মোশাররফ হোসেন শুভ, ময়মনসিংহ ব্যুরো: ফুলবাড়ীয়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোসলেম উদ্দিন এডভোকেট বলেছেন, প্রকল্পের কার্যক্রম চালু হলে এলাকার সহস্রাধিক কৃষক উপকৃত হবে। কৃষকরা খরা মৌসুমে পানি সংরক্ষন করে আবাদী জমিতে সেচের ব্যবস্থা করতে পারবে। গতকাল বৃহস্পতিবার জাইকা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার কালাদহ ইউনিয়নের বিদ্যানন্দ গ্রামে পৌনে ৩ কিলোমিটার গুজাকুঁড়ি খাল খনন, পানি নিস্কাশন বাধ ও স্লুইচ গেট নির্মানে প্রায় কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের শুভ উদ্ভোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোসলেম উদ্দিন এডভোকেট। উদ্ভোধন শেষে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মাষ্টারের সভাপতিত্বে বিদ্যানন্দ ফাজিল মাদ্রাসায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা প্রকৌশলী আহসানুজ্জামান, আওয়ামীলীগ নেতা ইমদাদুল হক সেলিম, মোবারক আলী মাষ্টার, মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল হোসেন,আবুবক্কর সিদ্দিক, হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
ময়মনসিংহের আরো খবর
একদিন পর এইচ এস সি পরীক্ষা ভালুকার মেদুয়ারীতে রাতভর জুয়া ও যাত্রার নামে অশ্ল¬ীল নৃত্য
আগামী ১লা এপ্রিল এইচ,এস,সি পরীক্ষা সামনে রেখে ভালুকা উপজেলার মেদুয়ারী গ্রামে স্থানীয় মেম্বার মিয়াজ উদ্দিন ও শ্রমিকলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নিয়ে প্রশাসন ম্যানেজ করে রাতভর আলোকউজ্জ্বল প্যান্ডেলে হাউজি, জুয়া ও যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য চালিয়ে এলাকার হাজার হাজার স্কুল কলেজের ছাত্র ও যুব সমাজ কে বিপদগামী করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অপরদিকে শান্তিপ্রিয় এলাকাবাসীর পক্ষে মেদুয়ারী ইউনিয়নের জাতীয় ইমাম সমিতির সভাপতি মাও ছাইদুল ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন জুয়া ও অশ্লীল নৃত্য বন্ধের দাবিতে স্থানীয় এমপি ও জেলা প্রশাসক বরাবরে গত ২২ ফেব্র“য়ারী লিখিত আবেদন করলে এমপি তা বন্ধের সুপারিশ করেন। এসবের তোয়াক্কা না করে গত কয়েকদিন যাবত উল্লেখিত ব্যক্তিরা ওই গ্রামে রাতভর হাউজি, চরচরি, ডাব্বা, ওয়ান টেনসহ বিভিন্ন জুয়া ও অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করে চলেছে। ১লা এপ্রিল হতে এইচ এস সি পরিক্ষা শুরু হবে। এসময় ভালুকা, ফুলবাড়িয়া ও ত্রিশাল তিন থানার সীমান্ত বর্তি মেদুয়ারী গ্রামটি জুয়ার মাঠ হিসেবে বেছে নেয়ায় প্রতিরাতে বাস, প্রাইভেটকার ও মটর সাইকেল যোগে বিভিন্ন উপজেলা হতে মাঠে এসে হাজার হাজার ছাত্র যুবক অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসরে লাখ লাখ টাকা গচ্ছা দিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। এতে অনেক পরিক্ষার্থী বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। জুয়া যাত্রার কারণে বর্তমানে এলাকার সচেতন মহলে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করা হলে পরস্পর বিরুধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।
ত্রিশালে জমি সংক্রান্তে শালা দুলা ভাইয়ের কোন্দলের জেরে দিশেহারা জমির ক্রেতা
ময়মনসিংহের ত্রিশালে জমি সংক্রান্তে শালা দুলা ভাইয়ের পারিবারিক কোন্দলের জেরে দিশেহারা হয়ে পরেছে জমির ক্রেতা। জানাগেছে,ত্রিশাল পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মামুনর রশিদ প্যানেল মেয়র ১ এর সাথে পার্শ্ববতী আবুল কালাম ও তার পরিবারের সদস্যদের মাঝে দৃর্ঘদিন যাবত কোন্দল চলে আসছে। এ জমি সংক্রান্ত কোন্দলে প্যানেল মেয়র-(১) ১৮৩০ দাগের তার জমি রয়েছে বলে আদালতের কাছে জমির দাবীধার হয়ে অভিযোগ করেন। তারই প্রেক্ষিতে আদালত উভয় পক্ষকে সকল কাগজপত্র দাখিলের নির্দেশ দেন । উল্লেখ্য উভয়পক্ষ আদালতে কাগজপত্র হাজির করিলে প্যানেল মেয়ররের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৪ মার্চ ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল সহকারী জজ আদালত বিবাদী আবুল কালামকে অবহিত করে একটি আদেশ দেওয়া হয়েছে। আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে ১৮৩০ দাগের যে পুকুর রয়েছে তাতে অনুপ্রবেশ করে মাছ ধরে নিতে না পারে বা পুকুর জোরপূর্বক বেদখল করতে না পারে সেই মর্মে অস্থায়ী আদেশ দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় এলাকা সূত্রে জানাগেছে ১৮৩০ দাগে যে সম্পত্তি রয়েছে তা পৌত্রিক সূত্রে বর্তমানে জমির মালিক আবুল কালাম। সেই জমি থেকে পনে সাত সতাংশ জমি আবু বকর সিদ্দিক ও হাছনারা বেগমের কাছে বিক্রি করেন আবুল কালাম। গত-৭মার্চ এ দৃজনের পক্ষ্যে জমির খারিজ দেন সহকারী কমিশনার(ভূমি)ত্রিশাল। আবুল কালাম সম্পর্কে প্যানেল মেয়র ১মামুন অর রশিদের দুলাভাই, তাদের কোন্দলের কারনে ১৮৩০ দাগ থেকে এদুজন সঠিক ভাবে জমি ক্রয় করার পরও দিশেহারা হয়ে পরেছে। এর আগে মাছ চুরির শিরোনামে আবুল কালামকে জড়িয়ে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আবুল কালাম জানান, রাজনৈতিক ভাবে এলাকার মানুষের কাছে তাকে সম্মানের হাণি করার জন্যই মামুন অর রশিদ মিথ্যা তথ্যদিয়ে প্রতিনিধিকে দিয়ে এসংবাদ প্রকাশ করিয়েছেন । মূলত ১৮৩০ দাগে তার কোন সম্পত্তি নেই।
