কুয়েতে তিন লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশীর বসবাস হলেও বর্তমানে আড়াই লাখের নিচে । কুয়েতে প্রবাসীর সংখ্যা কমলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দেশভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রেরণে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে কুয়েত । অবৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠানো বন্ধ হলে বাড়বে রেমিট্যান্স এমনটাই মনে করেন অনেকে।
করোনাভাইরাস মহামারিতে বিভিন্ন দেশে লকডাউন আর অচলাবস্থার কারণে বিদেশে কর্মরত অনেক প্রবাসী বাংলাদেশিরা একদিকে যেমন বেতন পাননি অন্য দিকে চাকুরী হাড়িয়েছেন। অনেকে আবার দেশে গিয়ে ফিরতে পারেননি কর্মস্থলে। দীর্ঘদিন থেকে কুয়েতে তিন লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশীর বসবাস হলেও বর্তমানে আড়াই লাখের নিচে নেমে এসেছে। কুয়েতের চেয়ে অনেক দেশে প্রবাসীর সংখ্যা বেশি হলেও রেমিট্যান্স প্রেরণে পিছিয়ে নেই কুয়েত প্রবাসীরা। কুয়েতে প্রবাসীর সংখ্যা কমলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দেশভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রেরণে মধ্যপ্রাচের মধ্যে তৃতীয় হলেও বিশ্বের মধ্যে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে কুয়েত । মহামারির প্রভাব থেকে রেহাই পাননি অনেক কুয়েত প্রবাসী। অনেক প্রবাসীর মালিক ভাল হওয়াতে নিজ কর্মস্থলে ফিরতে পেরেছেন।
করোনাভাইরাস মহামারি বিশ্বজুড়ে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে তার প্রভাব দেখা দিয়েছে বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ে। কুয়েতে বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানিতে কর্মরত প্রবাসীরা তাদের কাছে আসা প্রবাসীদের বৈধ পথে টাকা পাঠাতে উদ্বোদ্ধ করেন বলে জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশভিত্তিক রেমিট্যান্সের প্রবাহে দেখা যায় সাউদি আরব মোট রেমিট্যান্সের ২০.৭৮ শতাংশ অর্থাৎ ১০৫১.১৯ মিলিয়ন ডলার প্রেরণ করে প্রথম স্থানে আছে। ৮২৩.৫৭ মিলিয়ন ডলার মোট রেমিট্যান্সের ১৬.২৮ শতাংশ প্রেরণ করে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে, যুক্তরাজ্য ৫৭৩.০৪ মিলিয়ন ডলার, মোট রেমিট্যান্সের ১১.৩৩ শতাংশ প্রেরণ করে তৃতীয় স্থানে, সংযুক্ত আরব আমিরাত ৪৫১.২০ মিলিয়ন ডলার, মোট রেমিট্যান্সের ৮.৯২ শতাংশ প্রেরণ করে চতুর্থ এবং মোট রেমিট্যান্সের ৭.৮৩ শতাংশ অর্থাৎ ৩৯৬.৩৩ মিলিয়ন ডলার পাঠিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে কুয়েত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে মার্চ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মোট ৫০৫৮.৭২ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসছে দেশে এর ৫১ শতাংশই মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রবাসীরা দেশ প্রেমিক, তারা বৈধ চ্যানেলে দেশে টাকা পাঠিয়ে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কায় থাকা মাতৃভুমি বাংলাদেশ কে ঝুঁকি মুক্ত করবেন।
Discussion about this post