নজরুল ইসলাম মিন্টু বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় মোকাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে ছিনতাইয়ের তিনদিন পর চাল বোঝাই ট্রাক উদ্ধার এবং এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে আটক করেছে বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত সোমবার ও মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে ওই ট্রাকের লুন্ঠিত ২৫০ বস্তা চালের মধ্যে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার গুজিয়া বাজারের বিভিন্ন দোকান থেকে বিক্রির জন্য রাখা ৫১বস্তাসহ ৭৪ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, আটককৃতদের মধ্যে ডাকাত দলের সদস্য বগুড়ার কাহালু উপজেলার সুকানগাড়ী গ্রামের মৃত আবির উদ্দিনের পুত্র রমজান আলী (৩৫), বগুড়ার বিহার উত্তরপাড়ার খিরাজ উদ্দিন সাকিদারের পুত্র বেলাল হোসেন সাকিদার (২৮) ও দিনাজপুর সদরের কাচারিপাড়ার মহবুল ইসলামের পুত্র রাজু (২৪) এবং লুন্ঠিত চাল ক্রয়কারি শিবগঞ্জ উপজেলার আজিমুদ্দিন, ছানোয়ার ও গাইবান্ধার সাদাল্যাপুরের আব্দুর রাজ্জাক। বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি মিজানুর রহমান জানান, গত ১৩ এপ্রিল বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার মোকাম থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া চাল ভর্তি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৪-৭৩৬৭) বগুড়া শহরের তেলিপুকুর নামকস্থানে পৌঁছলে যাত্রীবেশি ৬ ডাকাত ৫’শ টাকায় ভাড়ায় ওই ট্রাকে ওঠে। পথিমধ্যে সিরাজগঞ্জের সায়দাবাদ নামকস্থানে পৌছলে ডাকাত দল কৌশলে চালক ও হেলপারকে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চোখ হাত-পা বেঁধে ট্রাকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ঘোগা ব্রীজের কাছে চালক ও হেলপারকে আটকে রাখে। পরে ট্রাকটি নিয়ে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় চালগুলো আনলোড করে খালি ট্রাক জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ফাকা জায়গায় রাস্তার উপর রেখে ডাকাত দল চলে যায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার ও মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে ওই ট্রাক উদ্ধার করা হয় এবং শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে আজিমুদ্দিন ও ছানোয়ার এবং গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর থেকে আব্দুর রাজ্জাক নামে তিনকে চালসহ আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে মোট ৭৪ বস্তা চাল উদ্ধার এবং ডাকাত দলের ওই তিন সদস্যকে আটক করা হয়।
বগুড়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে একজন খুন
নজরুল ইসলাম মিন্টু বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে শহীদুল ইসলাম কেটু (৩৮) নামে একজন খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সকালে সদর উপজেলার চান্দিনা নওয়াপাড়া গ্রামের ইফাজ উদ্দীনের ছেলে শহীদুলের জবাই করা লাশ পার্শবর্তী পাটক্ষেতে পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়। নিহতের চাচাতো ভাই ও সংশ্লিষ্ট সারিয়াকান্দি সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাজেদুর রহমান সোনা জানান, বেদখল হয়ে যাওয়া ছয় বিঘা সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য তিনটি মামলার বাদী হয়েছিলেন কেটু। যে কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে সোমবার রাতের কোন এক সময়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে উক্ত স্থানে ফেলে রাখে। নিহতের শরীরে ৪/৫টি স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, “এলাকাবাসীর দেয়া খবরে গ্রামের পাটক্ষেত থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি।”
Discussion about this post