ত্রিশালে মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক দপ্তরের অফিস উদ্বোধন আজ
ময়মনসিংহের ত্রিশালে আজ মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক দপ্তরের অফিস উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে। জানাগেছে ত্রিশাল পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড বালিপাড়া রোডস্থ আজ সকাল ১১টায় মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক দপ্তরের অফিস আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে। এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডিংএর নেতৃবৃন্দসহ রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকার করা রয়েছে। আগামী দিন গুলোতে এ দপ্তরের মাধ্যমে জাতীয় বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে এ দপ্তরের সাধারন সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন প্রতিনিধিকে জানান। এ লক্ষ্যে ত্রিশাল উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধাকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার অনুরুদ জানিয়েছেন।
গৌরীপুর সোনালী ব্যাংকে ভূয়া একাউন্ট ব্যবস্থাপক সহ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ নাজিম উদ্দিন কে ফাঁসাতে ভূঁয়া স্বাক্ষর দিয়ে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড গৌরীপুর শাখায় একটি এসবি ১৩৭২৫ নম্বর ভুয়া একাউন্ট খোলার অভিযোগ উঠেছে। প্রতারনার অভিযোগে সোনালী ব্যাংক লিঃ গৌরীপুর শাখার ব্যবস্থাপক ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২শিক্ষক সহ ৫জনকে আসামী করে নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে ২৮মার্চ মঙ্গলবার ময়মনসিংহ সিনিয়র ম্যাজিষ্টেটের আদালতে ১৯৫/১২ নম্বর মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় ব্যাংকের গ্রাহক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বাদী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের ধুরুয়া রামনাথপুর গ্রামের মৃত রুস্তম আলীর ছেলে নাজিম উদ্দিন এর সাথে প্রতিবেশী ছাত্রলীগ নেতা- কয়েস আল কায়কোবাদ লাজুক গংদের দীর্ঘদিন ধরে মামলা মোকাদ্দমা সহ বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরেই প্রতিপক্ষ প্রতারক চক্রটি নাজিম উদ্দিনকে ফাঁসানোর লক্ষ্যে তার ফটো, আইডি কার্ড সংগ্রহ করে ভূঁয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে ব্যাংক কর্মকর্তাদের চোখে ধূলো দিয়ে ১৩৭২৫ নম্বর একটি ভুয়া একাউন্ট খোলে। ওই একাউন্টের আবেদনে প্রত্যায়নকারী আশিষ কুমার সরকার -সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক। তিনিও ওই চক্রের একজন সদস্য। প্রতারক চক্রটি ওই একাউন্টের বিপরীতে চেক বই ইস্যু করিয়ে দুইটি চেকে যথাক্রমে চেক নং-৮৮৩৫৭২১ এ ৩লাখ টাকা এবং ৮৮৩৫৭২৬ এ ৫লাখ টাকা লিখে ব্যাংকে জমা দিয়ে চেক ডিজ অনার করিয়ে প্রাপক-শাহরিয়ার কবির শিমুল ও কয়েস আল কায়কোবাদ লাজুক বাদী হয়ে নামিজ উদ্দিনকে আসামী করে গত ২৩ফেব্রুয়ারী ময়মনসিংহ আদালতে দুইটি পৃথক (সিআর ৫১/১২ ও সিআর ৬২/১২) প্রতারনা মামলা করে। ছাত্রলীগ নেতা-কয়েস আল কায়কোবাদ লাজুক একজন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি ধুয়ার গ্রামের মৃত আব্দুল হাই এর ছেলে। অপর দিকে ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার কবির শিমুল একই ইউনিয়নের পাচাঁশী গ্রামের সিরাজুল হকের ছেলে। নাজিম উদ্দিন জানান, তিনি খোলা বাজারে একজন তরিতরকারী বিক্রেতা, তিনি কোনদিন ব্যাংকে একাউন্ট করেননি। ভুয়া ব্যাংক একাউন্টের কথা জেনে তিনি সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের সাথে দেখা করতে গেলে ব্যবস্থাপক তাকে স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মিমাংসার প্রস্তাব দেন। কিন্তু নাজিম উদ্দিন প্রতিপক্ষের প্রতারণা মামলা থেকে জামিন নিতে মঙ্গলবার আদালতে ওই মামলাটি দায়ের করেন। বিজ্ঞ ম্যাজিষ্টেট মামলাটি আমলে নিয়ে সোনালী ব্যাংক আঞ্চলিক প্রধানকে অত্র বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। সোনালী ব্যাংক লিঃ গৌরীপুর শাখার ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম জানান, নাজিম উদ্দিনের উপস্থিত স্বাক্ষরেই ব্যাংক একাউন্ট খোলা হয়েছে। সরকারী প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে নাটক সাজালে প্রতারণায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Discussion about this post