বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক আয়োজিত ২ সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে ৭ এপ্রিল দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়নে সেতার ও চেলো সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। সেতার পরিবেশন করেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশের সেতারশিল্পী আলিফ লায়লা। ২ শতাধিক অতিথি আলিফ লায়লার সেতার পরিবেশনা উপভোগ করেন। অতিথিবৃন্দের মধ্যে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিনè দফতরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিদেশী কূটনৈতিক, ওয়াশিংটনস্থ বিভিন দূতাবাসের কালচারাল এ্যাটাচে, সাংবাদিক, অধ্যাপক ও প্রবাসী বাংলাদেশী। সেতার শিল্পী আলিফ লায়লা বিশেষ এই সেতার সন্ধ্যার পরিকল্পনা করেন যেখানে সংগীত, নৃত্য, দ্বৈতচেলো এবং সেতার আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব আকরামুল কাদের আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে তাঁর স¦াগত বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, সেতার শিল্পী লায়লা তার কাজের মধ্য দিয়ে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংগীত ধারার স¦ার্থক সংমিশ্রন ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন যা সত্য ও মানবতার একাত্ততার বাণী বহন করে। রাষ্ট্রদূত কাদের বলেন যে, আলিফ লায়লার সেতার সংগীত ভৌগোলিক সীমারেখা অতিক্রম করে প্রত্যেকের হৃদয় ¯পর্শ করতে সক্ষম। বাংলাদেশ-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুই বন্ধু প্রতীম দেশে সেতুবন্ধনে এ সংগীত সন্ধ্যা ভূমিকা রাখবে মর্মে রাষ্ট্রদূত তাঁর আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেতার এবং চেলো পরিবেশনার পর জনাব কাদের আনুষ্ঠানিকভাবে আলিফ লায়লার ‘‘আমি এক নদী শীর্ষক নতুন সিডি সংকলনের মোড়ক উন্মোচন করেন। নতুন এই সিডিতে ক্ল্যাসিক্যাল সেতার এবং জ্যাজ সেক্সোফোনের এক ব্যতিক্রমী সংমিশ্রন ঘটেছে। সেতার সন্ধ্যাশেষে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ রাষ্ট্রদূত কাদের কর্তৃক প্রদত্ত রিসেপশনে অংশ নেন।
Discussion about this post