গতকাল ২৪শে মার্চ শনিবার বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ইঙ্ক (বিসিসিডিআই) এর আয়োজনে ভার্জিনিয়ার আর্লিংটনস্থ গানস্টন কমিউনিটি সেন্টারে উদযাপিত হল বাংলাদেশের ৪১তম স্বাধীনতা দিবস। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর প্রামান্যচিত্রের বিশেষ প্রদর্শনী, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মদান, বাংলাদেশের মহান স্থপতি বংগবন্ধু শেখ মজিবর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের সমর নায়ক ওসমানী, জিয়াউর রহমান সহ সংলিষ্ট সকলের স্মরণে স্মারক পত্র পাঠ, এক মিনিট নিরবতা পালন, জাতীয় সংগীত, বাংলা স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরা আবৃত্তি, দেশের গান এবং নৃত্য পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জন্মদিনের আনন্দকে ধারন করে অনুষ্ঠান সাজানো হয় । আর বর্ণাঢ্য এই পরিবেশনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের এই ঐতিহাসিক দিনটিকে বাংলা স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের সাথে স্মরণ করল অনুষ্ঠানে আগত প্রবাসী বাংলাদেশীরাও। স্মারক পত্র পাঠ করেন বাংলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষিকা মেরিনা রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলা স্কুলের শিক্ষিকা আতিয়া মাহজাবীন নীতু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ প্রধান জনাব জসিম উদ্দিন। জনাব জসিম প্রবাসের মাটিতে দ্বিতীয় প্রজন্মের শিশুদের মধ্যে বাংলা ভাষা শিক্ষা এবং বাংলা সংষ্কৃতির বিকাশে বিসিসিডিআই এর ভুমিকা এবং অনুষ্ঠানে বাংলা স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের পরিবেশনার প্রশংশা করেন। লাল সবুজের বাহারী পোষাকে ছাত্র/ছাত্রীদের কাকলীমুখর উচ্ছ্বাসের মাঝে সাংষ্কৃতিক পর্বের সূচনা ঘটে বাংলাদেশের এবং আমেরিকার জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষন ছিল বাংলা স্কুলের শিক্ষিকা ডঃ সালমা সামাদের পরিচালনায় ফারহান আরমান, সাইফ, পুতুলের স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের উপর কথিকা পাঠ, বাংলা স্কুলের সিনিয়র গ্রুপের ছাত্র/ছাত্রী- ওয়াদিয়া, রিশা, উর্নিশা, শোভা, তাসমিয়া শায়লার মুক্তিযুদ্ধ এবং বংগবন্ধুর উপর ক্লাস ওয়ার্কটি স্লাইড শোতে উপস্থাপন করে অনুষ্ঠানকে আলোকিত করে। গৌরী এবং হিমাও এতে অংশ নেয়। এরপর কৌশিক, জেমিনা, মুন্তাবিন, মুন্তাসিনের গান এবং তাসনূভা,শোভা এবং নৃত্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পূর্ণতা পায়। সাথে তবলা সংগঠনে ছিলেন আশিষ বড়ুয়া এবং সংগীত পরিচালনা নাসির চৌধুরী এবং নৃত্য পরিবেশনায় অন্তরা রহমান কাউরী। বাংলা স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীদের পরিবেশনার পর অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মধ্যে কবিতা আবৃত্তি করেন শওকত খান দীপু, ফারুক আহমেদ, মিজানুর ভুইয়া এবং সংগীত পরিবেশন করেন দিনা জাহাংগীর। বাংলা স্কুল পরিসরে সাজানো গোছানো এই অনুষ্ঠান শেষ হয় বাংলা স্কুলের শিক্ষক/ শিক্ষিকা এবং ছাত্র/ছাত্রীদের উৎসব মুখর পরিবেশে স্বাধীন বাংলাদেশের ৪১তম জন্মদিনের কেক কেটে ।
Discussion about this post