বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে একুশে টেলিভিশনের এক যুগ পূর্তি উৎসব উদযাপিত হয়েছে নিউইয়র্কে। গত ১২ এপ্রিল জ্যাকসন হাইটসের পালকি পার্টি সেন্টারে একুশে টেলিভিশন নিউইয়র্ক অফিস আয়োজিত বর্ণাঢ্য এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতি সংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড.এ কে আবদুল মোমেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন একুশে টেলিভিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম সামসুর রহমান শিমুল। অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর পরই একুশের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে কাটা হয় বিশাল একটি কেক। তার পর শুরু হয় আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। একুশে টেলিভিশন যুক্তরাষ্ট্রের চীফ কো-অর্ডিনেটর দেওয়ান বজলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ফ্রিডম ফাইটারস এসোসিয়েশন ইউএস কমান্ডের কনভেনার মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মুকিত চৌধুরী,পৃথিবীর আলো সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, এখন সময় সম্পাদক কাজী সামসুল হক, বর্ণমালা সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, বাংলাদেশ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদ খান, একুশে টেলিভিশন নিউইয়র্ক অফিসের চীফ রিপোর্টার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন (সেলিম), মুল ধারার রাজনীতিক হাসানুজ্জামান হাসান, আবদুস শহীদ, আনায়ারুল কবির জাসির, এশিয়া টাইমস সম্পাদক জাফর মাহমুদ, আই অন সম্পাদক রিমন ইসলাম, আভার প্রেসিডেন্ট মেহের চৌধুরী, মমতাজ আলো প্রমুখ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড.এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশে ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে একুশে টেলিভিশন। সংবাদ ও অনুষ্ঠান পরিবেশনে ভিন্নতা সহ বাংলাদেশে টেলিভিশন মিডিয়াকে গণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তোলে একুশে টেলিভিশন। একুশে টেলিভিশনের সাংবাদিকরাই আজ বাংলাদেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যা একুশে টেলিভিশনের বিরাট অর্জন। তিনি বলেন, একুশে টেলিভিশন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও মানসম্পন্ন অনুষ্ঠানমালা পরিবেশনার মাধ্যমে আজো তার স্বাতন্ত্র অবস্থান বজায় রাখতে সক্ষম রয়েছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এস এম সামসুর রহমান শিমুল বলেন, পরিবর্তনের অঙ্গিকার নিয়ে যাত্রা শুরু করা একুশে টেলিভিশন তার নীতি আদর্শ থেকে বিন্দু মাত্রও লক্ষ্য চ্যূত হয়নি। শত বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করেও একুশে তার গন্তব্যে এগিয়ে চলছে। অপশক্তি বার বার একুশের কন্ঠকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে চেয়ে ছিল। সে ধারা আজো অব্যাহত রয়েছে। লক্ষ কোটি দর্শক-ই একশের প্রাণ, এগিয়ে চলার শক্তি। একুশে কারো রক্ত চক্ষুকে ভয় পায় না। একুশের দায়বদ্ধতা তার দর্শকদের কাছে। তিনি বলেন, একুশ মানে কারো কাছে মাথা না নোয়ানো। একুশ যেন কারো কাছে মাথা নোয়াতে না হয় দর্শকরা তাদের অব্যাহত অকুন্ঠ সমর্থনের মাধ্যমে একুশকে সে প্রেরণা যুগিয়ে যাবে সবসময় এ প্রত্যাশা করেন তিনি। এস এম সামসুর রহমান শিমুল বলেন, একুশে টেলিভিশনের মৌলিকতা ছিল টেরিস্টোরিয়াল। টেরিস্টোরিয়াল ফিরে না ফেলেও অনলাইনে ফ্রি সম্প্রচারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপি একুশ ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যমে একুশ তার মৌলিকতা ফিরে পেয়েছে। পেয়েছে নব উদ্যম। তিনি বলেন, উত্তর আমেরিকায় ডিশে ফিরে আসা সহ নতুন চমক নিয়ে একুশ তার অগুনিত দর্শকদের সামনে হাজির হবে ভিন্ন আঙ্গিকে। তিনি সবাইকে একশের শুভ জন্ম দিন ও বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান। বক্তারা তাদের বক্তব্যে বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশনে একুশে টেলিভিশনের সাহসী ভ’মিকার প্রশংসা করেন। তারা দেশ, মাটি ও মানুষের কল্যানে একুশে টেলিভিশনের নিরন্তর পথ চলায় সাফল্য কামনা করেন। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন, সবিতা দাস, সাকিনা ডেনি, সহিদ সরকার সহ প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীরা।গভীর রাত পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক দর্শক-শ্রোতা অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন পেরেন্টস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট মোর্শারফ হোসেন। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন, একুশে টেলিভিশন নিউইয়র্ক অফিসের বিজনেস এক্সিকিউটিভ জসিম চৌধুরী, আকলিমা চৌধুরী রানা, মিনহাজ আহমেদ, উম্মে কুলসুম পপি, রোকসানা আক্তার পলি, আফিয়া নাসরিন, মোহাম্মদ রহমান, হাসান জাফরী, আবদুল মান্নাফ দুলাল, জাহাঙ্গীর হাওলাদার
Discussion about this post