বগুড়া জেলা প্রতিনিধি ঃ বগুড়া সদর ও শিবগঞ্জ উপজেলায় পৃথক ঘটনায় দুই কিশোরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাত এক মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছেন।
বগুড়া সদর থানার এসআই সামছুল হক নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, বগুড়া শহরের উত্তর কাটনার পাড়ার শিপন মিয়ার ছেলে দর্জি শ্রমিক ওমেদ আলী (১৪) ও একই এলাকার আলীমের ছেলে লেদ শ্রমিক রাহাদ ওরফে তবলা (১৫) শুক্রবার বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। রাতে বাড়ি না ফিরলে খোঁজা খুজি করে কোথাও তাদের পাওয়া যায়নি। গতকাল শনিবার সকালে বগুড়া শহরের কলেজ রোডস্থ ভান্ডারী মেগা সিটি (সাবেক কটন মিল) নামের একটি হাউজিং এলাকায় ওমেদ আলীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে খবর দেয় এবং তবলাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে নিহত কিশোর ওমেদ এর লাশ উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় তাদের দু’জনকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। নিহত কিশোর ওমেদ এর মাথা, ঘাড়, দুই হাতে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপানো হয়েছে। আর আহত কিশোর তবলার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত করা হয়েছে। পুলিশ লাশের পাশে পড়ে থাকা একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করেছে। এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বগুড়া সদর থানার অফিসার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল আলম জানান, তাৎক্ষনিক ভাবে কিশোর হত্যার কারন উৎঘাটন করা যায়নি। চেষ্টা চলছে। অপরদিকে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থানগড় এলাকার কালিদহ সাগর পাড়ের জঙ্গল থেকে শুক্রবার রাতে অজ্ঞাত নামা (১৫) এক কিশোর এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে কালিদহ সাগর এর দক্ষিন পাড়ের জঙ্গল থেকে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। ওই কিশোর (১৫) কে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার মাথার ভেতরে একটি লোহার রড ঢুকানো ছিলো। এছাড়া উপজেলার আটমুল ইউনিয়নের আতাহার কুলুপাড়ার একটি পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওসি জানান, শনিবার সকালে ৪৫ বছরের ওই মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়। এলাকার লোকজনের কাছে ওই মহিলা অপ্রকৃতস্থ হিসেবে পরিচিত ছিলো। তার পরিচয় জানা যায়নি।
Discussion about this post