নজরুল ইসলাম মিন্টু বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বিএনপির ডাকা দ্বিতীয় দিনের হরতাল চলাকালে সোমবার বগুড়ার শেরপুরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে পুলিশের চার কর্মকর্তাসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের কয়েকজন হলেন, শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান, আবু জাররা, বুলবুল আহম্মেদ, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) অনন্ত কুমার সরকার, বগুড়া জেলা বিএনপির সহ শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আরিফুর রহমান মিলন, শেরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ভুট্টো, উপজেলা বিএনপির সদস্য আলতাফ হোসেন, শহিদুল ইসলাম পাশা, সমর্থক রেজাউল করিম রেজা, খাদেমুল ইসলাম, এনামুল হক, রনি পাশা ও সাইফুল ইসলাম। আহতরা স্থানীয় শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। আহত বগুড়া জেলা বিএনপি নেতা আরিফুর রহমান মিলন বাংলানিউজকে জানান, কর্মসূচি চলাকালে মিছিলে ঢিল মারার কথা বলে অওয়ামী লীগ অন্যায়ভাবে হামলা করে। তাদের নেতাকর্মীদের আহত করা হয়। এর আগে শেরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, তাদের হরতাল বিরোধী মিছিলে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঢিল ছুঁড়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটালে তাদের প্রায় ১০ নেতাকর্মী আহত হন। পুলিশ, র্যাব-১২ বগুড়া অফিসসহ স্থানীয় একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, বেলা সোয়া ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একটি হরতাল বিরোধী মিছিলে বিএনপি কর্মীদের ঢিল ছোঁড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে পরে বগুড়া থেকে রিজার্ভ পুলিশ সদস্য ও র্যাব-১২ বগুড়ার একটি দল এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। শেরপুর থানার পরিদর্শক (ওসি) জানান, বেলা ১২টার দিকে আওয়ামী লীগের একটি মিছিলে বিএনপির কর্মীরা ঢিল ছুঁড়লে উভয় পক্ষে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এসময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
Discussion about this post