নজরুল ইসলাম মিন্টু বগুড়া জেলা প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার সর্ব বৃহৎ পাট বেঁচা-কেনার সারিয়াকান্দি হাটে নতুন পাট আমদানি হতে শুরু হয়েছে। গত শনিবার হাটে দেখা গেছে কৃষকেরা পাট নিয়ে আসার সাথে সাথে ক্রেতাদের মধ্যে শুরু হয় পাট কেনার প্রতিযোগিতা। অল্প সময়েই কৃষকেরা প্রতিমন পাট ১৩’শ টাকা থেকে ১৭’শ টাকায় বিক্রি করছে। এবার পাট বীজ বপনের সময় খড়া ও কর্তনের পূর্বে আগাম বন্যায় পাট ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে সার, বীজ ও শ্রমিক খরচ বেশী হওয়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচ উঠছে না। আগাম বন্যায় এবার যমুনার চরাঞ্চলে বেশীর ভাগ কৃষকের পাট ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যমুনা নদীর ভাঙ্গনে এবং ঢালা পড়ে পাটের জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও কোন কোন পাটের জমিতে এক হাটু বালু পড়ায় এবং বন্যার পানি ওঠায় পাট ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনেক কৃষকের কাটা পাট পানির স্রোতে ভেসে গেছে। গত বছর পাটের উৎপাদন পাওয়া গেছে বিঘাপ্রতি ৮/৯মন, কিন্ত এবছর পাট ফসলের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় বিঘা প্রতি ফলন পাওয়া যাচ্ছে ৫/৬মন। উপজেলায় ৭ হাজার ৩৫ হেক্টর জমিতে এবার পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ,তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৫ হেক্টর জমিতে বেশী পাট চাষ হয়েছে বলে উপজেলা কৃষি অফিসার সালাহ উদ্দিন সরদার জানান। গত বৎসর পাটের আমদানীর শুরুতে প্রতি মন পাট ২’হাজার টাকার ওপরে বেঁচা কেনা হলেও পরবর্তীতে পাটের বাজার ধস নেমে ৮’শ থেকে ১’হাজার টাকায় বেঁচা কেনা হয়। সেসময় হাজার হাজার মন আমদানী কৃত পাট মাঠের মধ্যে নিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকত কৃষকেরা। প্রচন্ড গরম ও হঠাৎ করে নেমে আসা বৃষ্টিতে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়ত।স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পাটের মিল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারে পাটের দাম কমে গেছে।ফলে ক্রেতাদের গাছাড়া ভাব হয়ে যায়। এমন দৃশ্যতে হতাশ হয়ে অসহায় কৃষকেরা ক্রেতাদের নিকট পাট বিক্রির জন্য ধর্না ধরত।সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মহাজন,ফরিয়া আর মজুদ ব্যবসায়ীরা কৃষকের পাট কম দামেই উঠিয়ে নিয়েছে। কৃষক পাটের ন্যায্য মুল্য থেকে হয়েছে বঞ্চিত।এবার পাটের মূল্যে যেন ধস না নামে এবং ন্যায্য মূল্য প্রত্যাশা করছেন কৃষকেরা।
Discussion about this post