাড়ি করা দুঃসাধ্য। ছেলের বক্তব্য ও ছেলের পরিবারের বক্তব্যের জন্য যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। সন্ধায় জানা যায়, সোহেল বৃহস্পতিবার কাজি অফিসের মাধ্যমে বীনাকে তালাক প্রদান করেছে। রাতে পাবনা থানায় মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করার জন্য কতিপয় দালালদের মাধ্যমে যোগাযোগ করছে। বৃহস্পতিবার রাতেই বীনাকে বাড়ি থেকে বের করে দিবে।
Discussion about this post