বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি থেকে দুরে সরে যাচ্ছে কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশী নতুন প্রজন্ম। এতে চিন্তিত অভিভাবকেরা। বাংলাদেশ পৃথিবীর সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ধারণকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রবাসীরা বাংলার সংস্কৃতি কিছুটা ধারণ করে। মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে রয়েছে বাংলাদেশী স্কুল। যেখানে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সন্তানেরা আন্তর্জাতিক শিক্ষার পাশাপাশি শিখতে পারে জানতে পারে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সম্পর্কে। মধ্যপ্রাচ্যেরই অন্যতম ধনী দেশ কুয়েত। দেশটিতে আড়াই লাখের উপরে প্রবাসী বাংলাদেশী বসবাস করেন। তাদের মধ্যে অনেকেই পরিবার নিয়ে কুয়েতে থাকেন। কুয়েতে জন্ম হওয়া তাদের সন্তানেরা কুয়েতে কোন বাংলাদেশী স্কুল না থাকাতে ভারত, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, ব্রিটিশ কিংবা আমেরিকান স্কুলে লেখা পড়া করান। বিভিন্ন দেশের স্কুলে লেখাপড়া করতে গিয়ে তারা ঐ দেশের সংস্কৃতিতে আকৃষ্ট হয়ে পরে। এখানে একদিকে যেমন নেই বাংলা স্কুল তেমনি কোন স্কুলে নেই বাংলা সাবজেক্ট। এতে করে বর্তমান প্রজন্ম ধীরে ধীরে দুরে সরে যাচ্ছে বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির জ্ঞান থেকে। কুয়েতে বর্তমানে প্রজন্মের অনেকেই ভাল করে বাংলা বলতে বা লিখতে পারে না। এমন কি বাংলাদেশের সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই এতে চিন্তিত অভিভাবকেরা। বনরুপা চারুকারু শিশু মেলা , বাংলাদেশ ফ্যামেলি ফোরাম এমন কিছু সংগঠন আছে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন নতুন প্রজন্মকে বাংলা শিক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার। কুয়েত প্রবাসীরা মনে করেন বর্তমান সরকার বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশকে যে ভাবে তুলে ধরেছে চতুরদিকে শুধু বাংলাদেশের সুনাম। এই সুনামের ধারা অব্যহত রাখতে কুয়েতে আন্তর্জাতিক মানের একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। কুয়েতে নতুন প্রজন্ম যেভাবে বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি থেকে দুরে সরে যাচ্ছে এর থেকে বাঁচতে কুয়েতে দ্রুত বাংলাদেশী স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে না পারলেও যে সকল স্কুলে বেশী বাংলাদেশী শিক্ষার্থী আছে সে সব স্কুলে একটি বাংলা সাবজেক্ট চালুর দাবি জানান প্রবাসী অভিভাবকেরা।
Discussion about this post