বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন
-কবি এইচ,এম,হুমায়ুন কবীর
বাংলার মানুষ ছিল একদিন
“আপন ভূয়ে পরবাসী”,
নারীরা ছিল গৃহ দাশী।
কখনো সৃংস্কৃত,ইংরেজি, উর্দু
চাপায়েছে বাংলার পারে,
আবহমান বাংলা ম্লান ছিল তাই
শতাব্দী,শতাব্দী ধরে।
বংলা ভাষাভাষীদের পরে
বার বার হেনেছে শক্তি,
মুখ ফুটে প্রকাশ করতে পারেনি
আপন অভিব্যক্তি।
এইভাবে গেল বেশ কিছুদিন
চিত্তে অনল পুষে,
বাক বঞ্চিত মানুষেরা
অবশেষে উঠেছে ফুঁসে।
প্রয়োজনের তাগিদে ছাত্র জনতা
একসাথে দল বেঁধে,
জোরালো মুষ্টি তুলেছে শুন্যে
ব্যানার নিয়েছে কাঁধে।
শুরু হলো ভাষা আন্দোলন
চলবে অনিদৃষ্ট কাল,
আকাশ,বাতাস, প্রকম্পিত হলো
‘হরতাল হরতাল। ‘
বুকের কথা মুখে এলো
বাঙালি আমরা খাই না খাই,
সংখ্যাগরিষ্ট বাংলার মানুষ
‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’।
টা,টা,টা, টাস,টাস গর্জে উঠলো
রাইফেল, মেশিনগান,
তির বিদ্ধ পাখির মতো লুটে পড়ে ভূমে
কতো মায়ের সন্তান।
হায়রে পাষন্ড নরাধম
শেষে বুলেট চালালি বুকে?
ওদের কন্ঠ তো রুদ্ধ হবেনা
জ্বলবে আগুন দিকে দিকে।
সবুজ ঘাস রক্তে ভিজে
হয়ে গেল লালে লাল,
প্রতিবাদের ঝড়ে উত্তাল তরঙ্গ
দেশ করে টলমল।
ভাষা শহীদ, সৈনিক বীরেরা
অনিরুদ্ধ সংগ্রামী পথচারী,
ইতিহাস গড়লো উনিশশো বায়ান্নর
একুশে ফেব্রুয়ারি।
বাংলা আমাদের মাতৃভাষা,
চির উন্নত এই মাটি,
ভাষার লড়ায়ে ইতিহাস গড়ে
একথা করলো খাঁটি।
সেদিন চলে গেছে, বছর চলে গেছে
গেছে কতো ফাল্গুন,,
প্রজন্ম প্রজন্ম পোহাচ্ছে আজও
শোকাবহ সে আগুন।
প্রভাতফেরির শোক মিছিলে
নগ্ন চরণে চলে,
শহীদমিনারে পুষ্প অর্পণ করিছে
ব্যথাতুর ভ্রাত্রী দলে।
বিনয়ের সুরে প্রার্থনা করি
হে– রহিম রহমান,
সকল শহীদদের করে দিন আল্লাহ
জান্নাতের মেহমান।
Discussion about this post