শেখ আজাদ কামাল টিপু- বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের আগামী অর্থ বছরের বাজেটে নারীর মানবাধিকার ইস্যু বিশেষ করে নারী নির্যাতন বন্ধ, বাল্য বিবাহ হ্রাস, যৌতুক প্রথা বন্ধে সুনিদিষ্ঠ পরিকল্পনা ও বাজেট বরাদ্দের অঙ্গীকার করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ। বিগত ২৯ মে বিকাল ৩টায় বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে চেয়ারম্যান এটিএম জিয়া উদ্দিন চৌধুরী জিয়ার সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকারের বাজেট ও কর্ম পরিকল্পনায় নারীর মানবাধিকার যুক্ত করার দাবীতে অনুষ্ঠিত নাগরিক সংলাপ উক্ত অঙ্গীকার করা হয়। সংলাপ অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক ছিলেন চকরিয়া উপজেলা সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের সভাপতি হাজ্বী আবু মোঃ বশিরুল আলম, উপজেলা নারী উদ্যোক্তা পরিষদের সভাপতি উম্মে কুলসুম মিনু। আইএসডিই বাংলাদেশের কর্মসূচী কর্মকর্তা শেখ আজাদ কামাল টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংলাপে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইএসডিই বাংলাদেশের কর্মসূচী ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন। ধারনা পত্র উপস্থাপন করেন ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌসী ঝর্ণা। বক্তব্য রাখেন প্যানেল চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান, এমইউপি নাসির উদ্দিন, এমইউপি আব্দুল মোমেন বাহাদুর, ইউপি সচিব অনিল কান্তি সুশীল, ইউনিয়ন সামাজিক উদ্যোক্তা পরিষদের সভাপতি মাষ্টার মোহাম্মদ আলী, ধর্মীয় নেতা নৃত্য লাল, প্রধান শিক্ষক তছলিম উদ্দিন, প্রধান শিক্ষক মাষ্টার শাহাদাত হোসেন, মসজিদের ঈমাম মৌলভী আলী আকবর, সমাজকর্মী ডাঃ নুরুল আলম হায়দার, সুফিয়া কামাল ফেলো খালেদা বেগম, সাবেক এমইউপি ডাক্তার মাশুক উদ্দিন প্রমুখ।
বক্তাগন বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে নারীর মানবাধিকার ইস্যু সংযুক্তি করে বাজেট ও পরিকল্পনা থাকলে নারী বান্ধব সমাজ নির্মাণে সহজ হবে। যৌতুক, বাল্য বিবাহ, যৌন হয়রানী, পারিবারিক নির্যাতন, সর্বোপরি সকল প্রকার সহিংসতার বিরুদ্ধে ১০% বাজেট রেখে পরিকল্পনা ঘোষনা করলে চকরিয়ার অন্যতম বৃহত্তম ইউনিয়ন বরইতলী ইউনিয়ন সন্ত্রাস মুক্ত সহিংসতা মুক্ত হবে বলে আমরা আশা করি। প্রতিউত্তরে ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, এবারের বাজেট অবশ্যই নারী বান্ধব ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে কর্মসূচী নিয়ে ঘোষনা করা হবে। এলাকার নাগরিক সমাজ, শিক্ষক, ধর্মীয় গুরু, পুরুহিত, ঈমাম, কাজী, কৃষক, যুব সমাজ সহযোগিতা করলে বরইতলীর সমস্ত প্রতিষ্ঠান নারী বান্ধব করার জন্য কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে।
Discussion about this post